GuidePedia

0
বনসাই তৈরীর পদ্ধতি (Bosai Tree) -
🟥🟥🟥🟥🟥🟥
চারা তৈরি:
সাধারণত বনসাইয়ের চারা নার্সারি থেকে সংগ্রহ করতে হয়। বীজ সংগ্রহ করেও চারা তৈরি করে নিতে পারেন। যেসব প্রজাতির বীজ পাওয়া যায় না, সেসব উদ্ভিদের অঙ্গজ পদ্ধতি অবলম্বন করে চারা তৈরি করতে হয়। বীজ সংগ্রহ করেও চারা তৈরি করে নিতে পারেন। অর্থাৎ কাটিং, ঝড় বিভাজন, তেউড় বিভাজন, দাবা কলম, গুটি কলম, চোখ কলম প্রভৃতি পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে চারা তৈরি করে নিতে হয়। 
❇️❇️❇️❇️❇️

কাটিং:----

কাটিং হল অযৌন বংশবিস্তারের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। গাছের বিভিন্ন অংগ, যেমন – কান্ড, শিকড়, পাতা, পত্রকুড়ি প্রভৃতি মাতৃগাছ থেকে আলাদা করে রাসায়নিক, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বা পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে শিকড় গজানোর মাধ্যমে মাতৃগাছের অনুরুপ নতুন গাছ উৎপাদনকে কাটিং বলে।

কাটিং-সুবিধা/অসুবিধা

কাটিং এর সুবিধাঃ

১. অংগজ বংশবিস্তার পদ্ধতি সমূহের মধ্যে এ পদ্ধতিতে সবচেয়ে সহজে ও কম খরচে অধিক চারা উৎপাদন করা যায়।
২. জোড় কলমের মত এতে কোন জোড় অসামঞ্জস্যতা হয় না।
৩. এ পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় অনেক চারা উৎপাদন করা যায়।
৪. এতে তেমন খুব একটা কারিগরি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
৫. মাতৃগাছের গুণাগুণ অক্ষুন্ন রেখে নতুন চারা দ্রুত উৎপন্ন করা যায়।
৬. একটি মাত্র গাছ থেকে অসংখ্য গাছ জন্মানো সম্ভব হয়।
৭. বসত বাড়ীতে হেজ বা বেড়া নির্মাণে ও ফল গাছের বংশবিস্তারে এটি একটি বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি।

কাটিং এর অসুবিধাঃ

১. উপযুক্ত পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক সময় কর্তিত অংশের মূল গজায় না।
২. অনেক সময় কাটিং মাটি বাহিত বিভিন্ন রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
৩. কোন কোন সময় শিকড় গজানোর পর মাটির প্রতিকূল অবস্থার কারণে শিকড় নষ্ট হয়ে যায়।
৪. কাটিং থেকে জন্মানো ফল গাছ অতি সহজেই ঝড় বাতাসে উপড়ে যেতে পারে। কারণ এতে কোন প্রধান মূল তৈরী হয় না।
৫. সব গাছে কাটিং সফল হয় না বা কোন কোন ফল গাছে এর সফলতার হার এত কম যে সেক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অনুমোদন করা যায় না। যেমন- বীজবিহীন এবং এলাচি লেবুতে কাটিং এর সফলতার হার অনেক বেশি অথচ কাগজি লেবুতে কাটিং সফল হয় না।

varity-of-cutting

শিকড় কাটিং:

