পালংশাক কেনো খাবেন ?

<div><b>পালংশাক কেনো খাবেন?</b></div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQuZcQTL9Y8BOjnld7p83c10SKUEhE5muLwETy6vwzlsyF-TfSd5m11pdakEvjuWWBCGIVY27_VrTv5aC1vQ7ytbj7PtxBzgK1gPzFnMOv5WJqgaNQ9BPh59FxC2h-4WCsgsBacuc3QA6d/s1600/FB_IMG_1575867761488.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" class=" " data-original-height="237" data-original-width="552" height="600" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQuZcQTL9Y8BOjnld7p83c10SKUEhE5muLwETy6vwzlsyF-TfSd5m11pdakEvjuWWBCGIVY27_VrTv5aC1vQ7ytbj7PtxBzgK1gPzFnMOv5WJqgaNQ9BPh59FxC2h-4WCsgsBacuc3QA6d/s1600/FB_IMG_1575867761488.jpg" title="" width="1397"></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br></td></tr></tbody></table></div></div><div>ফ্রান্সে লিদল লিদার দিয়া কোরা মার্কেটে আমরা বারো মাসই পালংশাক পাই। আমাদের পাখিবাগান থেকেও অন্তত সাত মাস পালংশাক তুলতে পারি। বাংলাদেশের মাটিও পালংশাকের জন্য খুবই উপযোগী।</div><div><br></div><div>পালংশাক খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, ত্বকও লাবণ্যময় হয়। পালংশাক খেলে ক্যান্সার হবার আশঙ্কা কমে যায়। কারণ পালং শাকে থাকস ফ্লেবোনয়েড শরীরে ক্যান্সার জন্ম নিতে বাধা দেয়।</div><div><br></div><div>বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জ্যান্থিন আছে পালংশাক,  তাই এই শাক রেটিনার ক্ষমতা বাডায়, ফলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়।</div><div><br></div><div>পালংশাক খেলে চুলপড়া কমে যায়, মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বাড়ে। হজমশক্তিও বেড়ে যায়। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।</div><div><br></div><div>যার যা খুশি খান। কিন্তু সুস্থ সুন্দর মেদবিহীন থাকতে চাইলে চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া বাদ দিন।</div><div><br></div><div>বারান্দায় টবের মাটিতেও পালংশাকের বীজ বুনতে পারেন। পালংশাকের জন্য মাটি কম লাগে জল একটু বেশি লাগে।</div>

পালংশাক কেনো খাবেন ?

পালংশাক কেনো খাবেন? ফ্রান্সে লিদল লিদার দিয়া কোরা মার্কেটে আমরা বারো মাসই পালংশাক পাই। আমাদের পাখিবাগান থেকেও অন্তত সাত মাস পালংশাক তুলতে পা...

Read more »

