হাইড্রোজেন এর আত্মজীবনী
আমি হাইড্রোজেন (H) ।
পর্যায় সারনীর সবার উপরে আমি কিন্তু 1S1 ইলেকট্রন বিন্যাস নিয়ে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয় ।
আমি জানি যে আমি একটু হালকা প্রকৃতির । আমার যে নিউট্রন নেই ।
এ যুগে সব জায়গায় শক্তির জয় জয়কার। তাই তো আমার নিজের চাচাতো ভাইয়েরা Li ,Na ,K ,Rb ,Cs ,Fr যখন আমার পছন্দের মেয়ে F,Br ,Cl ,I কে নিয়ে টানা টানি করে তখন শুধু আমি জানি আমার কত কষ্ট হয় । তবুও মনের দুঃখে প্রতিস্থাপিত হয়ে যাই ।
এটাতো গেল চাচাত ভাই এর কথা, আমার বেস্ট ফ্রেন্ড কার্বন এর কথা বলি । C আর আমি সেই ছোট কালের বন্ধু । দুইজনের মধ্যে কত সুন্দর বন্ধুত্ব । দুইজনে কত ভাবে কত প্রকৃতিতে যুক্ত হইতাম । আমাগো বন্ধুত্ব দেইখা লোকে আমাগো নাম দিছিল হাইড্রোকার্বন ।
এখানেও আমাকে ছোট করা হয়েছে, সবসময় কার্বন সংখ্যা দ্বারায় আমাদের (হাইড্রোকার্বনকে) মূল্যায়ন করা হয় । আমার সংখ্যায় কিছুই যায় আসে না । কিন্তু র্কাবন এর তো ক্যারেকটার লুজ। মাইয়া দেখলেই আমাদের মাঝখানে ঢুকিয়ে নেয় ।
মাঝে মাঝে তো আমারে বাইর কইরা দিয়া মেয়ের সাথে সর্ম্পক করে ।
১৭৬৮ সালে যখন হেনরী জনসন আমাকে আবিষ্কার করল তখনও আমার অনেক স্বপ্ন ছিল, প্রেম করমু বিয়া করুম।
অক্সিজেন এর সাথে আমার সেই রকম রিলেশন। বিয়া করি -HO রে। আমাগো বাচ্চার নাম পানি।
আপনারা যারা ভাবতাছেন আমি র্দূবল তাগো কইতাছি, পৃথিবীতে যত শক্তিশালী
এসিড আর ক্ষার আছে সবগুলোতে আমার উপস্তিতি আছে । এসিড এ থাকি ধনাত্বক অংশ হিসাবে ।
এসিড আর ক্ষার আছে সবগুলোতে আমার উপস্তিতি আছে । এসিড এ থাকি ধনাত্বক অংশ হিসাবে ।
আর হাইড্রোজেন বোমার কথা নাই কইলাম ।
জ্বালানী হিসাবে আমি কি করতে পারি তা রকেট রে জিগায়েন ।
সবাইরে কমু আমারে ছোট ভাববেন না। আমারে ভাল কাজে লাগান । আর হ আমি কিন্তু দাহ্য গ্যাস আমারে নিয়া খেলবেন না ।
সংগৃহীত





Post a Comment