পরিণত গাছের শিকড় বা শিকড়াংশ মাতৃগাছ থেকে আলাদা করে নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় চারা উৎপাদন পদ্ধতিকে শিকড় কাটিং বলে। এই পদ্ধতিতে ১৫-২০ সেঃ মিঃ লম্বা এবং পেন্সিল বা আঙ্গুলের মতন মোটা শিকড়ের অংশ তির্যকভাবে কেটে মাটিতে পুতে রাখতে হয়।
এ কলম করার ক্ষেত্রে মাটিতে পরিমিত আদ্রতা নিশ্চিত করতে হবে। কিছুদিন পর কাটিং থেকে শিকড়সহ নতুন শাখা বের হয় এবং নতুন গাছের জন্ম দিবে। এই পদ্ধতিতে পেয়ারা, বেল, ডালিম, লেবু, বাগান বিলাস, এলামন্ডা ইত্যাদি ফল ও ফুলের চারা উৎপাদন করা যায়। এই পদ্ধতিতে গাছের বংশবিস্তার আমাদের দেশে বর্ষাকালে করা হয়। গাছ নতুন ভাবে যখন ডালপালা ছাড়া শুরু করে তার পূর্বেই এই শিকড় সংগ্রহ করতে হয়। কারণ এই সময় শিকড়ে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য মজুদ থাকে। এতে কাটিং এ সফলতার হার বেড়ে যায়।

শাখা কাটিং:
গাছের ডাল থেকে যে কাটিং করা হয় তাকে ডাল কাটিং বলা হয়। ভাল কলম পাওয়ার জন্য ডাল কর্তনকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন – শক্ত ডাল কাটিং, আধাশক্ত ডাল কাটিং, কচি ডাল কাটিং এবং কোমল ডাল কাটিং ।

১. শক্ত শাখা কাটিং
জলপাই, ডালিম, জামরুল, পাতাবাহার, জবা, গন্ধরাজ, মুসান্ডা ইত্যাদি গাছের ক্ষেত্রে ৬-১২ মাস বয়সের আঙ্গুল অথবা পেন্সিলের ন্যায় মোটা ডাল নির্বাচন করা হয়। এ সব গাছের ক্ষেত্রে আধা শক্ত ডাল ব্যবহার করেও চারা উৎপাদন করা যায় তবে তা শক্ত ডালের ন্যায় ভালো চারা উৎপাদিত হয় না।

২. আধা শক্ত শাখা কাটিং
লেবু, আঙ্গুর, গোলাপ ইত্যাদি। এ সকর ডাল পেন্সিলের ন্যায় চিকন অথবা সামান্য মোটা হতে পারে। শক্ত ডাল বা কচি ডাল দিয়েও এ সকল গাছের চারা উৎপাদন করা যায় তবে সে সকল চারা আধাশক্ত ডালের ন্যায় ভাল হয় না।

৩. কচি শাখা কাটিং
আপেল, নাশপাতি, রঙ্গন, ডুরান্ডা ইত্যাদি গাছের জন্য কচি ডাল ব্যবহার করা হয়। এ সকল গাছের ক্ষেত্রে আধা শক্ত ডাল চারা উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কচি ডালের ন্যায় ভাল হয় না।

৪. কোমল শাখা কাটিং
চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, গাঁদা, মিষ্টি আলু ইত্যাদি গাছের ক্ষেত্রে ডালের মাথার দিকের কোমল ডাল বা নতুন গজানো ডগা কাটিং হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এ সকল গাছের ক্ষেত্রে কচি বা আধাশক্ত ডাল চারা উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যায়। তবে তা কোমল ডালের ন্যায় ভালো চারা উৎপাদিত হবে না।

শক্ত বা আধাশক্ত শাখা কাটিং এর জন্য ডাল নির্বাচনের শর্তাবলী
ক) কাটিং এর জন্য ডাল নির্বাচনের সময় অবশ্যই সুস্থ্য, সবল, ডাল নির্বাচন করতে হবে।
খ) নির্বাচিত ডালের পাতাগুলো ধারালো সিকেচার দিয়ে কেটে ফেলতে হবে।
গ) কাটিং এর জন্য ব্যবহৃত ডালে কমপক্ষে তিনটি গিট বা কুঁড়ি (Bud) থাকতে হবে।
ঘ) গাছের দক্ষিন ও পূর্ব দিকের ডালে কাটিং ভাল হয, সফলতার হার বেশী। কারণ দক্ষিন ও পূর্ব দিকের ডালে সূর্যের আলো বেশী পড়ে এবং মজুদ খাদ্যের পরিমান বেশী থাকে।
ঙ) কাটিং এর জন্য বৈশাখ হতে আষাঢ় মাস উত্তম তবে শীতকাল ছাড়া সারা বছরই ডাল কর্তন কলম করা যায়।