জেনে নিন পেয়ারার যতো গুনাগুন

<div>আমার মনে হয়, আমার স্ট্যাটাসগুলো নিয়ে আপনারা বিরক্তবোধ করেন, কারণ লেখা লেখি ক্ষেত্রে আমার একটি বদঅভ্যাস! সেটি হচ্ছে যেকোন উসিলায় আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা গল্পের ছলে বলে যাওয়া।</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgAUhSJl6tOI7_yV5ht5AURnYfdjRPakoV0hGYv7SDiOSW21ExoGKHwl45D5aEMnq_WduqwFR52QUm5as3z_BQMY4TBEIumqfdLBmauwpC9-SBGDjBp8Wntv9nyky2o5xxWj1IuO_H-cg1g/s1600/FB_IMG_1575863137138.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" class=" " data-original-height="290" data-original-width="413" height="600" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgAUhSJl6tOI7_yV5ht5AURnYfdjRPakoV0hGYv7SDiOSW21ExoGKHwl45D5aEMnq_WduqwFR52QUm5as3z_BQMY4TBEIumqfdLBmauwpC9-SBGDjBp8Wntv9nyky2o5xxWj1IuO_H-cg1g/s1600/FB_IMG_1575863137138.jpg" title="" width="854"></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr></tbody></table></div><br></div><div>বিরক্ত হলে ক্ষমা করবেন। এই দেখুন না আজকে পেয়ারা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেও নিজের কিছু অভিজ্ঞতার কথা না  উল্লেখ করে মনে শান্তি পাচ্ছিনা।</div><div><br></div><div>আমাদের অঞ্চলে ( সিলেট মন্ডলে) তেমন উন্নত জাতের পেয়ার ফলন আগে যেমন ছিলোনা এখনো তেমন নেই। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো বাণিজ্যিক ভাবে পেয়ারার চাষ হচ্ছে বলেও তেমন কোন খবর পাইনি।</div><div><br></div><div>আমাদের এলাকায় বাসা বাড়িতে দেশী ছোট ছোট সাইজের পেয়ারার গাছ দেখা যায়, সেই সবের বীজ বেশী মাংস কম থাকে, মাঝেমধ্যে ভিতরে লাল রঙের পেয়ারা দেখা যেতো, পেয়ারাকে আমরা হপরি বলে থাকি। লাল রঙের পেয়ারাকে সৈয়দি হপরি বলি।</div><div><br></div><div>আগের আমলে মুকন্দপুরি নামক পেয়ারা বছরে একবার বা দুইবার  খাওয়া হতো যদিও তা অন্যান্য অঞ্চল থেকে আমদানি হতো।</div><div><br></div><div>বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে একটি আপেল পেয়ারার চারা এনে বাড়িতে লাগিয়েছিলাম। প্রথম দুই এক বৎসর দুই একটি ফল খেতে পারলেও এখন আর খাওয়া হয়না, পেয়ারাগুলো এনথ্রাক্স নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।</div><div><br></div><div>তো বুঝতে পারছেন, আমার জীবনের দীর্ঘকাল পেয়ারা খাবার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। কারণ পেয়ারাকে বেমজাদার ফল হিসাবেই আমি অবমূল্যায়ন করতাম। </div><div><br></div><div>এতকাল আমার দাঁতে তেমন কোন সমস্যা ছিলোনা এ</div><div>,</div><div>তবে  বছর দেড়েক আগে উপরের পাটির বামদিকের দাঁতে জিহ্বা, আংগুল, কিংবা ব্রাশের টাচ লাগলেই শিরশির করতো, কিছু চিবাতে অসুবিধা অনুভব হতো, চিবাতে পারতামনা । এর জন্য ডেন্টিসের কাছে গেলাম। ১২ শতটাকা দিয়ে স্কেলিং করে দিলেন, কিন্তু যেই সেই কমেনি তো আরো বেড়ে শিরশির করা।</div><div><br></div><div>বিকালে অফিস থেকে এসে হাত মুখ ধুয়ে কিছু নাস্তা করার অভ্যাস, আমাদের ঘরে এই সময় জাংকফুড ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়না, যা খেলে ওজন বেড়ে যায়। আরো নানাবিধ অসূখ বিসূখ আক্রান্ত হতে হয়।