GuidePedia

0


Motor (মোটর ) কি?
01. প্রশ্নঃ মোটর কাকে বলে? কত প্রকার কি কি?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে বৈদ্যুতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রুপন্তরিত করা হয় তাকে মোটর বলে।
মোটর সাধারনত ২ প্রকার। যথা-
১।এসি মোটর
২।ডিসি মোটর
02. AC মোটর কাকে বলে? AC মোটরের কি কি অংশ থাকে?
উত্তরঃ যে মোটর AC কারেন্ট দ্বারা চলে তাকে এ. সি. মোটর বলে।
AC মোটর দুই প্রকার। যথাঃ
১। সিনক্রোনাস মোটর
২। ইন্ডাকশন মোটর
আবার ইন্ডাকশন মোটর দুই প্রকার।
১। স্কুইরেল কেজ ইন্ডাকশন মোটর
২। স্লিপ-রিং ইন্ডাকশন মোটর
ইন্ডাকশন মোটর নিচের অংশগুলো দ্বারা গঠিত। যেমন-
১। স্টাটর
২। রোটর
৩। বিয়ারিং
৪। কুলিং ফ্যান
৫। ইয়োক
৬। টার্মিনাল বক্স
৭। নেম প্লেট
৮। এন্ড কভার
৯। বেড প্লেড
১০। শ্যাফট
১১। প্রিলোডিং রিং
১২। ফিটিং স্ক্রু
১৩। গ্রিজ পয়েন্ট
২। ডিসি মোটর আবার ৩ প্রকার।যথা-
১।সিরিজ মোটর
২।সান্ড মোটর
৩।কম্পাউনড মোটর
এছাড়াও ডিসি মোটর অনেক ধরনের হয়ে থাকে। বাজারে অনেক প্রকার ডিসি মোটর পাওয়া যায়। এদের কারো মাঝে টর্ক অনেক কম বা বেশি পাওয়া যায় আবার কারো RPM অনেক কম বা বেশি হয়ে থাকে।
বাজারে যেসব ডিসি মোটর বেশি পাওয়া যায়ঃ
১। গিয়ারলেস মোটর
২। গিয়ারড মোটর
৩। স্টেপার মোটর
৪। সার্ভো মোটর
চিত্রে মোটর এর পূর্ণ প্রকারভেদ দেয়া হল।

সিঙ্গেল ফেজ মেটর বা ফ্যান চালু করতে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ প্রাইম মুভার ছাড়া কোন রোটর কে ঘুরাতে গেলে স্টেটরে ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি করতে হবে। আর ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টির প্রধান শর্ত হলো মিনিমাম ২ টি ফেজ থাকতে হবে বাট আমাদের সাপ্লাই সিঙ্গেল ফেজ। তাই আরেকটি ফেজ সৃষ্টিতে ক্যাপাসিটর use করা হয়।

03. কেন Dc জেনারেটর বা Ac অল্টারনেটরে প্রাথমিক অবস্থায় Ac ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়?
উত্তরঃ যেহেতু উভয় ক্ষেত্রেই স্থায়ী চুম্বক ক্ষেত্রের ভিতরে কন্ডাক্টর কে ঘুরানো হয় এবং এ কন্ডাক্টরের সাথে ফ্লাক্স লিংকেজেরর পরিবর্তনের হার শূন্য হতে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ হয়ে আবার শূন্যততে পৌছায়। এর ফলে ভোল্টেজ ও শূন্য হতে সর্বোচ্চ হয়ে শূন্যতে আসে। নর্থ ও সাউথ পোল থাকায় এই ঘটনা টা একবার পজেটিভ ও একবার নেগেটিভ দিকে সংঘটিত হয়। অর্থাৎ Ac ভোল্টেজ উৎপন্ন করে।

04. একই কন্ডাক্টরে যথাক্রমে Ac ও Dc ভোল্টেজ প্রেরন করলে লাইন রেজিস্ট্যান্স কোনটায় বেশি হবে?
উত্তরঃ Ac তে।

05. কি কি কারনে পাম্প মোটর স্টার্ট নেয় না?
উত্তরঃ
ক) ফিউজ পুড়ে গেলে।
খ) মোটর বিয়ারিং জ্যাম হলে।
গ) ওয়াইন্ডিং গ্রাউন্ড হলে।
ঘ) কয়েল শর্ট বা স্টার্টারের সমস্যা হলে।

06. নাইক্রোম কি কি উপাদান নিয়ে গঠিত?
উত্তরঃ
ক) নিকেল---------- ৬১%
খ) ক্রোমিয়াম------১৫%
গ) আয়রন--------২৪%

