Basic tips for Car Maintenance | Vehicle Maintenance Tips Every Driver Must Know
প্রাইভেট কার বেসিক মেইন্টেন্যন্স টিপস । যে বিষয় গুলো সম্পর্কে অবশ্যই জানা দরকা
আপনার গাড়ীর ভাল পারফরম্যান্স এর জন্য অবশ্যই আপনাকে গাড়ী যন্ত নিতে হবে অর্থাৎ গাড়ীর নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন করতে হবে। যে বেসিক জিনিস গুলো একজন গাড়ির মালিক বা গাড়ির ড্রাইভারের অবশ্যই জানা থাকা দরকার সেই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করব। car maintenance basic tips
নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন করলে যেমন আপনার গাড়ি ভাল থাকে তেমনি আপনার গাড়ির দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। আপনি হয়ত জানেন যে প্রত্যেক ছোট খাট সমস্যর জন্য সবসময় মেকারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না বা সম্ভব হলেও মেইন্টেন্যস খরচটা তুলনামুলক বেড়ে যায়। আবার এসব ছোটখাট সমস্য থেকে অনেক সময় বড় ধরনের সমস্য হতে পারে। বেসিক মেইনটেন্যান্স এর জন্য আপনাকে যে সব বিষয় দেখতে হবে তা হল ওয়েল লেভেল চেক, কুল্যন্ট লেভেল চেক, ফিল্টার পরিস্কার করা এবং ব্যটারি চেক করা।
বেসিক মেইনটেন্যন্স শুরু করতে প্রথমে আপনাকে বোনেট খুলতে হবে। তারপর একে একে কাজ গুলো করতে হবে।
ওয়েল লেভেল চেক
ওয়েল লেভেল চেকার এর মাধ্যেম আপনি আপনার গাড়ির ইঞ্জিনের মধ্যে লুব্রিকেশন ওয়েল এর পরিমান চেক চেক দিতে পারেন। ওয়েল লেভেল চেকার একটি লম্বা স্টিক এর মত যার গায়ে দাগ কাটা থাকে অথব ইংরেজীতে High, Medium এবং Low লেখা থাকবে।
এই লম্বা স্টিকটি খুলে একটা পরিস্কার ন্যকড়া দিয়ে মুছে আবার স্টিকটি ভেতরে ঢুকিয়ে বের করে লেভেল দেখতে হবে ঠিক আছে কিনা। যদি Low থাকে তবে আবার পুনরায় কিছু ওয়েল যুক্ত করতে হবে।
এই ওয়েল লেভেল চেকার এর মাধ্যেম আপনি তেলের কোয়ালিটিও চেক দিতে পারেন। দুটি আংগুলের মধ্যে লুব ওয়েল নিয়ে একটু ঘষা দিলে এর পিচ্ছিলতা বুঝে ইঞ্জিন ওয়েল বা লুব ওয়েল চেঞ্জ করা যেতে পারে। সাধারনত ১ মাস দুই মাস পর পর চেক দিতে পারেন।
কুল্যান্ট লেভেল চেক
এর পর আপনাকে কুল্যান্ট লেভেল চেক দিতে হবে। কুল্যান্ট ব্যবহারের উদ্দেশ্য হচ্ছে রেডিয়েটর এবং ইঞ্জিনকে অতিরিক্ত হিট অথবা ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে। কুল্যান্ট এক প্রকার লিকুইড যা পানির সাথে মিক্স করেও ব্যবহার করা যায়। অথবা পানিকেও কুল্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে কুল্যন্ট হিসেবে এক প্রকার লিকুইড বাজারে পাওয়া যায় সেটা ব্যবহার করাই উত্তম।
গাড়িতে দুইটি আলাদা জায়গাতে কুল্যান্ট ফিল করতে হয়। একটি রেডিয়েটর এর জন্য আরেকটি ইঞ্জিনের জন্য।৪৫ হাজার কিঃ মিঃ রানিং এর পর সাধারনত ইঞ্জিন কুল্যান্ট পরিবর্তন করার নিয়ম।
কুল্যান্ট ক্যাপ খুলে কুল্যান্ট লেভেল দেখে কুল্যান্ট ফিল করতে হবে প্রয়োজনমত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কুল্যান্ট ফিল করা যাবে না।
এয়ার ফিল্টার চেক
কুল্যান্ট চেক হয়ে গেলে আপনি এয়ার ক্লিনার চেক দিতে পারেন। এয়ার ফিল্টার অধিক পরিমান ব্যবহারের ফলে এতে বেশ ময়লা জমে যায়। প্রত্যেক ১৫ হাজার মেইল চলার পর সাধারনত এয়ার ফিল্টার পরিস্কার করতে হয়। এয়ার ক্লিনার পরিস্কারের ফলে আপনার গাড়ির পারফরম্যন্স বাড়ে।
যদি দেখেন এয়ার ফিল্টারে ময়লা জমে আছে তাহলে আপনাকে এয়ার ফিল্টার খুলে কম্প্রেসড এয়ার এর মাধ্যেমে পরিস্কার করে পুনরায় লাগিয়ে দিতে হবে।
পানির পরিমান চেক
কুল্যান্ট চেক হয়ে গেলে আপনি উপরোক্ত ছবির মত একটি পানির ক্যাপ দেখতে পাবেন। পানির ক্যাপটি খুলে প্রয়োজনমত পানি ফিল করতে হবে। পানির সাথে আপনি শ্যাম্পু মিক্স করতে পারেন। অবশ্যই ম্যাক্সিমাম লেভেল থেকে একটু কম পানি ফিল করুন।
ব্রেক ওয়েল চেক
আপনার হয়ত জানেন গাড়ির ব্রেক খুবিই একটি জরুরী জিনিস। এই ব্রেককে সিস্টেম কন্ট্রোল করতে ব্রেক ওয়েল এর প্রয়োজন হয়। ব্রেক ওয়েল এর ক্যপ খুলে যদি দেখেন ব্রেক ওয়েল কমে গেসে তাহলে আপনাকে প্রয়জোনমত ব্রেক ওয়েল বা ব্রেক ফ্লুয়িড যুক্ত করতে হবে।
ব্যাটারি কানেকশন চেক
দীর্ঘদিন গাড়ি চালানো হলে ব্যাটারির যে পজেটিভ এবং নেগেটিভ কানেকশন থাকে সেগুলো অনেক সময় জং বা মরিচা ধরে যায় এতে ইঞ্জিন স্টার্ট হতে প্রবলেম হয়। তাই টার্মিনালগুলোতে যদি জং বা মরিচা ধরে যায় সেগুলো ঘষে তুলে গ্রিজ দিয়ে কানেকশনগুলোকে ভাল রাখা যায়।
এয়ার কন্ডিশনার ফিল্টার চেক
এয়ার কন্ডিশনার ফিল্টার পরিস্কার করাটা আপনার গাড়ির জন্য বেশ জরুড়ী। ফিল্টারে নোংরা জমলে ঠান্ডা কম বের হতে পারে। এজন্য ফিল্টার পরিস্কার করে পুনরায় লাগিয়ে দিতে হবে।
উপরোক্ত ধাপগুলো অনুসরন করে আপনার গাড়ি মেইন্টেন্যান্স করলে আপনার যেমন বাড়তি খরচ কমবে তেমনি গাড়ির পারফরম্যন্স বৃদ্ধি পাবে।
This is my personal blog. Please don’t copy.
Post a Comment