GuidePedia

0
তারাবীহ আসলে কয় রাকাত? আট নাকি বিশ?
(দলীলসমৃদ্ধ আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন)


১ম পক্ষঃ তারাবীহ আট রাকাত। 
২য় পক্ষঃ তারাবীহ বিশ রাকাত।

১ম পক্ষের দলীলঃ 

১ম দলীলঃ আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করেন যে, রমযানে নবীজীর নামায কেমন হত? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে এবং রমযানের বাইরে এগার রাকাতের বেশি পড়তেন না । প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন।

{সহীহ বুখারী ১/১৫৪, হাদীস ১১৪৭; সহীহ মুসলিম ১/২৫৪,

২য় দলীলঃ

ইয়াহইয়া  ইবনে আবু সালামা র. বলেন, আমি রাসূল স. এর রাত্রিকালীন নামাজ সম্পর্কে হযরত আয়েশা রা. কে জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে তিনি বললেন, রাসুল সা. রাত্রে তের রাকাত নামাজ আদায় করতেন। প্রথমে আট রাকাত পড়তেন , এর পর বিতির পড়তেন, তারপর দুই রাকাত নামাজ বসে আদায় করতেন । -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭২৪ 

★ উক্ত সহীহ হাদীস দ্বারা বুঝা যায় রাসূল সা. রমজানে বিশ রাকাত তারাবীহ পড়েন নি বরং আট রাকাত পড়েছেন। সুতরাং তারাবীহ হল আট রাকাত। বিশ রাকাত পড়া বিদআত।

তাদের দলীলের জবাবঃ

১ম জবাবঃ উক্ত হাদীসদ্বয় দ্বারা তারাবির সংখ্যা সুনির্দিষ্টভাবে আট বলে প্রমাণ করা ভুল। কেননা, বিভিন্ন হাদীসে রাসুল সা. এর রাত্রিকালীন নামাজ- কোন রাত্রিতে ১১ রাকাত ,কখনো ১৩ রাকাত কখনো ৯ রাকাত, আবার কখনো ৭  রাকাত ও, আদায় করতেন । সুতরাং উক্ত হাদীস দ্বারা কোন সংখ্যা নির্দিষ্ট করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। 

২য় জবাবঃ প্রকৃতপক্ষে আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত হাদীসগুলো তাহাজ্জুদ সম্পর্কিত, তারাবীহ  সম্পর্কিত নয় । প্রমাণ কী? প্রমাণ হল বুখারী মুসলিম সহ সকল হাদীসগ্রন্থকারগণ এ জাতীয় হাদীসগুলোকে তাহাজ্জুদের  অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন , তারাবীর অধ্যায়ে উল্লেখ করেননি। যদি তারাবীর হাদীস হত তাহলে তাহাজ্জুদ অধ্যায়ে লিখেছেন কেন?

৩য় জবাবঃ হাদীস দুটো আবার লক্ষ করুন। সেখানে বলা হয়েছে নবীজি সা. রমজানে এবং অন্যান্য মাসে আট রাকাত করে নামাজ পড়তেন। তাহলে রমজানের বাহিরেও আট রাকাত তারাবীহ পড়া উচিত। আপনারা পড়েন না কেন? হাদীসের সুবিধার অংশ মানেন আর অসুবিধার অংশ ছেড়ে দেন। এ কেমন মোনাফেকি? 

৪র্থ জবাবঃ ধরে নিলাম, উক্ত হাদীস দ্বারা তারাবীহ আট রাকাত প্রমাণিত।  কিন্তু সেখানে তো এক সালামে চার রাকাত পড়ার কথা রয়েছে। তাহলে দুরাকাত করে আট রাকাত পড়ার কথা কই পাইলেন? 