07. রোটর কিভাবে বা কেন ঘোরে?
উত্তরঃ স্টেটর কয়েলে পলিফেজ সংযুক্ত করে সাপ্লাই দিলে এতে ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় যা সিনক্রোনাস স্পিডে ঘুরতে থাকে। এ ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্র রোটর কন্ডাকক্টর কে কর্তন করলে ফ্যারাডের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন নীতি অনুসারে রোটর কন্ডাক্টরে EMF আবিষ্ট হয়। যেহেতু রোটর সার্কিট বন্ধ অবস্থায় থাকে সেহেতু আবিষ্ট তড়িৎ চাপের জন্য কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং রোটরে ঘূর্নক উৎপন্ন করে।

08. সার্কিট ব্রেকার নির্ধারনের কৌশল কি?
উত্তরঃ যে সকল লোডের জন্য সার্কিট ব্রেকার নির্ধারন করতে হবে তার মোট ওয়াট বের করে উক্ত ওয়াট কে ২৩০ দ্বারা ভাগ করে যে অ্যাম্পিয়ার পাওয়া যাবে তার ১.৫ গুন অ্যাম্পিয়ার বিশিষ্ট সার্কিট ব্রেকার নিতে হবে।

09. সান্ট ফিল্ডের কয়েল চিকন তারের অধিক প্যাঁচের এবং সিরিজ ফিল্ডের কয়েল মোটা তারের কম প্যাঁচের থাকে কেন ?
উ: কারন সান্ট ফিল্ড পূর্ণ ভোল্টেজ পায় এবং সিরিজ ফিল্ড পূর্ণ লোড কারেন্ট পায়।

10. একটি ডিসি জেনারেটর পূর্ণ স্পিডে ঘুরতেছে কিন্তু ভোল্টেজ উৎপন্ন হইতেছে না- কারন কি?
উ: (১) ফিল্ডে রেসিডিয়্যাল মেগনেটিজম নেই
(২) জেনারেটর উল্টা ঘুরতেছে
(৩) ফিল্ডের কয়েল ওপেন
(৪) আর্মেচার কয়েল ওপেন
(৫) কার্বন ব্্রাস কম্যুটেটরে সংযোগ নেই।

11. একটি ডিসি মোটর উল্টা ঘুরতেছে কি ভাবে ঠিক করেবে?
উ: হয় ইহার ফিল্ডের কানেকশন না হয় আর্মেচারের কানেকশন উল্টাইায়া দিতে হবে।

12. স্টার্টার মোটর র্স্টাট দেয়া ছারা আর কি কি কাজ করে?
উ: ইহা ওভার লোডে এবং সাপ্লাই চলে গেলে মোটরকে সোর্স হতে আপনা আপনি বিচ্ছিন্ন করে।

13. স্টার্টারের হাতল শেষ প্রান্তে থাকে না।
উ: হোলডিং কোয়েল কাজ করে না, খারাপ।

14. একটি ১০ হর্স পাওয়ারের মোটর দ্বারা ১০ হর্স পাওয়ারের জেনারেটর ঘুরিয়ে তাহা হতে ১০ হর্স পাওয়ার জেনারেশন পাওয়া যাবে কি?
উ: না, কারন কখনও ইনপুট আউটপুট সমান হয় না।

15. ডায়নামো কি ?
উ: ডিসি জেনারেটরকে ডায়নামো বলে।

16. আর্মেচার লোহার তৈরি কিন্তু কম্যুটেটর তামার তৈরির কারন কি ?
উ: কারন আর্মেচার ম্যাগনেটিক ফিল্ডে থাকে আর কম্যুটেটর ম্যাগনেটিক ফিল্ডের বাইরে থাকে।17. কোন প্রকার ওয়্যাইন্ডিং কখন ব্যবহ্নত হয় ?
উ: ল্যাপ ওয়্যাইন্ডিং বেশী কারেন্টের জন্য এবং ওয়েভ ওয়্যাইন্ডিং বেশী ভোল্টেজের জন্য ব্যবহ্নত হয়।
17. কোন প্রকার ওয়্যাইন্ডিং কখন ব্যবহ্নত হয় ?
উ: ল্যাপ ওয়্যাইন্ডিং বেশী কারেন্টের জন্য এবং ওয়েভ ওয়্যাইন্ডিং বেশী ভোল্টেজের জন্য ব্যবহ্নত হয়।
18. এক ফেজ মোটরের দোষ কি ?
উ: ইহা নিজে নিজে র্স্টাট নিতে পারে না।

19. তিন ফেজ হতে এক ফেজ নেয়া যায় কি ?
উ: হ্যাঁ, যদি স্টার কানেকশন থাকে, তবে একটি লাইন ও নিউট্রালে এক ফেজ সাপ্লাই পাওয়া যায়।

20.  সিলিং ফ্যানের স্পিড কমে যাওয়ার কারন কি?
উ: পূর্ণ ভোল্টেজ পাচ্ছে না, না হয় ক্যাপাসিটর দুর্বল না হয় বল বিয়ারিং জ্যাম, না হয় কয়েলের ইন্সুলেশন দূর্বল।