পাতা কাটিং:

কিছু কিছু গাছ আছে যেমনঃ পাথর কুচি, মিষ্টি আলু, লেবু, ফনিমনসা, ইত্যাদির পাতা কাটিং হিসাবে ব্যবহার করলে সহজে চারা উৎপাদন করা যায়। এ পদ্ধতিতে সম্পুর্ণ পাতা বা পাতার বিভিন্ন অংশ, যেমনঃ পত্রফলক, বোটাসহ পাতা প্রভৃতি মাতৃগাছ হতে আলাদা করে নতুন চারা উৎপাদনকে পাতা কাটিং কলম বলে। পাতার গোড়া বা অন্যান্য অংশ থেকে শিকড় ও পাতা বা কান্ড জন্মে নতুন চারা উৎপন্ন হয়। পত্র কলমের জন্য অধিক আদ্রতার দরকার হয়।

পত্রকুঁড়ি কাটিং:
কিছু কিছু গাছ আছে যাদের পত্রকুঁড়ি কাটিং হিসাবে ব্যবহার করে সহজে চারা উৎপাদন করা যায়। এ পদ্ধতিতে পাতা, পাতার বোটা, ছোট একটুকরা কান্ড ও পত্রাক্ষে অবস্থিত একটি সুপ্ত কুঁড়ির সমন্বয়ে গঠিত হয় পত্রকুঁড়ি কলম। যেমন – চা, এলাচি লেবু ইত্যাদি। যেসব গাছের পাতা থেকে শিকড় বাহির হয় কিন্তু কান্ড বাহির হয় না এমন গাছের জন্য পত্রকুড়ির কাটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতের শেষ দিকে সাধারণতঃ পত্রকুঁড়ি কলম করা হয়ে থাকে। এ পদ্ধতিতে এক মৌসুমেই প্রতিটি কুঁড়ি হতে একটি নতুন চারা উৎপাদন করা যায়।

টব বাছাই ক্যাসকেটড বা উঁচু বনসাই ছাড়া সবরকম বনসাইয়ের জন্য ছোট বাটির টব উত্তম। টবের আকার হওয়া উচিত গাছের শাখা-প্রশাখাসহ তার বিস্তারের চেয়ে কিছুটা ছোট। আকৃতি দৃষ্টিনন্দন হওয়া চাই। টবের আকৃতি সবসময় বৃত্তাকার হতে হবে এমন নয়, আয়তাকার, বর্গাকার কিংবা ত্রিভুজাকারও হতে পারে।

টবে সার মাটি প্রয়োগ -
প্রথমে বিভিন্ন জাতের বনসাইয়ের জন্য আলাদাভাবে মাটি তৈরি করতে হয় ৷ মাটি তৈরির ক্ষেত্রে জৈব সারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে৷ সব ক্ষেত্রেই দোআশ বা পলি মাটি ব্যবহার করা হয়৷ বনসাই টবের জন্য মাটি তৈরি করা খুব সহজ। প্রধানত দোআঁশ মাটির সঙ্গে জৈবসার মিশিয়ে বনসাইয়ের মাটি তৈরি করা হয় নিম্নোক্তভাবে :

দোআঁশ মাটি-
পরিমাণমতো, কম্পোস্ট- ১/২ কেজি হাড় গুঁড়ো ৫০ গ্রাম, খড়ি মাটি গুঁড়ো ৫০ গ্রাম, ইট গুঁড়ো ১৩০ গ্রাম, কাঠের ছাই ৭৫গ্রাম।

 
চারা লাগানো (Planting) - 
কাটিং গুটি কলম বা বীজের চারা বনসাইয়ে সার-মাটি ভরে যথারীতি লাগাতে হবে। টবে জল নিষ্কাশনের ছিদ্রের ওপর ইটের কুচির পরিবর্তে এক টুকরো তারের জালি রেখে তা কিছু কাঁকর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। তারপর যথারীতি সার-মাটি ভরে চারা লাগাতে হবে।