৫ম জবাবঃ 

★বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আল্লামা শামসুদ্দীন কিরমানী রহ. বলেন, "উক্ত হাদীস দ্বারা তাহাজ্জুদ নামাযকে বুঝানো  হয়েছে।- (রেফারেন্স সহীহ বুখারীর প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাগ্রন্থ  কাওকাবুদ দুরারী, তাহাজ্জুদ অধ্যায়)  

★ ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহ. বলেন, “ হযরত আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত হাদীস তাহাজ্জুদ নামাযের সাথে  সম্পর্কিত, যা রমজান ও গায়রে রমজানে একই সমান ছিল।” (মজমুয়ায়ে ফতওয়ায়ে আযীয)  

সুতরাং উক্ত হাদীস দ্বারা আট রাকাত তাহাজ্জুদ প্রমাণিত হয়। আট রাকাত তারাবীহ নয়। তাহাজ্জুদের হাদীসকে তারাবীর নামে চালিয়ে দেয়া চরম ধোঁকাবাজি ও ফেতনাবাজি। 

মজার ঘটনা হল,আট রাকাতের এই হাদীস নিয়ে এরা পড়ল মাইনকা চিপায়। না পারছে ফেলতে না পারছে গিলতে। কীভাবে? দাড়ান বুঝিয়ে দিচ্ছি।  বিতরের নামাজ সম্পর্কে এদের কথা হল বিতর একরাকাত। তিনরাকাত নয়। তাদের পেশকৃত হাদীসে দেখা যাচ্ছে নবীজি সা. মোট এগারো রাকাত পড়েছেন। এখন হয় তাদের বলতে হবে ৮ + ৩ বিতর। কিংবা বলতে হবে ১০ + ১  বিতর।
মোটকথা আট রাকাত বলতে হলে বিতরকে তিন রাকাত মানতে হবে। আর সেটা না মানলে তারাবীহ দশ রাকাত হয়ে যাবে। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে অবস্থা!  

এবার আসুন বিশ রাকাতের দলীল শুনি।

২য় পক্ষের দলীলঃ

★ দলীল ~১ঃ নবীজি সা. বিশ রাকাত পড়েছেন।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূল সা. রমজান মাসে ২০ রাকাত তারাবীহ ও বিতির নামাজ আদায় করতেন।

(রেফারেন্স -সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী ২য় খণ্ড, ৬৯৮ পৃষ্ঠা, ৪২৮৬ নং হাদিস। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ ২য় খণ্ড, ১৬৩ পৃষ্ঠা,৭৬৮০ নং হাদিস। একই কিতাবের আরেকটি হাদীস নং- ৭৭৭৪; তাবারানী, আল কাবীর, হাদিস নং-১২১০২; আল আসওয়াত, হাদিস নং-৭৯৮; বায়হাকী, ১/৪৯৬।)

বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী রহ. ইমাম রাফিয়ী রহ থেকে বর্ণনা  করেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সা. লোকদের সাথে দু’রাত্রি বিশ রাকাত তারাবীহ নামায পড়লেন। তৃতীয় রাত্রিতে যখন লোকজন একত্রিত হলো, কিন্তু তিনি তাদের নিকট আসলেন না। অতঃপর বললেন, আমারা আশংকা হচ্ছে যে, এটা  তোমাদের উপর ফরয যায় কিনা। আর যদি এটা ফরয হয়ে যায়, তাহলে তোমরা তা  আদায় করতে সক্ষম হবেন না।” 

(রেফারেন্স -তালখীছুল হাযির ফি তাখরীজি আহাদীসির রাফিয়িল কাবীর,লামিউদ দুরারী শরহে বুখারী, মিরকাত শরহে মিশকাত)  

 ★ দলিল~২ঃ উমর রা. বিশ রাকাত পড়ার নির্দেশ। 

হযরত হাসান বসরী রহ. বলেন: “খলীফা উমর রা. রমযান মাসের তারাবীহ নামাযে হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. ইমামতিতে মানুষদেরকে জামা’তে  কাতারবদ্ধ করেন এবং তিনি (ইবনে কা’ব) ২০ রাকআত নামায পড়ান।” 

(রেফারেন্স -সিয়ারু  আলামীন নুবালাহ’, ১ম খণ্ড, ৪০০-১ পৃষ্ঠা, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ২/২৮৫/৭৭৬৪। আলমুখতারা, ১১৬১; কানযুল উম্মাহ, ৪/২৮৪, মুসনাদে আহমদ ইবনে মানীর বরাতে)

★ তাবেয়ী ইয়াযীদ ইবনে রুমান রহ. বলেছেন, “ হযরত উমর রা.এর শাসনামলে মুসলমানগণ রমযান মাসের প্রতি রাতে ২৩ রাকাত (তারাবীহ ২০ ও বিতর ৩) নামায পড়তেন।” 

(দেখুন-‘মুয়াত্তা মালেক’, সালাত অধ্যায়,হাদীস নং ৩৮০)                         
  