21. পাখা পূর্ণ বেগে ঘুরা সত্বেও বাতাস পাওয়া যায় না কেন ?
উ: পাখার ব্লেডের বাক কম না হয় পাখার পিছনে প্রয়োজনীয় ফাকা জায়গা নেই।

22. পাখা উল্টা ঘুরে গেলে কি ভাবে ঠিক করবে ?
উ: ক্যাপাসিটরের কয়েল কানেকশন বদল করে, আথবা হয় রানিং না হয় র্স্টাটিং কয়েল বদল করে ঠিক করা যায়।

23. সিলিং ফ্যানের কোন দিকের বল বিয়ারিং সাধারনতঃ আগে খারাপ হয় ?
উ: উপরের বিয়ারিং খারাপ হয়।

24. সিলিং ফ্যান স্টার্ট দেওয়ার সংঙ্গে সংঙ্গে ইহার কানেকটিং রডে খট খট আওয়াজ হয়ে পরে আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায় কারন কি ?
উ: ইহার রডে রাবার বুশ নেই।

25. তিন ফেজ মোটর উল্টা ঘুরতেছে, কিভাবে ঠিক করবে ?
উ: ইহার যে কোন দুই ফেজের জায়গা বদল করে দিতে হবে।

26. তিন ফেজ ১০ ঘোড়া ইন্ডাকশন মোটর ফুল লোডে কত কারেন্ট নিবে ?
উ: ১৫ এম্পিয়ার (প্রতি ঘোড়া ১.৫ এম্পিয়ার হিসাবে)।

27. তিন ফেজ মোটর স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টার্ট নেয় না গোঁ গোঁ শব্দ করে।
উ: (১) তিন ফেজের – কোন এক ফেজে সাপ্লাই নেই
(২) মেইন সুইচে কোন ফেজের ফিউজ নেই
(৩) মোটরের তিন ফেজ ওয়াইন্ডিং এর কোন ফেজ কাটা, সাপ্লাই পাচ্ছে না
(৪) বল বিয়ারিং খুব জ্যাম
(৫) মোটরের স্যাপ্ট বাঁকা হয়ে গিয়েছে।

28. চলন্ত অবস্থায় তিন ফেজ মোটরের এক ফেজ চলে গেলে কি হবে ?
উ : যদি লোড বিহীন অবস্থায় থাকে তবে মোটর ঘুরতে থাকবে কিন্তু গরম হয়ে যাবে এবং ভিন্ন রকম আওয়াজ করবে। আর যদি লোডেড অবস্থায় থাকে , তবে মোটর সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে। যদি মেইন সুইচ অফ করে দেওয়া না হয়, তবে মোটর জ্বলে যাবে।

29. তিন ফেজ ২০ ঘোড়া মোটরের জন্য ক্রয়কৃত স্টার ডেল্টা স্টার্টার ১০ ঘোড়া তিন ফেজ মোটরের ব্যবহার করা যাবে কি ?
উ : হ্যাঁ, যাবে তবে কারেন্ট সেটিং এর মান কমিয়ে দিতে হবে।

30. স্টার ডেল্টা স্টার্টারের ম্যাগনেটিক কয়েল কত ভোল্টেজ সাপ্লাই পায় ?
উ : সরাসরি ৪০০ ভোল্ট সাপ্লাই পায়। (লাইন টু লাইন)

31. একটি তিন ফেজ মোটরের বডিতে টেস্ট বাতির এক মাথা সংযোগ করে অন্য মাথা সাপ্লাই এর সাথে সংযোগ করলে বাতি পূর্ণ ভাবে জ্বলে, ইহাতে কি বুঝা যায় ?
উ : মোটরের বডি ভাল ভাবে আর্থ করা হয়েছে।

32. ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কি মিটার দ্বারা মাপা হয় ?
উ : মেগার দ্বারা।

33. আর্থ রেজিস্ট্যান্স কি ভাবে মাপা হয় ?
উ : মেগার আর্থ টেস্টারের সাহায্যে অথবা মোটামুটি ভাবে একটি ১০০ ওয়াটের বাতি আর্থ তার লাইনের মধ্যে সংযোগ করার পর যদি উজ্জ্বল ভাবে জ্বলে , তাহলে আর্থিং ভাল আছে।

34. আর্থিং রেজিস্ট্যান্স কত হওয়া বান্ছনীয় ?
উ : বাসাবাড়ীর জন্য বেশীর পক্ষে ৫ ওহম এবং সাব স্টেশন ও পাওয়ার লাইনের জন্য বেশীর পক্ষে ১ ওহম হওয়া দরকার।

