GuidePedia

1
নিকোলা টেসলা ই একমাত্র বিজ্ঞানী যিনি যা চিন্তা করতেন বাস্তবে তাই তৈরি করে দেখাতে পারতেন। এই জন্য অন্যান্য বিজ্ঞানীরা তাঁকে ইতিহাসের সবথেকে পাগলাটে বিজ্ঞানী বলে আখ্যা দিয়েছিলো। তাঁর তুলনা অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সাথে চলেনা। অন্যরা যেখানে থিওরি আকারে তাঁদের আবিষ্কার গুলোকে প্রকাশ করতেন সেখানে নিকোলা টেসলা বাস্তবে তৈরি করে দেখাতেন। তাঁর প্রত্যেকটা আবিষ্কারই ছিল অন্যান্য বিজ্ঞানী থেকে অনেক বিস্ময়কর। তাঁর আবিষ্কারই পৃথিবীটাকে আধুনিক করেছে।


আমরা জানি, থমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করেন। কিন্ত আমরা এটা কি জানি? যে, এডিসন বাল্ব তৈরীর আগেই নিকোলা টেসলা তার ল্যাবে বাল্ব জালিয়ে কাজ করতেন।

৩০০ এর বেশি আবিস্কারের প্যাটেন্ট ছিল মহান বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার। এছাড়াও অনেক আবিস্কারের প্যাটেন্টই গ্রহন করেননি। আর অনেক আবিষ্কারের আইডিয়া চুরি করে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা নিজের বলে চালিয়েছিলেন। আবিস্কারক হিসাবে তাঁর ক্রেডিট নাই এবং কিছু কিছু আবিষ্কার ন্যাক্কার জনক ভাবে কিছু বিজ্ঞানী চুরি করে নিজের নামে করেছিলেন।

১৮৫৬ সালের ১০ জুলাই ঠিক রাত ১২ টায় বৈরী আবহাওয়া ও প্রচণ্ড বৃষ্টিবাদলের সময় তাঁর জন্ম হয় ক্রোয়েশিয়াতে। খারাপ আর ভয়ঙ্কর আবহাওয়াতে জন্ম হয়েছে বলে মানুষ তাঁকে "Child of Darkness" বলেছিল।
কিন্তু তাঁর মা বলেছিলেন সে একদিন পৃথিবীকে আলোকিত করবে, তাই তাঁকে তাঁর মা "Child of Light" বলতেন।
বাস্তবেও কিন্তু তাই হয়েছিল।

স্কুলে/কলেজে তিনি তাঁর প্রতিভার বিস্ময় দেখাতে শুরু করলেন । বড় বড় ত্রিকোনামিতিক ক্যালকুলাস তিনি খাতা কলম ছাড়া ব্রেইনে চিন্তা করেই উত্তর বলে দিতেন। তিনি এতটাই মেধাবি ছিলেন যে কলেজের শিক্ষকরা তাঁর বিস্ময়কর মেধা দেখে তাঁর বাবাকে চিঠি দিত ।

Engineering পড়ার সময়ে এক শিক্ষকের সাথে তাঁর কোন একটা বিষয় নিয়ে দ্বিমত হয়। পরে প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা ল্যাবে কাজ করে প্রমান করেন যে তাঁর ধারনাই ঠিক। এই ঘটনা কলেজে ছড়িয়ে পড়লে তিনি সকলের কাছেই আরও বেশি বিস্ময়কর ছাত্র হয়ে উঠেন।

১৮৮৪ সালে নিকোলা টেসলা আমেরিকা যান। সাথে ছিল ৪ টি কাপড় আর নিজের পরিচয় পত্র। আর ছিলো একজনের একটা চিঠি যেটা নিকোলা টেসলাকে বলা হয়েছিল এডিসন কে পৌঁছে দিতে। সেই চিঠিটাতে লিখা ছিল
"আমি পৃথিবীতে দুইজন জ্ঞানী লোককে চিনি, একজন তুমি (এডিসন) এবং অপরজন তোমার সামনে দাড়িয়ে আছে (নিকোলা টেসলা)।"