★ দলিল~৩ঃ হযরত আলী রা. বিশ রাকাত পড়া।

আবদুর রহমান সুলামী বর্ণনা করেন যে, হয়রত আলী রা. রমযান মাসে কুরআন তেলাওয়াতকারী হাফেযদের ডেকে তাদের মধ্যে একজনকে ২০  রাকআত (তারাবীহ) নামায পড়াতে বলেছিলেন এবং নিজে বিতরের নামাযে ইমামতি  করতেন। 

(দেখুন- ’সুনানে কুবরা লিল বায়হাকী’, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ৪৬২০)

★দলীল~৪ঃ হযরত ইবনে মাসউদ রা. বিশ রাকাত পড়া।

হযরত যায়িদ ইবনে ওহাব রহ. বর্ণনা করেন, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. রমজানে তারাবীহ নামায পড়াতেন। তার সার্বক্ষণিক ছাত্র  হযরত আ’মাশ রহ. বলেন,  হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বিশ রাকাত তারাবীহ  নামায পড়াতেন এবং তিন রাকাত বিতর পড়াতেন।” 

(রেফারেন্সঃ মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ)

দলীল~৫ঃ হযরত ইবনে কা'ব রা. বিশ রাকাত পড়ানো।

তাবেয়ী আবদুল আযীয ইবনে রুফাই রহ. বলেন, উবাই ইবনে কাব রা. রমজানে মদিনায় লোকদের নিয়ে বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতর পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা,২/ ২৮৫/ ৭৭৬৬)

★ দলিল~৬ঃ হযরত ইবনে আবী মুলাইকা রা. বিশ রাকাত। 

হযরত নাফে’ ইবনে উমর রা. থেকে ওয়াকী’ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “হযরত ইবনে আবি মুলাইকা রা. রমযান মাসে আমাদের জামা’তের ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামাযের ইমামতি  করতেন।” 

(দেখুন- মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৫ম খণ্ড, হাদীস নং ৭৭৬৫)
     
এবার দেখি চার মাযহাবের ইমামগণ কী বলেন?

★ হানাফি মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন, তারাবীহ হল বিশ রাকাত।
★শাফেয়ী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম শাফেয়ী রহ বলেন,তারাবীহ হল বিশ রাকাত। 
★ হাম্বলী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আহমাদ রহ. বলেন, তারাবীহ হল বিশ রাকাত। 
★মালেকী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম মালেক রহ. বলেন, তারাবীহ হল ছত্রিশ রাকাত।

[রেফারেন্স- আল-মুগনী, ২য় খণ্ড, ৬০৪ পৃষ্ঠা]                  

এবার দেখি মুহাদ্দিসগণ কী বলেন?

 ★ প্রখ্যাত মুহাদ্দিস  ইমাম নববী রঃ বলেন, তারাবীহ সুন্নত সকল উলামার ঐক্যমতে।
আর তা হল বিশ রাকআত যার প্রতি দুই রাকাতেই সালাম ফিরাতে হয়। (শরহুল মুসলিম,আল আযকার পৃঃ ৮৩)

★ ইমাম ইবনু আব্দিল বার রহ.বলেন, এটাই সহীহ যে, হযরত উবাই ইবনে কা‘ব রা. ২০ রাকাত তারাবীহ পড়িয়েছেন। আর তাতে কোন সাহাবী দ্বিমত করেননি। [আল ইসতিযকার ৫/১৫৭] 

★ বিখ্যাত হাদীস বিশারদ মোল্লা আলী কারী রহ. বলেন, সাহাবারা ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে,তারাবীহ ২০ রাকআত ( মিরকাত,৩/৩৪৬-মাকতাবা আশরাফিয়া)

★খ্যাতিমান মুহাদ্দিস ইবনে হাজার মক্কী রহ. বলেন,২০ রাকআত এর উপর সাহাবাদের ইজমা (ঐক্যমত্য) হয়ে গেছে। (ইনায়াতুল মাসাবীহ,পৃঃ১৮)

★ ইমাম আবু বকর কাসানী রহ. বলেন,হযরত উবাই বিন কাব রা. সাহাবাদেরকে নিয়ে প্রতি রাতে বিশ রাকআত পড়তেন এবং  একজন সাহাবীও এ ব্যাপারে কোন আপত্তি তুলেন নি। সুতরাং এর উপর তাদের ইজমা হয়। (বাদায়েউস সানায়ে,খঃ ১ পৃঃ ৬৪৪)