35. কোন ট্রান্সফরমারের কেবল মাত্র একটি কয়েল থাকে ?
উ : অটো ট্রান্সফরমার।

36. এক ফেজ ট্রান্সফরমার দ্বারা তিন ফেজ সাপ্লাই দেওয়া যায় কি ?
উ : হ্যাঁ যায়, ভি ভি বা ওপেন ডেল্টা কানেকশন করে।
38. ট্রান্সফরমার হামিং কি ?
উ : ট্রান্সফরমারের কোর এবং কয়েল কানেকশন যদি মজবুত ভাবে না করা থাকে, লুজ কানেকশন থাকে তাহলে ফুল লোড অবস্থায় কাঁপতে থাকে এবং এক প্রকার আওয়াজ হয়, তাহাই হামিং।

39. ট্রান্সফরমার গরম হওয়ার কারন কি ?
উ : (১) ওভার লোড হওয়ার জন্য হতে পারে
(২) ইন্সুলেশন দুর্বল হয়ে গেলে
(৩) কোথাও আর্থ হয়ে গেলে
(৪) ওভার ভোল্টেজ সাপ্লাইয়ের জন্য।

40. সিলিকা জেলের স্বাভাবিক রং কি রূপ থাকে ?
উ : ভাল অবস্থায় ধব ধবে সাদা, কিন্তু জলীয় বাস্প গ্রহন করলে কিছুটা বাদামী রং এর হয়ে যায়,আবার উত্তাপ দিলে ইহা সাদা হয়ে যায়।

41. ট্রান্সফরমার তৈলের কাজ কি ?
উ : ইহার প্রধান কাজ দুটি- প্রথমত ইহা ইন্সুলেশনের কাজ করে, দ্বিতীয়ত ট্রান্সফরমারকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্যে করে।

42. ব্রিদার কি ?
উ : ইহা ট্রান্সফরমারের কনজার্ভেটরের সহিত লাগানো থাকে, যার মাধ্যমে বাহির হতে ঠান্ডা বাতাস ফিল্টার হয়ে ট্যাংকে ঢুকে এবং গরম বাতাস ট্যাংক হতে বাহির হয়ে যায়।

43. বুকল্স রিলে কি ?
উ : ইহা এক প্রকার রিলে যাহা ট্রান্সফরমারের ট্যাংক ও কনজার্ভেটরের সংযোগকারী পাইপের মধ্যে বসানো থাকে এবং ট্রান্সফরমারের ভিতরে ত্রুটি দেখা দিলে সর্তক ঘন্টা বাজিয়ে থাকে।

44. গার্ড ওয়্যার কি ?
উ : ট্রান্সমিশন লাইনের নীচে ব্যবহ্নত তার, যাহা আর্থের সহিত সংযোগ থাকে।

45.  ব্যাটারীর সলিউশন তৈরির সময় এসিড পানিতে না পানি এসিডে মিশাতে হয় ?
উ : এসিড পানিতে মিশাতে হয়।

46. জাম্পার কি ?
উ : মেইন লাইন হতে বাসা বাড়ীতে সাপ্লাই লাইনের সংযোগ রক্ষাকারী তার।
!
47. ডেম্পার ওয়্যাইন্ডিং কি ?
উ : সিনক্রোনাস মোটরকে র্স্টাট দেওয়ার জন্য ইহার পোলের উপর মোটা তারের ওয়্যাইন্ডিং দেওয়া হয় এবং ইহা অল্টারনেটরে ও ব্যবহ্নত হয় হান্টিং দোষ কমানোর জন্য।

48. সি.বি কি ?
উ : সার্কিট ব্রেকার যাহা ক্রটি পূর্ণ লাইনকে আপনা আপনি র্সোস হতে বিচ্ছিন্ন করে।

49. এ.সি কে ডি.সি এবং ডি.সি কে এ.সি কি ভাবে করা হয় ?
উ : এ.সি কে ডি.সি করা হয় রেকটিফায়ার ও রোটারী কনভার্টার দ্বারা এবং ডি.সি কে এ.সি করা হয় ইনভার্টার দ্বারা।

 50. RPM কি?
উত্তরঃ Revolutions per minute একটি motor এর Rotor প্রতি মিনিটে কত পাক ঘুরবে কিন্তু জেনারেটরের ক্ষেত্রে fly wheel কত পাক ঘুরবে সেটাই RPM.