তাঁর আবিষ্কৃত AC বিদ্যুৎ পুরা পৃথিবীকেই আলোকিত করেছে এবং আমাদেরকে একটা আলোকিত পৃথিবী দিয়েছে। যদি বিনিয়োগকারীরা তার ফান্ডে কাজের জন্য টাকা দেয়া বন্ধ না করত তাহলে আজ পৃথিবীবাসীকে নিকোলা টেসলা কোনো তার ছাড়াই বিদ্যুৎ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে Wireless Electricity ফ্রিতে দিয়ে যেতে পারতেন।

নিকোলা টেসলা এমন একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিলেন, কোন তাঁর ছাড়াই বিদ্যুৎ এক স্থান থেকে অন্যস্থানে পাঠানো যেত।

তখনকর সময়ে একজন নামকরা ব্যবসায়ীর থেকে ফান্ড নিয়ে তৈরি করেন ১৮৭ ফিট উঁচু একটি Tesla Tower যেখান থেকে তাঁর ছাড়াই বিদ্যুৎ পাঠানো যাবে। এবং তিনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে সারা পৃথিবীকে বিদ্যুৎ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি পুরা পৃথিবীকেই একটা conductor হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। এবং সার্থকও হয়েছিলেন। কিন্তু প্রোজেক্টের কাজ শেষ হবার আগেই বিনিয়োগ কারীরা টাকার জোগান দেয়া বন্ধ করে দেয়। কারন বিদ্যুৎ কোম্পানি গুলোর ভয় ছিল যদি সারা পৃথিবীতে ফ্রিতে বিদ্যুৎ দেয়া হয় তাহলে কোম্পানিগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে। পরে এই আবিষ্কারটি হারিয়ে গেছে । না হলে আজ আমরা তাঁর ছাড়াই ফ্রিতে বিদ্যুৎ পেতাম।

আমরা গ্রামে-গঞ্জে এখনো ওয়াইফাই পাইনি। কিন্ত এই ওয়াইফাই ও টেসলার আবিষ্কারের বিবর্তিত রূপ। বর্তমান যুগের Wifi technology মূলত টেসলার এসব আবিষ্কার থেকেই বিবর্তিত হয়ে এসেছে।

AC vs DC War
এডিসন তাঁর কোম্পানিতে টেসলা কে নিয়োগ দেন এবং DC জেনারেটর পুনরায় ডিজাইন করার জন্য তাঁকে $50000 দেবেন বলে ঘোষণা দেন । Nikola Tesla প্রচণ্ড পরিশ্রম করে সফল হন। কিন্তু তিনি টেসলা কে কোন টাকাই দেননি এবং বলেন "It's a Joke"


"নিকোলা টেসলা" পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইন্জিনিয়ার।

পৃথিবীর ইতিহাসে সব থেকে রহস্যময় ও বিস্ময়কর বিজ্ঞানী ছিলেন নিকোলা টেসলা, যিনি সত্যি বলতে পুরো আধুনিক পৃথিবীরটা আমাদের দিয়ে গেছেন।

আপনি হয়তো অনেক কিছু জানেন না তাঁর আবিষ্কার সম্পর্কে। যার ছিল ৩০০ টির বেশি আবিষ্কারের প্যাটেন্ট এবং তাঁর আবিষ্কার গুলো ছিল সময়কে ছাপিয়ে গিয়ে, সে সময় থেকেও অনেক অনেক আধুনিক যা বর্তমান যুগেও আধুনিক হিসাবে বিবেচিত হয়।

জন্ম, শৈশব এবং শিক্ষা:
Nikola Tesla জন্মই ছিল রহস্যময়। প্রচণ্ড প্রতিকূল আবহাওয়া ও বজ্রপাতের রাতে ১৮৫৬ সালে ৯ জুলাই এবং ১০ জুলাইয়ের মাঝে রহস্যময়ভাবে ঠিক রাত ১২ঃ০০ টা তার জন্ম হয় ক্রোয়েশিয়াতে। তাই তার জন্ম তারিখ ২ টি বলা হয়ে থাকে।

