যদি মহাকাশে বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়, তাহলে কি কি ঘটতে পারে.........
প্রথমত-
আমরা জানি মহাকাশে বায়ু মাধ্যম থাকে না।আর শব্দ কোনো জড় মাধ্যমের সাহায্য ছাড়া এক জায়গা থেকে অন্য জাইগায় যেতে পারে না। এজন্যই মহাকাশে যদি গুলি চালানো হয়, তাহলে কোনো শব্দ শুনতে পাওয়া যাবে না।
দ্বিতীয়ত:-
মহাকাশে যেহেতু কোনো রকম বায়ু থাকে না, তাই অক্সিজেন থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না।ফলে নরমাল বন্দুকের মধ্যে যদি আলাদা ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে বন্দুকটি থেকে গুলো বের হবে না। কারণ অক্সিজেন না থাকালে আগুন জ্বলবে না, আর আগুন না জ্বললে গুলির ভিতরে থাকা বারুদের দহন হবে না। আর বারুদের দহন না হলে গুলিটি কাজ করবেই না।
যদিও বর্তমান সময়ে আধুনিক বন্দুকগুলার কাজ করার জন্য কোনো ধরণের বায়ুমণ্ডল বা অক্সিজেনের উপস্থিতির প্রয়োজন হয় না। বন্দুকের কার্তুজের মধ্যে তার নিজস্ব oxidizer বা জারক পদার্থ যুক্ত করা থাকে। বন্দুকের ট্রিগার চাপার সাথে সাথেই oxidizer এর বিক্রিয়ার ফলে বারুদ প্রজ্জলিত হয় এবং তার বিস্ফোরণে বুলেট নল দিয়ে বেরিয়ে আসে |
তৃতীয়ত:-
একটা ভুল ধারনা এক্সপ্লেইন করি।যদি আলাদা ভাবে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে বন্দুক থেকে গুলি বের করা যায়, তাহলে অন্য বিপদের মুখোমুখি হতে হবে। আপনিও একই পরিমান গতিবেগ নিয়ে গুলির বিপরীত অভিমুখে ছুটে যাবেন। বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।এরকম ধারনা হতে পারে।
বাট বাস্তবিকে এটা হয় না
গুলি চালানোর আগে ও পরে গুলি, বন্দুকসহ আপনার ভরবেগ সংরক্ষিত হবে। বন্দুকসহ আপনার ভর অবশ্যই গুলির চেয়ে বেশি হবে। তাই, ভরবেগ সংরক্ষণের জন্যে আপনার বেগ অবশ্যই গুলির সমান হবে না, গুলির বেগই বেশি হবে। অর্থাৎ এ পয়েন্ট বাদ।
চতুর্থত:-
মহাশূন্যে গুলি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হবে ব্যতিক্রমী কৌশল। নয়তো সরল দৃষ্টিতে যদি বিবেচনা করি, মহাশূন্যে কোন প্রতিরোধক না থাকায় যিনি গুলি ছুঁড়বেন গুলিটি কোন একটি গ্রহের কক্ষপথ ঘুরে তার পিঠেই আবার গুলিটি বিদ্ধ হতে পারে!কারন নিউটনের গতি সূত্র অনুযায়ী গতিশীল বস্তু চিরকাল গতিশীল থাকবে।
তবে এখানে একটু কথা আছে
যদি কোন কম গ্রাভিটি ওয়ালা গ্রহে গিয়ে গুলি ছোড়া যায় যেটার গতিবেগ এতটাই বেশি হবে যে গুলিটা স্যাটেলাইট এর মত গ্রহটাকে ঘুরতে থাকবে তাহলে আপনার গুলি গ্রহটাকে একবার প্রদক্ষিণ করে আপনাকে এসেই লাগবে পেছন দিক থেকে যদি গ্রহটা একদম গোলাকার হয় তাহলে।
Post a Comment