</div><div><br></div><div>বিকল্প নাস্তার অনুসন্ধান করতে গিয়ে,   কাসুন্দ দিয়ে পেয়ারা খাবার সিদ্ধান্ত নেই। যেই ভাবা সেই কাজ, কাসুন্দে যে তেঁতুল থাকে, তা জানতামনা যার ফলে দাঁতের শিরশির করা আরো বেড়ে যায়। ফলে কাসুন্দ বাদ দিয়ে বীট লবণ লাগিয়ে পেয়ারা খেতে থাকি,  দেড় বছর ধরে আমার বিকালের নাস্তা পেয়ারা দিয়ে করে নিচ্ছি।</div><div><br></div><div>আশ্চর্যের বিষয়, পেয়ারা খাবার তিন চার মাসের  মধ্যে আমার দাঁতের শিরশির /চিনচিন বা শিনশিন করা এখন আর নাই। একদম হাওয়া! দাঁত এখন পাত্থরের মত মজবুত হয়ে গেছে, বুঝতে পারছি এই সব পেয়ারা খাবার শুভফল!</div><div><br></div><div>মানুষ জন দাঁতের জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে কত টাকা খরচ করে অথচ প্রতিদিন একটি পেয়ারে খেতে পারলে দাঁতের রোগের জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগতোনা। </div><div><br></div><div>আমার স্ত্রী যখন বাংলাদেশে আসে, তখন সে আমাদের মৌলভীবাজার শহরের বাসায় বসবাস শুরু করে, আমাদের এলাকার মানুষ আগে কখনো কাঁচা পেয়ারা খেতে অভ্যস্ত ছিলো না।  খুব সম্ভবত সে যখন বাংলাদেশে প্রথম পেয়ারা খেয়েছিল, তারা মুকন্দ পুরি পাকা আর নরম পেয়ারা খেয়েছিল।  এবং সে পেয়ারা সে পছন্দ করেছিলো। </div><div><br></div><div>পরে যখন ঢাকায় এলাম, তখন একদিন হাইব্রিড কাঁচা পেয়ারা বাসায় নিয়ে এসেছিলাম।  কাঁচা পেয়ারা দেখে  সে কি ওয়াজ শুরু করলো আমার অবস্থা ছেড়ে দে মা কাইন্দা বাঁচি। বলল কি সাংঘাতিক তুমি কাঁচা পেয়ারা নিয়ে এসেছো? তুমি জানোনা ফল কাঁচা খেলে কি ক্ষতি হয়? </div><div><br></div><div>যতই বলি যে পেয়ারা কাঁচা খেতে হয়।  সে মানতেই চায়না। বলে দোকানী তোমাকে হাদারাম পেয়ে কাঁচা পেয়ারা গছিয়ে দিয়েছে। বললাম ঢাকার লোকেরা তো কাঁচা পেয়ারা খায়। বলল যে খায় খাক, আমি খাবোনা আর আমার বাচ্চাদের খেতেও দেবোনা।</div><div><br></div><div>কি আর করা দীর্ঘ অনেক বছর আমার বাসায় পেয়ারা কিনে আনিনি।</div><div><br></div><div>বছর দেড়েক আগের যখন আবার কাঁচা পেয়ারা এনে খেতে শুরু করি, তা দেখে আমাকে নিয়ে কত হাসাহাসি করেছে। </div><div><br></div><div>একদিন আমার ভাইকে আমার দাঁতের শিনশিন চলে গেছে, আর তা গেছে পেয়ারে খেয়ে সে কথা ফোনে জানাই, সে কথা আমার স্ত্রী শুনতে পায়।</div><div><br></div><div>আমাকে জিজ্ঞাস করে সত্যি পেয়ারা খেয়ে তোমার দাঁতের শিনশিন চলে গেছে? বললাম হ্যা তাই। </div><div><br></div><div>আমার স্ত্রী আবার সব সময় দাঁতে ব্যথায় কষ্ট পায়, কিন্তু সে বাংলাদেশের কোন মেডিসিন খায়না, কাজেই  দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পায়না।  যখন শুনেছে যে কাঁচা পেয়ারা খেলে ব্যথা চলে যায়। তখন থেকে আমার অগোচরে কাঁচা পেয়ারা খেতে শুরু করে, পরে প্রায়ই আমাকে মনে করিয়ে দেয়, তোমার পেয়ারা শেষ, আগামীকাল বাজার থেকে আনতে হবে।</div><div><br></div><div>কি বুঝলেন?  মানে উনারও দাঁতের ব্যথা পেয়ারাজি সেরে দিয়েছেন। এখন তিনি পেয়ারার ভক্ত! অথচ আমি কত উপহাসের পাত্র হয়েছিলাম। </div><div><br></div><div>পেয়ারা শুধু সুস্বাদু নয় পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফলও বটে। </div><div>বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশে প্রায় ১০০ প্রজাতির পেয়ারা উৎপাদন হয়ে থাকে। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশসমূহ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে পেয়ারা উৎপাদিত হয়ে থাকে।</div><div><br></div><div>বাংলাদেশের বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, রাংগামাটি কুমিল্লা সহ বিভিন্ন জেলায় এখন বাণিজ্যিক ভাবে পেয়ারা চাষ হচ্ছে।</div><div><br></div><div>আমাদের দেশে পেয়ারাই একমাত্র ফল যা বারোমাস পাওয়া যায়।</div><div><br></div><div>তবে এখন বাজারে ৬০-৮০  টাকা দর কেজি পাওয়া গেলেও অফ সিজনে ১৫০/১৬০ টাকা দর কেজি পাওয়া যায়।</div><div><br></div><div>পেয়ারাতে যে সব রাসায়নিক আর খনিজ উপাদান পাওয়া যায়,</div><div><br></div><div>১- কার্বোহাইড্রেট</div><div><br></div><div>২- প্রোটিন</div><div><br></div><div>৩- ভিটামিন এ বি আর কে</div><div><br></div><div>৪- পটাশিয়াম</div><div><br></div><div>৫- ম্যাগনেসিয়াম</div><div><br></div><div>৬- ফসফরাস সহ আঁশ,পানি, আর খনিজ পদার্থ।</div><div><br></div><div>নিয়মিত পেয়ারা খেলে যে সকল রোগের প্রকোপ কমিয়ে দিতে বা নিরাময় করতে পারে।</div><div><br></div><div>১- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ</div><div><br></div><div>২- হজম ক্রিয়া শক্তিশালী করা</div><div><br></div><div>৩- শরীরে নানা ধরণের ইনিফেকশনের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।</div><div><br></div><div>৪- রক্ত ভালো রাখে, তাই হার্টের রুগীদের প্রতি দিন পেয়ারা খাওয়া উচিত।</div><div><br></div><div>৫- এজমা ঠাণ্ডা কাশি নিরাময় করে</div><div><br></div><div>৬- শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে</div><div><br></div><div>৭-মূখের রুচি বর্ধক</div><div><br></div><div>৮- পেটের সমস্য দূর করে, ল্যুজ মোশন নিয়ন্ত্রণ করে।</div><div><br></div><div>৯- ত্বক চুল আর চোখের উপকার করে</div><div><br></div><div>১০- ত্বকের রুক্ষ্ম ভাব দূর করে</div><div><br></div><div>১১- পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ময়েশ্চার থাকার কারণে যারা পেয়ারা নিয়মিত খাবেন তাদের তারুণ্যকে দীর্ঘদিন ধরে রাখবে।</div><div><br></div><div>১২- শীতের সময় পা ফাটা রোধ করবে</div><div><br></div><div>১৩- ডায়াবেটিক,  ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সারের মত জটিল রোগ প্রতিরোধের সহায়ক।</div><div><br></div><div>১৪- দাঁত ও মাড়ির উপকার করে।</div><div><br></div><div>আপনি কি জানেন?  ৪টি কমলার মধ্যে যে পুষ্টিগুণ থাকে, সে পরিমাণ পুষ্টিগুণ ১টি পেয়ারার মধ্যে পাওয়া যায়। আর প্রচুর ভিটামিন সি তো আছেই।</div><div><br></div><div>আমাদের উচিত প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খাওয়ার। </div><div><br></div><div>শুধু পেয়ারা নয় পেয়ার পাতার তৈরি চাও শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। আবার পেয়ারার ডাল পুড়িয়ে যে কয়লা হয় সে কয়লা গুড়ো করে দাঁতের মাজন তৈরি করা যায়। যা দাঁতের জন্য খুব উপকারী। তবে প্রতিদিন পেয়ারা খেলে কারো কারো কুষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।</div><div>ধন্যবাদ। </div><div><br></div><div>তথ্য আর ছবি নেট থেকে সংগৃহীত।</div>

