ডিটক্স ওয়াটার কী?
এটি হল এক ধরনের ইনফিউজড ওয়াটার, যা ওজন কমাতে সহায়ক। ডিটক্স ওয়াটার মানুষের শরীরে সোডিয়াম অপসারণ করতেও বিশেষভাবে সহায়তা করে।
তাজা ফল,সবজি ও ভেষজ উপাদান কেটে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখার পর পানির যে উপযোগিতা তৈরি হয়, তাকে ডিটক্স ওয়াটার বলে। মূলত, এখানে ফল ও সবজি রস না করে বরং দীর্ঘসময় ভিজিয়ে রাখা হয়। এতে করে ফল ও ভেষজ থেকে গুণাগুণ পানিতে মিশতে শুরু করে।
যেভাবে তৈরি করা যায়ঃ
ঘরে বসেই আপনি তৈরি করতে পারেন ডিটক্স ওয়াটার। এজন্য দরকার ফল, সবজি ও ভেষজ। ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করতে কাঁচের কিংবা ফুড গ্রেড জারে এসব উপকরণ পাতলা করে কেটে ৫-৬ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখাই যথেষ্ট।
ডিটক্স ওয়াটার সেবনে মেটাবলিজমের উন্নতি হয়, ফলে শরীরে শক্তি বাড়ে। ডিটক্স ওয়াটার শরীরের ক্যালোরির পরিমাণ ঠিক রাখে। যার ফলে ওজন কমার পাশাপাশি মেটাবলিজম শক্তিশালী হয়। শরীর হাইড্রেটেড থাকে ও হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে।
শীতে হাইড্রেটেড ও ফিট থাকতে বিভিন্ন ফল বা সবজি দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার নিজেই বানিয়ে নিন। এগুলো আমাদের শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে কাজ করে। এটি আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য ডিটক্স পানীয় একটি খুব সহজ এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
সংমিশ্রণ করবেন যেভাবেঃ
ডিটক্স ওয়াটার তৈরিতে ফল, সবজি ও ভেষজের উপযুক্ত সংমিশ্রণ খুবই জরুরি। ডিটক্স ওয়াটার সমন্বয় করতে পারেন এভাবে-
-শসা ও পুদিনা পাতা
-আদা ও লেবু
-আদা, শসা ও লেবু
-তরমুজ ও পুদিনা পাতা
-আপেল ও দারুচিনি
-আঙুর, কমলা ও লেবু
-স্ট্রবেরি, পুদিনা পাতা কিংবা তুলসী পাতা ইত্যাদি।
প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী ফল,ভেষজ উপাদান মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন এই পানীয়।
কখন পান করবেন ডিটক্স ওয়াটার?
খালি পেটে পান করার প্রয়োজন নেই ডিটক্স ওয়াটার। বরং সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এ পানীয় পান করলে কারোর কারোর ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে। যেমন ডায়ারিয়া, বুক জ্বালা করা কিংবা অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে। ডিটক্স ওয়াটার পান করার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে মধ্যসকাল কিংবা বিকেলে নাস্তার পর।
তবে স্মরণ রাখুন, কোনো কিছুই অতিরিক্ত শরীরের জন্য ভালো নয়। সঠিক নিয়ম মেনে এবং সঠিক মাত্রায় না খেলে 'ডিটক্স ওয়াটার'-এও শরীরের ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ডিটক্স ওয়াটার খেলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমতে শুরু করে। অতিরিক্ত প্রস্রাবের ফলে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে ক্লান্তি ভাব আসে। সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব, বমি ভাব, মাথার যন্ত্রণা হতে থাকে। শরীরের কার্যক্ষমতাও কমে যায়।
সারাদিনে এক থেকে দুই গ্লাস তথা ৫০০ মিলি ডিটক্স ওয়াটার পান করাই যথেষ্ট।
Post a Comment