51. সিনক্রুনাইজিং কি?
উত্তরঃ সার্কিটের load বৃদ্ধি পেলে একটি alternator দ্বারা চাহিদা পূরন করা সম্ভব নয়।এমন অবস্থায় দুই বা ততোধিক alternator কে নিদ্রিস্ট শর্তসাপেক্ষ্যে parallel operation  এ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত load এর চাহিদা পূরন করাই সিনক্রনাইজিং।

52. AVR কি? কি ভাবে কাজ করে?
উত্তরঃ AVR-Aortic Valve Replacement.একটি স্বয়ংক্রিয় ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক (এভিআর) একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি জেনারেটর আউটপুট টার্মিনাল ভোল্টেজ বজায় রাখে যাতে বিভিন্ন লোড এবং অপারেটিং তাপমাত্রার অধীনে সেট মান থাকে। এটি একটি বিদ্যুত উৎপাদক কুণ্ডলীতে ভোল্টেজ ভাউটকে সেন্সিং করে এবং এটি একটি স্থিতিশীল রেফারেন্সের সাথে তুলনা করে আউটপুট নিয়ন্ত্রণ করে। ত্রুটি সংকেত তারপর ক্ষেত্রের বর্তমান গড় মান সমন্বয় করতে ব্যবহার করা হয়।
ভোল্টেজ রেগুলেটর এমন একটি program able/device সার্কিট যার মাধ্যমে আউটপুট ভোল্টেজ কে সবসময় স্থির রাখা যায়। অর্থাৎ ভোল্টেজ রেগুলেটর এর ইনপুটে ভোল্টেজের কমা-বাড়ায় ও আউটপুট ভোল্ট স্থির থাকে।

কিভাবে কাজ করে
PMG stater.
PMG rotor.
Excitor rotor.
Excitor stater. 
Rectifire assembly. 
PT& CT এর সমম্নয়ে AVR কাজ করে ।

53. Relay কাকে বলে এবং কত প্রকার ও কাজ কি?
উত্তরঃ এটি এক প্রকার ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক বা তড়িৎ চুম্বকীয় যন্ত্র বিশেষ। সাধারণ ভাবে যদি বুঝতে চাই তা হলে একে এমন ভাবে চিন্তা করা যেতে পারে- ছোট একটা সুইচ দিয়ে যখন আমরা একটা বাতি কে জ্বালাই তখন তার জন্য আমাদের সুইচে হাত দিয়ে তাকে অফ বা অন করতে হয়। অর্থাৎ কোনো বাহ্যিক একটা শক্তি লাগে সুইচ কে অন-অফ করতে। ঠিক তেমনি ভাবেই, কোনো রীলে কেও অন বা অফ করতে এমনি বাহ্যিক শক্তি লাগে, তবে এ ক্ষেত্রে শক্তিটি বিদ্যুত চুম্বকীয় শক্তি। অর্থাৎ, এতে একটা কয়েল বা অস্থায়ী বৈদ্যুতিক চুম্বক থাকে যার মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুত সরবরাহ করলে তা সুইচটিকে অন/অফ করতে পারে। কাজেই এর মধ্যে প্রধানত ২টি অংশ থাকে প্রধানত দুই অংশ থাকে ।সুইচিং অংশ ও বিদ্যুত চুম্বকীয় অংশ।

বাজারে প্রচলিত রীলে প্রধানত 3 প্রকারঃ
SPST – Single pole single throw
SPDT – Single pole double throw
DPDT – Double pole double throw

54. Ignation module/EISM কি ও কি কি কাজ করে?
উত্তরঃ IGNATION MOUDLE/EISM-(ELECTRONIC IGNATION SYSTEM MODULE) গ্যাস ইন্জিনের হার্ট বলা হয় । যা ডিস্ট্রিবিউটার ন্যায় কাজ করে ।মুলূত ট্রানজিস্টর,ডায়াক,ট্রায়াক, কয়েল,ক্যাপাসিটর  ইত্যাদির এর সমম্নয়ে গঠিত।কুলিং অনুযায়ি দুই প্রকার । 
1) ওটার কুলিং টাইপ 
2) ড্রাই টাইপ। 
এর ইনপুট voltage 24DAC. শুধু মাত্র আউট পুট ইগনেশন কয়েল এর জন্য 220 DAC আর বাকি গুলোর আউট পুট 50 milivolt থেকে 12 volt DAC হয়ে থাকে । এই device এ আর্থিং থাকা জরুরি কারন প্রচুর হারমনিক current উৎপন্ন হয়।

কি কি কাজ করে
1) Detonation Sensor.
2) EIS Control Module.
3) Engine Speed/Timing Sensor.
4) Ignation Harness.
5) Manifold Sensor/Pressure Sensor.
6) Sensor Harnesses.
7) Transforms/Spark plugs.

EIS কাজ
1) Spark Voltage.
2) Spark Duration.
3) Ignation Timing.