★ আহলে হাদিসদের অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত হাদীস গবেষক ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
হযরত উবাই ইবনে কা‘ব রা. লোকদের  (সাহাবা ও তাবিয়ীদের) নিয়ে রমজান মাসে ২০ রাকাত তারাবীহ ও ৩ রাকাত বিতর পড়তেন। এ জন্যই সংখ্যাগরিষ্ঠ উলামায়ে কেরামের মত হচ্ছে এটিই (বিশ রাকাতই) সুন্নত। কারণ, তিনি এ নামাজ পড়িয়েছেন আনসার ও মুহাজির সাহাবীদেরকে নিয়ে, তাদের কেউ এর উপর কোন আপত্তি উত্থাপন করেননি। [মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া খঃ ২৩ পৃঃ ১১১-১১২)

★ ইমাম বুখারী রহ. ও বিশ রাকাত তারাবীর কথা লিখেছেন,তিনি তার "আল কুনা" পুস্তকে লিখেছেন  যে, হযরত আবূ  আল-খুসাইব রা. বর্ণনা করেন,  হযরত সুওয়াইদ  বিন গাফালাহ রা. সব সময়-ই রমযান মাসে আমাদেরকে নিয়ে জামাআতে ২০ রাকআত  তারাবীহ নামাযে ইমামতি করতেন। 

(রেফারেন্স - আল-কুনা, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ২৩৪)

শেষ কথাঃ 

নবীজি সা. ইন্তেকালের পর হযরত আয়শা রা. আরো ৪৮ বছর বেঁচে ছিলেন।  ৪৩ বছর যাবৎ তারই চোখের সামনে, তাঁর ঘরের সাথেই লাগোয়া মসজিদে নববীতে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা হতো। তিনি কোনদিন বলেন নি,হে ওমর! তারাবীহ হল ৮ রাকাত। বিশ রাকাত পড়া বিদআত। 

মসজিদে নববীতে শত শত সাহাবায়ে কেরাম তারাবীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। একজনও বলেন নি হে উমর! বিশ রাকাত তো বিদআত,হে ইবনে কা'ব! তারাবীহ তো আট রাকাত। 

সাহাবাদের সোনালী যুগ গেল। তাবেয়ীন -তাবে তাবেয়ীনদের সোনালী যুগও গেল। ইমাম ফকীহ মুহাদ্দীসদের রূপালী যুগও চলে গেল,একজন ব্যক্তিও বলে  উঠল না,ওহে মুসলিম জনতা! বিশ রাকাত তারাবীহ তো বিদআত। 

ইসলামের একহাজার বছর পর ১২শ হিজরীর শেষ দিকে এক ফেতনাবাজ মৌলভী চেঁচিয়ে উঠল,বিশ রাকাত তারাবীহ বিদআত বিদআত। সেই থেকে তার অনুসারীরা আজও প্রতি রমজান এলে চিল্লাপাল্লা করে বিশ রাকাত বিদআত বিদআত বলে ।

তাদের কাছে প্রশ্নঃ 
কোন সাহসে হযরত উমর এই বিদআত চালু করেছিলেন? 
কিসের ভয়ে হযরত আয়েশা সব দেখেও নিশ্চুপ ছিলেন?
কেন হযরত ইবনে কা'ব এ বিদআতের ইমামতিতে রাজী হলেন? 
কার ভয়ে একজন সাহাবীও এই বিদআতের প্রতিবাদ করেন নি?

হযরত আলী,হযরত ইবনে মাসউদ,হযরত ইবনে আবী মুলাইকা রা.সহ সকল সাহাবাগণ কেন রমজানের মতো মুবারক মাসে প্রতিদিন এই বিদআত করতেন? 

মাযহাবের ইমামগণ,যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসগণ কেন বছরের পর বছর এই বিদআতকে প্রশ্রয় দিয়েছিলেন? কেন আজো মক্কা মদীনার মতো পবিত্র স্থানে এই বিদআত চালু রয়েছে?  

এসবের উত্তর যেদিন দিতে পারবেন সেদিন আসবেন বিশ রাকাত তারাবীহ বিদআত বলতে।


Post a Comment

 
Top