খারাপ আর ভয়ঙ্কর আবহাওয়াতে জন্ম বলে মানুষ তাকে “Child of Darkness” বলেছিল কিন্তু তার মা বলেছিলেন সে একদিন পৃথিবীকে আলোকিত করবে, তাই তাকে তার মা “Child of Light” বলতেন। বাস্তবেও কিন্তু তাই হয়েছিল। তার আবিষ্কৃত AC বিদ্যুৎ পুরা পৃথিবীকেই আলোকিত করেছে এবং আমাদের আধুনিক পৃথিবী দিয়েছে।

মানব কল্যাণে Nikola Tesla এর যুগান্তরকারী আবিষ্কার গুলো:
300 এর বেশি আবিস্কারের প্যাটেন্ট ছিল এই মহান বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা। এছাড়াও অনেক আবিস্কারের প্যাটেন্টই গ্রহন করেননি। আর অনেক আবিষ্কারের আইডিয়া চুরি করে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা নিজের বলে চালিয়েছিল। নিকোলা টেসলা একমাত্র বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি যা চিন্তা করতে তাই তৈরি করে দেখাতেন। আবিষ্কারই ছিল তার নেশা।

1. AC Electricity:
এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এসি বিদ্যুৎ আবিষ্কার না হলে আমরা অন্ধকার পৃথিবীতেই থাকতাম। আর পৃথিবীতে এত শিল্প বিপ্লব হত না।

2. Radio:
মারকনির রেডিও আবিস্কারের কয়েক বছর আগেই নিকোলা টেসলা রেডিও আবিষ্কার করেছিলেন এবং রেডিও তরঙ্গও তার গবেষণার কাজেও ব্যবহার করেছিলেন। 1943 সালে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট সত্যটা জানার পরে মারকনির রেডিও প্যাটেন্ট বাতিল ঘোষণা করে নিকলা টেসলাকে রেডিও আবিষ্কারক হিসাবে ঘোষণা করে। কিন্তু একবছর পর প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় মারকনি প্যাটেন্টটি নিজের নামে বহাল রাখতে সক্ষম হয়েছিল।

3. Remote, Robot and Guided Missile System:
নিকোলা টেসলা রিমোট প্রযুক্তি এর জনক ছিলেন। তিনি একটি খেলনা নৌকাকে দুর নিয়ন্ত্রিত ভাবে চালাতে গিয়ে একসাথে ৩ টি আবিষ্কার করে ফেলেন। ১. পৃথিবীর সর্বপ্রথম রিমোট , ২.পৃথিবীর সর্বপ্রথম রোবট , ৩.পৃথিবীর সর্বপ্রথম গাইডেড মিসাইল সিস্টেম।

4. Wireless Electricity:
নিকোলা টেসলা এমন একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিলেন, কোন তার ছাড়াই বিদ্যুৎ এক স্থান থেকে অন্যস্থানে পাঠাতে যেত। তিনি তখনকর সময়ে একজন নামকরা ব্যবসায়ীর থেকে ফান্ড নিয়ে তৈরি করে 187 ফুট উঁচু একটি Tesla Tower যেখান থেকে তার ছাড়াই বিদ্যুৎ পাঠানো যাবে এবং তিনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে সারা পৃথিবীকে বিদ্যুৎ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।

তিনি পুরা পৃথিবীকেই একটা conductor হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন এবং সার্থকও হয়েছিলেন। কিন্তু প্রজেক্টটির কাজ শেষ হবার আগেই বিনিয়োগ কারীরা হঠাৎ করেই টাকার জোগান দেয়া বন্ধ করে দেয়। কারন বিদ্যুৎ কোম্পানি গুলো ভয়ে ছিল যদি সারা পৃথিবীতে ফ্রিতে বিদ্যুৎ দেয়া হত অনেক কোম্পানিই দেউলিয়া হয়ে যেত। আবিষ্কারটি হারিয়ে গেছে। না হলে আজ আমরা তার ছাড়াই ফ্রিতে বিদ্যুৎ পেতাম।

5. Induction Motor:
শিল্প ক্ষেত্রে Induction Motor এর ভুমিকা কেমন সেটা আর নতুন করে বলার কিছু নাই।

6. Tesla Coil:
বর্তমান যুগের Wifi technology মূলত টেসলার এসব আবিষ্কার থেকেই বিবর্তিত হয়ে এসেছে। তার আবিষ্কার সম্পর্কে লিখে শেষ করতে পারব না।

🔰🔰🔰Nikola Tesla এর কিছু আবিষ্কার ছিল যে গুলো পৃথিবী ধংসের ক্ষমতা রাখতে পারতো। কিন্তু মানব কল্যাণের স্বার্থে তিনি নিজের হাতেই তৈরি করেই তা নষ্ট করেছিলেন। আর কয়টি আবিষ্কার তিনি অর্থাভাবে করতে পারেন নি।

1. Earthquake Machine:
1893 সালে নিকোলা টেসলা এমন একটি মেশিন তৈরি করেন যা দিয়ে বড় মাত্রার ভুমিকম্প তৈরি করে ফেলেছিলেন। এটি মূলত ছিল একটি Oscillator যার নাম দিয়েছিলেন “Tesla Oscillator” এবং তিনি অনুভব করেছিলেন তার যন্ত্রটিকে যদি খুব বড় পরিসরে তৈরি করা হয় পুরা পৃথিবীতে ভূমিকম্প সৃষ্টি করা যেতে পারে। মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে তিনি নিজের হাতে হাতুরি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছিলেন এবং আবিষ্কারটিও হারিয়ে যায়।

2. Artificial Tidal Wave:
সমুদ্রে বিশাল কৃতিম ঢেউ তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন যা সুনামি তৈরি করতে সক্ষম ছিল এবং যা দিয়ে শত্রু পক্ষের জাহাজকে সেই ঢেউতে ডুবিয়ে দিতে পারতো।

3. Thought Camera:
নিকোলা টেসলা সেই সময়েই এমন একটি ক্যামেরা তৈরির কথা বলেছিলেন যা মানুষের চিন্তা শক্তি থেকে ডাটাতে কনভার্ট করে সেই গুলোকে দেখা যাবে একটি স্ক্রিনে, এমন একটি প্রজেক্ট। কিন্তু তিনি আর্থিক কারনে প্রজেক্ট করতে পারেননি। সম্ভব হলে মানুষের কোন কিছুই আর গোপন থাকতো না।

4. Electric-Powered Supersonic Airship:
তিনি এমন একটি Airship এর কথা বলেন যার গতি হবে এতই বেশি মাত্র ৩ ঘণ্টায় New York City থেকে London যেতে পারবে। কিন্তু এই আবিষ্কারটির সমস্ত মডেল, ডকুমেন্ট মৃত্যুর পরে হারিয়ে যায়।

5. Philadelphia Experiment / Project Rainbow / teleportation:
এটি ছিল World War 2 এর সময়ের একটি প্রজেক্ট। আমেরিকার নৌবাহিনী জাহাজ অদৃশ্য করে শত্রু বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই প্রজেক্ট এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো নিকোলা টেসলাকে। সেই প্রজেক্ট এ নিকোলা টেসলার অধীনে আলবার্ট আইন-স্টাইনকেও টিম মেম্বার করা হয়। নিকোলা টেসলা ছোট একটি Boat এর ক্ষেত্রে সার্থক হয়েছিলেন। নিকোলা পুরোপুরি অদৃশ্য করে ফেলেন সেটিকে। কিন্তু এই পরীক্ষাটি করে সফল হওয়ার পর কিছু ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর নিকোলা টেসলা প্রজেক্ট থেকে অব্যাহতি নেন এনং তিনি নিষেধ করেছিলেন আইনস্টাইন সহ বাকি যে মেম্বরদেরকে যাতে এই বড় জাহাজ এর ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি না করা হয়।

© Rmman Nayik Jr

Post a Comment

  1. কি বলব?বলার শেষ নেই।আচ্ছা তার মৃত্যু কিভাবে ঘটল?

    ReplyDelete

 
Top