55. Actuator এর কাজ কি?
উত্তরঃ plate 360° গোলাকার বা butterfly valve/mechanical assembly কে একটি motor দ্বারা কাজ করাই এটাই তার কাজ।

56  মোটর বা ইলেক্ট্রিক্যালের ডিভাইসের গায়ে IP লেখা থাকে এর মানে কি?
উত্তরঃ IP এর পূর্ণ নাম হল Ingress Protection । এর মানে কোন ডিভাইসের ভিতর, বাহিরে থেকে কত সাইজের যে কোন কিছু ঢুকতে বাধা দিবে। আইপি এর মান যত বেশি হবে তত প্রোটেকশন বাড়বে। কম হলে প্রোটেকশন ক্ষমতা কম হবে। এর তিনটি মান থাকে কিন্তু বেশির ক্ষেত্রে দুটো ব্যবহার হয়।
প্রথম ডিজিট কঠিন পদার্থকে প্রোটেকশন এর রেটিং প্রকাশ করে। এর মান ০ থেকে ৬ পর্যন্ত হয়।
দ্বিতীয় ডিজিট তরল পদার্থকে প্রোটেকশন এর রেটিংকে প্রকাশ করে। এর মান ০ থেকে ৮ পর্যন্ত হয়
তৃতীয় ডিজিট মেকানিকেল আঘাত এর প্রোটেকশন রেটিংকে প্রকাশ করে। এর মান ০ থেকে ৯ পর্যন্ত হ্য। তবে এর ব্যবহার বেশি হয় না
বেশি ভাগ ক্ষেত্রে কঠিন এবং তরল এই দুইটি ব্যবহার হয়।

57. আইপি এর বিভিন্ন মান গুলো জানা দরকার।
উত্তরঃ প্রথম ডিজিট কঠিন পদার্থের প্রটেকশনকে বুজায়। এর মান গুলো দেওয়া হলঃ
০ মানে কোন প্রোটেকশন নেই।
১ মানে কোন পদার্থের সাইজ ৫০ mm এর বেশি হলে বাহিরে থেকে ভিতরে ঢুকতে পারবে না এমন ভাবেই তাকে তৈরি করা হয়।
2 মানে কোন পদার্থের কনার সাইজ ১২.৫ mm এর বেশি হলে বাহিরে থেকে ভিতরে ঢুকতে পারবে না।
৩ মানে কোন পদার্থের কনার সাইজ ২.৫ mm এর বেশি হলে বাহিরে থেকে ভিতরে ঢুকতে পারবে না।
৪ মানে ১ mm এর উপরের সাইজকে প্রোটেকশন করে।
৫ মানে দুলা বালিকে প্রটেক্ট করে । তবে সম্পূর্ণ প্রটেক্ট করে না।
৬ মানে ধুলা বালি বা dust কে সম্পূর্ণরূপে প্রটেক্ট করে।
দ্বিতীয় ডিজিট তরল পদার্থকে প্রোটেকশন রেটিং প্রকাশ করে।
০ মানে কোন তরল কে প্রটেক্ট করে না।
১ মানে উপর থেকে সরাসরি খাড়া ভাবে পানি পড়ে কোন ডিভাইস এর উপর তাহলে ভিতরে ঢুকবে না।
২ মানে উপর থেকে পানি ১৫ ডিগ্রি কোনে পড়লে তাকে প্রটেক্ট করবে।
৩ বলতে বুজায় পানি বা তরল কে ৬০ ডিগ্রিতে স্প্রে করলেও প্রটেক্ট করবে।
৪ হলে যে কোন দিক থেকে পানি স্প্রে করলে ও ভিতরে ঢুকবে না।
৫ হলে ওয়াটার জেট অর্থাৎ ৬.৩ mm পাইপ দিয়া পানি দিলেও ভিতরে ঢুকবে না।
৬ হলে ১.৫ mm nozzle দিয়া পানি দিলে প্রটেক্ট করবে।
৭ হলে ১ মিটার পানির নিচে নিমজ্জিত করলে সম্পূর্ণ আংশিক প্রটেক্ট করতে পারে।
৮ হলে ১ মিটার পানির নিচে রাখলে পানি ভিতরে ঢুকবে না সম্পূর্ণ প্রটেক্ট করবে। এটা সুবমারজিবল মোটর এর জন্য ব্যবহার হয়।

58. IP এর মান ৬৮ হলে কি বুজবো?
উত্তরঃ  আইপি এর মান ৬৮ হল সব চেয়ে বেশি। প্রথম ডিজিট হল কঠিন পদার্থের প্রোটেকশনকে বুজায়। এটা কঠিন পদার্থের সব চেয়ে বেশি মান। ধুলাবালি সহ প্রটেক্ট করে থাকে। ৮ হল তরল পদার্থ প্রটেকশনের শেষ মান।
এর মানে পানিতে নিমজ্জিত করলেও কোন পানি ভিতরে ঢুকবে না।

59. VDR কি?
উত্তরঃ Voltage Dependent Resistor.

60.RPM কি?
উত্তরঃ Revolutions per minute একটি motor এর Rotor প্রতি মিনিটে কত পাক ঘুরবে কিন্তু জেনারেটরের ক্ষেত্রে fly wheel কত পাক ঘুরবে সেটাই RPM.
61.সিনক্রুনাইজিং কি?
উত্তরঃ সার্কিটের load বৃদ্ধি পেলে একটি alternator দ্বারা চাহিদা পূরন করা সম্ভব নয়।এমন অবস্থায় দুই বা ততোধিক alternator কে নিদ্রিস্ট শর্তসাপেক্ষ্যে parallel operation এ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত load এর চাহিদা পূরন করাই সিনক্রনাইজিং।
62. AVR কি? কি ভাবে কাজ করে?
উত্তরঃ ভোল্টেজ রেগুলেটর এমন একটি program able/device সার্কিট যার মাধ্যমে আউটপুট ভোল্টেজ কে সবসময় স্থির রাখা যায়। অর্থাৎ ভোল্টেজ রেগুলেটর এর ইনপুটে ভোল্টেজের কমা-বাড়ায় ও আউটপুট ভোল্ট স্থির থাকে।
কিভাবে কাজ করে
PMG stater.
PMG rotor.
Excitor rotor.
Excitor stater.
Rectifire assembly.
PT& CT এর সমম্নয়ে AVR কাজ করে ।
63. Relay কাকে বলে এবং কত প্রকার ও কাজ কি?
উত্তরঃ এটি এক প্রকার ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক বা তড়িৎ চুম্বকীয় যন্ত্র বিশেষ। সাধারণ ভাবে যদি বুঝতে চাই তা হলে একে এমন ভাবে চিন্তা করা যেতে পারে- ছোট একটা সুইচ দিয়ে যখন আমরা একটা বাতি কে জ্বালাই তখন তার জন্য আমাদের সুইচে হাত দিয়ে তাকে অফ বা অন করতে হয়। অর্থাৎ কোনো বাহ্যিক একটা শক্তি লাগে সুইচ কে অন-অফ করতে। ঠিক তেমনি ভাবেই, কোনো রীলে কেও অন বা অফ করতে এমনি বাহ্যিক শক্তি লাগে, তবে এ ক্ষেত্রে শক্তিটি বিদ্যুত চুম্বকীয় শক্তি। অর্থাৎ, এতে একটা কয়েল বা অস্থায়ী বৈদ্যুতিক চুম্বক থাকে যার মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুত সরবরাহ করলে তা সুইচটিকে অন/অফ করতে পারে। কাজেই এর মধ্যে প্রধানত ২টি অংশ থাকে প্রধানত দুই অংশ থাকে ।সুইচিং অংশ ও বিদ্যুত চুম্বকীয় অংশ।
বাজারে প্রচলিত রীলে প্রধানত 3 প্রকারঃ
SPST – Single pole single throw
SPDT – Single pole double throw
DPDT – Double pole double throw
64. Ignation module/EISM কি ও কি কি কাজ করে?
উত্তরঃ IGNATION MOUDLE/EISM-(ELECTRONIC IGNATION SYSTEM MODULE) গ্যাস ইন্জিনের হার্ট বলা হয় । যা ডিস্ট্রিবিউটার ন্যায় কাজ করে ।মুলূত ট্রানজিস্টর,ডায়াক,ট্রায়াক, কয়েল,ক্যাপাসিটর ইত্যাদির এর সমম্নয়ে গঠিত।
কুলিং অনুযায়ি দুই প্রকার ।
1) ওটার কুলিং টাইপ
2) ড্রাই টাইপ।
এর ইনপুট voltage 24DAC. শুধু মাত্র আউট পুট ইগনেশন কয়েল এর জন্য 220 DAC আর বাকি গুলোর আউট পুট 50 milivolt থেকে 12 volt DAC হয়ে থাকে । এই device এ আর্থিং থাকা জরুরি কারন প্রচুর হারমনিক current উৎপন্ন হয়।
কি কি কাজ করে
1) Detonation Sensor.
2) EIS Control Module.
3) Engine Speed/Timing Sensor.
4) Ignation Harness.
5) Manifold Sensor/Pressure Sensor.
6) Sensor Harnesses.
7) Transforms/Spark plugs.
EIS কাজ
1) Spark Voltage.
2) Spark Duration.
3) Ignation Timing.
65. Actuator এর কাজ কি?
Ans__plate 360° গোলাকার বা butterfly valve/mechanical assembly কে একটি motor দ্বারা কাজ করাই এটাই তার কাজ।

64. থ্রী ফেজ ইন্ডাকশন মোটরের রোটর ঘোরে  কেন?
আমরা জানি, মোটরের প্রধান অংশ দুইটি। স্টেটর ও রোটর। স্টেটর স্থির অংশ এবং রোটর ঘূর্ণায়মান অংশ। স্টেটরে সাপ্লাই ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হয়।

এখন প্রশ্নটা হলো, রোটর ঘোরে কেন? 
বাহিরের কোন শক্তির সাহায্যে তো রোটর ঘোরে না, তাহলে রোটর ঘোরে কিভাবে?

