গদবাধা আর্টিকেল পড়তে পড়তে বিরক্ত? তাহলে চলুন আজ ব্যতিক্রমধর্মী একটি আর্টিকেল দেখে নেয়া যাক।
আমরা সবাই জানি, থ্রি ফেইজে তিনটা ভিন্ন বর্ণের তার থাকে। সেগুলো হল লাল, হলুদ, নীল। কিন্তু কেন ভিন্ন রং এবং এতগুলো রং থাকতে এই তিনটাই কেন নিতে হল? চলুন জানার চেষ্টা করব।
প্রথমত, ভিন্ন ভিন্ন রং ব্যবহার করার কারণ হচ্ছে যেন ফেইজ গুলোকে আলাদা ভাবে চিনা যায়। এখন, প্রশ্ন হল সবগুলোই ত ফেইজ, আলাদাভাবে চিনার দরকার কি?
অবশ্যই আছে। কোন কারণে আপনি ফেইজ সিকুয়েন্স চেইঞ্জ করতে চাচ্ছেন তাইলে আপনি সেটা ভিন্ন রং এর তার হলে সহজেই পারবেন। একই রং এর তার হলে ফেইজ চেইঞ্জ করতে গেলে কনফিউশন এ পড়তে হবে। করলেও সন্দেহ থাকবে। আদো চেঞ্জ করা হয়েছে কিনা? যেমন দুই জমজ ভাই / বোন থাকলে তাদের পৃথক করাটা কষ্টকর হয়ে যায়।
এবার আসি, লাল, হলুদ, নীল কেন?
ছোটবেলায় আমরা সবাই আর্ট শিখতে গিয়ে কিংবা পদার্থবিজ্ঞান এ পড়েছি এগুলোকে মৌলিক রং বলে। তাই অন্যান্য রং এর মধ্যে তাদের প্রাধান্য বেশি।
দ্বিতীয়ত, মানবমস্তিষ্ক এই তিনটি রং এর উপর বেশ sensitive। আমাদের অপটিক স্নায়ু খুব সহজেই এই তিনটি কালার সেন্স করতে পারে।
সবশেষে, এই তিনটি বর্ণের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় কাছাকাছি। তাই বিক্ষেপণ হয় সমানভাবে। তাই সহজেই চোখে ধরা পড়ে।
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য = 700 nm
নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য = 400 nm
হলুদ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য = 550 nm
আর লক্ষ্য করলে দেখবেন, হলুদ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য লাল & নীল এর এভারেইজ মান। তাই, RYB কানেকশন এই আলোক বিক্ষেপণ খুব ভাল হবে। বর্ণ খুব সহজে চোখে পড়বে। অনেকে বলতে পারেন আমি অন্য বর্ণও হতে দেখেছি। হতেই পারে। তবে অধিকাংশই RYB
DESCO এর রেজাল্ট দিল। ভাবছেন ভাইবা কিভাবে ফেস করবেন? কিভাবে প্রিপারেশন নিবেন? যারা ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট তাদেরও একই প্রশ্ন! শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীই নয় কর্মরত ভাইদেরও অনেক সময় কাজের সুবিধার জন্য থিওরি আওড়ানো লাগে!
Post a Comment