বনসাই তৈরির ধাপ:
বনসাই তৈরির জন্য কাণ্ড, শেকড়, শাখা-প্রশাখা ও পাতার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করাই যথেষ্ট নয়। টবের ছোট গাছে প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা বয়োবৃদ্ধ গাছের সুঠাম ভঙ্গিমায় আনার চেষ্টা করতে হবে।

শাখা বাছাই:
বনসাইকে যে মডেলের রূপ দেয়া হবে তা স্থির করে শাখা বাছাই করা দরকার। জোড়া পাতার কক্ষ থেকে কান্ডের দু’পাশে দু’টি শাখা গজায়। বাছাই পদ্ধতি অনুসারে এর একটিকে রাখতে হবে। নিচেরটি ডানদিকে রাখলে তার ওপরেরটি বামদিকে রাখতে হবে। আসলে বনসাইয়ের কাণ্ডের রূপ সামনের দিকে কোন শাখা থাকবে না। থাকবে কেবল ডান ও বাম দিকে এবং পেছনে কাণ্ডের মাথার দিকেও শাখা থাকতে হবে।

শাখা ছাঁটাই:
প্রায়শই বনসাইয়ের বয়স ৩-৪ বছর হলে তখন প্রুনিংয়ের প্রয়োজন হয়। বাছাই করা মোটা শাখাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটতে হয়। এর জন্য যে অস্ত্রটি ব্যবহার করা উচিত তার নাম কনকেভ কাটিং প্লায়ারস এর কাটার ধরন পৃথক। কাটার স্থানের চারদিক থেকে ছাল বেড়ে তাড়াতাড়ি তা ঢেকে দেয়। বন সাই পরিচর্যার জন্য স্পেশাল যন্ত্রপাতি পাওয়া যায শুধুমাত্র সেই গুলিই ব্যবহার করুন।

তার বাঁধা:
কাণ্ড বা শাখাকে সুন্দর, সুঠাম ভঙ্গিমায় আনতে যেসব কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করা হয় তার বাঁধা তাদের মধ্যে অন্যতম। সরল শাখায় তার জড়িয়ে আঁকাবাঁকা রূপ দেয়া যায়। কাণ্ডের জন্য মোটা তার ও শাখার জন্য সরু তার প্রয়োজন। সাধারণত এজন্য তামার তার ব্যবহার করা হয়। অনেকে গ্যালভানাইজিংয়ের তারও ব্যবহার করেন। মনে রাখা দরকার, তার জড়ানোর ফলে গাছ বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। তার খোলার পর গাছকে ছায়ায় বা হালকা ছায়ায় অন্তত সপ্তাহখানেক রাখা দরকার। প্রয়োজন বোধে দু’তিনবার তার জড়ানো যেতে পারে; কিন্তু তা অন্তত ছয় মাস অন্তর হওয়া দরকার। বনসাই তৈরির জন্য উপযুক্ত প্রজাতির গাছ যেমন বট, পাকু, হিজল, অশ্বথ, ডুমুর, ডালিম, কদম, বাগানবিলাস, বোতল ব্রাশ, নিম, জামরুল ও তেঁতুল ইত্যাদি।

স্থান
বনসাই চাষের জন্য রোদ নেই কিন্তু আলো-বাতাস আছে এমন জায়গা নিতে হবে। যেমন- ফ্ল্যাটের বারান্দা, বাসার ছাদ অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো-বাতাস ঢোকে এমন ঘর।

যন্ত্র
পট, হাফ ড্রাম, সিমেন্ট বা মাটির টব, স্টিল বা প্লাস্টিক ট্রে, সিকেচার, কোদাল, কাচি, ঝরনা, বালতি, করাত, খুরপি, স্প্রে মেশিন, দোঁ-আশ মাটি, পঁচা শুকনা গোবর ও কম্পোস্ট, বালু, ইটের খোয়া ইত্যাদি।

⭕⭕⭕⭕

বনসাই স্টাইলঃ
⬜◼️◻️◾◽▪️▫️

রীতি সিদ্ধ সোজা খা‌ড়া ভঙ্গিমা (Formal Upright Style)- কাণ্ডের গোড়া থেকে আগা একই সরলরেখায় অবস্থান করে। একেবারে খাড়া কান্ডের শাখাপ্রশাখা কান্ডের ১/৩ ভাগ বাদ দিয়ে উৎপন্ন হবে। শাখাগুলো ডানে বামে কাণ্ডের সাথে ৯০ ডিগ্রী কোণে অবস্থান করে। যেমন- দেবদারু, জুনিপেরাস।

রীতি বর্জিত মামুলী খাড়া ভঙ্গিমা (Informal Upright Style)- কাণ্ড এখানে কিছুটা আঁকাবাকা থাকে। এর কান্ডের নীচের দিকে বড় এবং উপরের দিকে ছোট বাঁক দেখা যায়। শাখা প্রশাখা সমেত বনসাইটি কোনাকৃতি হয়। যেমন- অশ্বথ, লেবু , পাতি নিম ইত্যাদি।

হেলানো কান্ড (Slanting Style) – ডগা সমেত বনসাইটি ১০-৪৫০ কোন পর্যন্ত একদিকে হেলে থেকে ফরমাল আপরাইট ষ্টাইলে ৯০০ কোণে খাড়া থাকে। পুকুর ধারে এ ধরণের ষ্টাইলে গাছ দেখা যায়।

ঝড়ের বেগে হেলানো ভঙ্গিমা (Wind wept Style) – ঝড়ের বেগে হেলে পড়া গাছের মত দেখতে হয়।

বয়স্ক বৃক্ষের ভঙ্গিমা ( Split trunk Style) –এই ভঙ্গিমাটি বৃক্ষের বয়সের ফলে সৃষ্টি হয়। খুব পুরানো বয়স্ক পর্ণমোচী বৃক্ষের কান্ড ফাঁপা হয়ে যায় এবং অরেক সময় ফেটে চ্যালা হয়, এতে অনেক পশুপাখী আশ্রয় নেয়, চিরহরিৎ ব্যক্তবীজি বৃক্ষের এই অবস্থার এটি একটি শৈল্পিক রূপ।

কাষ্ঠল কান্ডযুক্ত জ্বরাগ্রস্ত- বৃক্ষের ভঙ্গিমা ( Drift wood Style) – পরিণত অবস্থায় বৃক্ষের চাল সরে গেলে হুবুহু প্রকৃতিতে জ্বরাগ্রস্ত- বৃক্ষের চেহারা নেয়। গুঁড়িযুক্ত বনসাই ক্যাসকেড (Cascade)। এই স্টাইলে গভীর টব ব্যবহৃত হয়। গোড়ার কাণ্ড হতে টব বেশ উঁচুতে উঠে জলপ্রপাতের মত নিচুতে টবের নিচে নেমে আসে।

সেমি কাসকেড (Semi Cascade) – ক্যাসকেডের মতই,তবে আগা সাধারনত টবের উপরের মাটির লেভেল থেকে নিচে যায়না।

জোড় কাণ্ড (Twin Trunk) – দুটো কাণ্ডের একই শিকড় থাকে। একটি কাণ্ড অন্যটির চেয়ে ডাবল মোটা হবে এবং সেটা লম্বায়ও অন্যটির ডাবল হবে।

বনবীথি (Group Style Yose-se) – এ স্টাইলে ৩-৯ টি বা বিজোড় সংখ্যক গাছ একই টবে বসানো হয়। সবগুলো গাছ অসমান হবে এবং গাছগুলো আগে পিছে থাকবে।

কাণ্ড পেচানো (Twisted Trunk) – এতে কাণ্ডগুলো পরস্পর পেচানো থাকে।

ক্রমাগত জোরে বায়ু বইতে থাকলে গাছগুলোকে যেমন একদিকে হেলে থাকতে দেখা যায় ঠিক তেমন ভঙ্গিমা।

শিলাশ্রয়ী ভঙ্গিমা (Clasped to Stone Style) – এই ভঙ্গিমায় একাধিক গাছ একটি অমসৃণ টিলা সদৃশ পাথরের গহবরে অবসি’ত হবে। গাছগুলোর শিকড় গহবরের মধ্যেই থাকে।

Post a Comment

 
Top