প্রথমত, আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, এটা ইন্ডাকশন মোটর। এটার নাম ইন্ডাকশন মোটর হলো কেন? কারন এই মোটরের কার্যক্রম ফ্যারাডের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন সূত্র বা নিয়ম মেনে কাজ করে।

আমরা যদি থ্রি ফেজ ইন্ডাকশন মোটরের তিন ফেজ ওয়্যাইন্ডিং এ তিন ফেজ এসি সরবরাহ সংযুক্ত করে, তবে স্টেটরে ঘূর্ণায়মান চুম্বক ক্ষেত্রের (∅s) সৃষ্টি হয়। এবং এটি সিনক্রোনাস স্পিডে (Ns=  120f/P) ঘুরতে থাকে। মোটরের মধ্যস্থলে শ্যাফটের সাথে সংযুক্ত দন্ডায়মান রোটর পরিবাহীকে বা আয়রন বারকে এ ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্র অনবরত কর্তন করতে থাকে। ফলে ফ্যারাডের সূত্র অনুযায়ী রোটর পরিবাহীর মধ্যে ভোল্টেজ বা ই.এম.এফ. আবিষ্ট হয়। যেহেতু রোটর পরিবাহীর উভয় দিকে মোটা তামার রিং দ্বারা শর্ট করা থাকে, সেহেতু অল্প ভোল্টেজেই এর মধ্যে অধিক পরিমানে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। এ কারনে রোটরে আরো একটি ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স (∅r) সৃষ্টি করে। এটা স্টেটরে উৎপন্ন ফ্লাক্সের বিপরীত অভিমুখ হয়। এবং এই ফ্লাক্স স্টেটর ফ্লাক্সকে বাধা প্রধান করে। লেঞ্জের সূত্র অনুযায়ী এই দুই ফ্লাক্সে (∅s) এবং (∅r) এর মধ্যে ইন্টার অ্যাকশন হয়, ফলে রোটরে ঘূর্ণকের সৃষ্টি হয়। এবং রোটর স্টেটরের ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্রের  গতির দিকে ঘুরতে থাকে। 

#প্রশ্নঃ থ্রি ফেজ ইন্ডাকশন মোটরের রোটর ঘোরে  কেন?
আমরা জানি, মোটরের প্রধান অংশ দুইটি। স্টেটর ও রোটর। স্টেটর স্থির অংশ এবং রোটর ঘূর্ণায়মান অংশ। স্টেটরে সাপ্লাই ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হয়।

এখন প্রশ্নটা হলো, রোটর ঘোরে কেন? 
বাহিরের কোন শক্তির সাহায্যে তো রোটর ঘোরে না, তাহলে রোটর ঘোরে কিভাবে?

প্রথমত, আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, এটা ইন্ডাকশন মোটর। এটার নাম ইন্ডাকশন মোটর হলো কেন? কারন এই মোটরের কার্যক্রম ফ্যারাডের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন সূত্র বা নিয়ম মেনে কাজ করে।

আমরা যদি থ্রি ফেজ ইন্ডাকশন মোটরের তিন ফেজ ওয়্যাইন্ডিং এ তিন ফেজ এসি সরবরাহ সংযুক্ত করে, তবে স্টেটরে ঘূর্ণায়মান চুম্বক ক্ষেত্রের (∅s) সৃষ্টি হয়। এবং এটি সিনক্রোনাস স্পিডে (Ns=  120f/P) ঘুরতে থাকে। মোটরের মধ্যস্থলে শ্যাফটের সাথে সংযুক্ত দন্ডায়মান রোটর পরিবাহীকে বা আয়রন বারকে এ ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্র অনবরত কর্তন করতে থাকে। ফলে ফ্যারাডের সূত্র অনুযায়ী রোটর পরিবাহীর মধ্যে ভোল্টেজ বা ই.এম.এফ. আবিষ্ট হয়। যেহেতু রোটর পরিবাহীর উভয় দিকে মোটা তামার রিং দ্বারা শর্ট করা থাকে, সেহেতু অল্প ভোল্টেজেই এর মধ্যে অধিক পরিমানে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। এ কারনে রোটরে আরো একটি ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স (∅r) সৃষ্টি করে। এটা স্টেটরে উৎপন্ন ফ্লাক্সের বিপরীত অভিমুখ হয়। এবং এই ফ্লাক্স স্টেটর ফ্লাক্সকে বাধা প্রধান করে। লেঞ্জের সূত্র অনুযায়ী এই দুই ফ্লাক্সে (∅s) এবং (∅r) এর মধ্যে ইন্টার অ্যাকশন হয়, ফলে রোটরে ঘূর্ণকের সৃষ্টি হয়। এবং রোটর স্টেটরের ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্রের  গতির দিকে ঘুরতে থাকে। সংগৃহীত

Post a Comment

 
Top