জেনে নিন পেয়ারার যতো গুনাগুন

আমার মনে হয়, আমার স্ট্যাটাসগুলো নিয়ে আপনারা বিরক্তবোধ করেন, কারণ লেখা লেখি ক্ষেত্রে আমার একটি বদঅভ্যাস! সেটি হচ্ছে যেকোন উসিলায় আমার নিজের ক...

Read more »

নোয়াখালীর ঐতিহ্য ও গুণীজনের নামকরণের ইতিহাস - Noakhali District

<div><b>নোয়াখালীর ঐতিহ্য ও গুণীজনের নামকরণের ইতিহাস:</b></div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhzm-Qcb5XHum-ApBFDoVC5RM0rmiUpEQiMNF8VKGLOiNwgpFf8dz6FkFK52bLmQCihk-c4IGVB_mtKFqJ_oO3VX3SE9U21HNgYgt2EYikn6o3rp6TWwBQl5PINlLAoqDvRcZL5rCxAamfD/s1600/FB_IMG_1574538991946.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" class=" " data-original-height="277" data-original-width="480" height="600" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhzm-Qcb5XHum-ApBFDoVC5RM0rmiUpEQiMNF8VKGLOiNwgpFf8dz6FkFK52bLmQCihk-c4IGVB_mtKFqJ_oO3VX3SE9U21HNgYgt2EYikn6o3rp6TWwBQl5PINlLAoqDvRcZL5rCxAamfD/s1600/FB_IMG_1574538991946.jpg" title="" width="1040"></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr></tbody></table></div><br></div><div>মেঘনার অববাহিকায় বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে জন্ম নেওয়া নোয়াখালী। নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষীপুর নিয়ে এক সময় ছিল মহকুমা। নোয়াখালীর নামকরণ, ভাষা, নোয়াখালী আলোকিত গুণীজন, জেলার দর্শনীয় স্থান ও নোয়াখালীর প্রিয় খাবার নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার হলো –</div><div><br></div><div><b>নোয়াখালীর নামকরণ ইতিহাস:</b></div><div><br></div><div>এ জেলার আদি নাম ভুলুয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে একবার ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর পানিতে ভুলুয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয় এবং এতে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য ১৬৬০ সালে একটি বিশাল খাল খনন করা হয়। এই বিশাল নতুন খালকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় “নোয়া (নতুন) খাল” বলা হতো, এর ফলে অঞ্চলটি এক সময়ে লোকের মুখে মুখে পরিবর্তিত হয়ে “নোয়াখালী” হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে।</div><div>১৭৭২ সালে জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস এদেশে প্রথম আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রচেষ্টা নেন। তিনি দেশকে ১৯টি জেলায় ভাগ করেন। এ ১৯টি জেলার একটি ছিল কলিন্দা। এ জেলাটি গঠিত হয়েছিল মূলত নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে।</div><div>১৭৮৭ সালে পুনরায় এটিকে ১৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। এর মধ্যে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল।</div><div>তৎকালে শাহবাজপুর, হাতিয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ,ফেনী , ত্রিপুরার কিছু অংশ, সন্দ্বীপ ও মীরসরাই নিয়ে ছিল ভুলুয়া পরগনা। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৮৬৮ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।</div><div><br></div><div><b>নোয়াখাইল্যা ভাষার যত কথা:</b></div><div><b><br></b></div><div>অনেকেই রসিকতা করে বলেন, চাঁদেও নাকি নোয়াখালীর মানুষ আছে। রূপক অর্থেই কথাটি বলা হয়। তবে এর একটা ভৌগোলিক ও নৃতাত্ত্বিক কারণও রয়েছে। নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষ আর এর ভাষা নিয়ে দেশের অন্য অঞ্চলের লোকজনদের মধ্যে এক দারুণ কৌতুহল রয়েছে। নানান মুখরোচক গল্পও প্রচলিত আছে এ জেলাকে নিয়ে। সারাদেশে তো বটেই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নোয়াখালীর মানুষ।</div><div><br></div><div>এ অঞ্চলের ভাষার সঙ্গে মিশে গেছে গ্রিক, ইংরেজি, ল্যাটিন, পর্তুগিজসহ নানান ইউরোপীয় ভাষা। সেই সাথে আরবি ফারসি তো রয়েছেই। ফলে নানান ভাষার মিশেল এক অনন্য বৈশিষ্ট্যের রূপ নিয়েছে নোয়াখালীর ভাষায়। প্রায় এক কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলে। বৃহত্তর নোয়াখালী ছাড়াও কুমিল্লা, লাকসাম, চৌদ্দগ্রাম, চাঁদপুরের কিছু এলাকা, ভোলা, চট্টগ্রামের মিরসরাই সীতাকুন্ড ও সন্দ্বীপের মানুষ এ ভাষাটিকেই ব্যবহার করছে।</div><div><br></div><div>নোয়াখালীর ভাষার মধ্যে রয়েছে অন্য এক মাদকতা। এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার ভাষার মধ্যেও রয়েছে নানান বৈচিত্র্য। নানান কথায় নানান রসিকতায় এ ভাষা প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে। যে কোনো উৎসব পার্বণে এ ভাষাতে চলে নানান রসিকতার আয়োজন।</div><div>এ ভাষায় প্রচুর গান নাটক লেখা হয়েছে। যেগুলো একেবারে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষাতেই রচিত হয়েছে। সেগুলোর জনপ্রিয়তাও প্রচুর। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত নোয়াখালী ভাষার নাটকগুলো বিভিন্ন দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। নোয়াখালী ভাষার এক নিবেদিত সাধক অধ্যাপক মো. হাশেম এ অঞ্চলের মাটির ভাষায় প্রচুর গান রচনা করেছেন। সে গানগুলো এ অঞ্চলের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়।</div><div><br></div><div>প্রিয় খাবার :</div><div><br></div><div>নোয়াখালীর মানুষ আথিতিয়তায় অতুলনীয় । এ জেলার পিঠাগুলো সারাদেশে বিখ্যাত। চিতই পিঠা,ভাপা পিঠা, চিরকুটি পিