GuidePedia

0
বায়না দলিল কি? বায়না দলিল কারা করে? 
বায়না দলিল করার ফলে বিক্রেতার কী কী লাভ হতে পারে?  বায়না দলিল না করার ফলে বিক্রেতার কী কী ক্ষতি হতে পারে?  কখন বায়না দলিল রেজিষ্ট্রেশন করবেন ? 

** বায়না দলিল কী?
আপনি একটা জায়গায় কিনতে চাচ্ছেন। জায়গায় মালিকের সাথে কথা বললেন। জায়গার মালিক একটা দাম নির্ধারণ করলো ১০ লক্ষ টাকা বা ১ কাণি ১৫ লক্ষ টাকা এই রকম। 
এখন জায়গাটা আপনার মন মতো হলো। দামটাও আপনার মনমতো হলো। কিন্তু আপনার কাছে ১০ লক্ষ বা ১৫ লক্ষ টাকা একবারে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। 
আপনি জায়গায় মালিকের সাথে কথা বললেন, টাকা তো সব গুলো একসাথে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না, 
এখন অর্ধেক পরিশোধ করবো, বাকি অর্ধেক রেজিস্ট্রি করার সময় পরিশোধ করবো। আপনার প্রস্তাবটা জায়গার মালিক মেনে নিলেন।  এখন আপনি টাকা দেওয়ার সময় কোন ডকুমেন্ট ছাড়াই কি টাকা দিয়ে দিবে। নাকি স্টাম্প করে বা লিখিত কোন দলিলের মাধ্যমে টাকাটা দিবেন।  আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই লিখিত দলিলের মাধ্যমে টাকাটা দিবেন। লিখিত দলিলটাই হলো বায়না দলিল।  আপনি এবং জায়গার মালিক দুইজনই উকিল বা ডেন্ডার এর কাছে গিয়ে একটা লিখিত ডকুমেন্টের মাধ্যমে উকিল বা ভেন্ডারকে সাক্ষী রেখে জমির কিনার অর্ধেক টাকা বুঝিয়ে দিবেন, সেইটা হচ্ছে বায়না দলিল। 

** বায়না দলিল তারাই করে যারা সম্পত্তি (জমি) কিনার সময় একসাথে সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে পারে না।
** বায়না দলিল করার ফলে বিক্রেতার লাভ - 
১) ক্রেতা বা জমির মালিক  টাকা পাই নাই বলার কোন সুযোগ নেই 
২) জমির দাম পরিবর্তন করতে পারবে না। 
৩) জমির বিক্রি করবো না বলে অস্বীকার করতে পারবে না। 
৪) তৃতীয় পক্ষ ক্রেতাকে কুবুদ্ধি দিলেও কোন কাজ হবে না। 

** বায়না দলিল না করলে বিক্রেতার ক্ষতি - 
১) জমির মালিক বা ক্রেতা কিছু টাকা পেয়েও বলবে আমি টাকা পাইনি 
২) কিছু টাকা দেওয়ার পর ১ বা ২ মাস পর্যন্ত কোন টাকা দিতে পারেনি তখন মালিক বলতে পারে জমির দাম বাড়িয়ে দিতে হবে। 
৩) জমির বিক্রি করবো না। যদি কিনতে মন চাই তাহলে জমির দাম বাড়িয়ে দিতে হবে। 
৪) তৃতীয় পক্ষ জমির মালিককে কুবুদ্ধি দিতে পারে, বিক্রেতাকে কষ্টে ফেলানোর জন্য। 
৫) তৃতীয় পক্ষ বলবে  বিক্রেতার দামের চাইতে তিনগুন টাকাটা আমি বাড়িয়ে দিবো। তখন ক্রেতা নিজের মতামত পরিবর্তন করে বসে। পরিশেষে মাঝখানে বিক্রেতা কষ্টে পড়ে যাই। 

**  কখন বায়না দলিল রেজিষ্ট্রেশন করবেন -  
বায়নাপত্র দলিল সম্পাদনের ৩০ দিনের মধ্যে বায়না দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং এটি বাধ্যতামূলক; 
রেজিস্ট্রেশন আইনের ১৭(ক) ধারা অনুসারে।
অর্থাৎ আপনাকে বায়নাপত্র দলিলটি দলিল লেখক বা আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পাদন করার পরে ৩০ দিনের মধ্যে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।

** বায়না দলিল রেজিস্ট্রেশনের দিন থেকে শুরু করে ৬ মাসের মধ্যে সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে হবে;
ধারা ৫৪(ক), সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ১৮৮২।

** বায়না দলিল অবশ্যই অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করবেন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে। 
সামান্য খরচে আপনি বায়না দলিল রেজিস্ট্রি করতে পারবেন।  অনেক সময় দেখা যাই টাকা বাঁচাতে গিয়ে বায়না দলিল করে কিন্তু রেজিস্ট্রেশন করে না। 
এই ভুল কোনদিনও করবেন না।

Post a Comment

 
Top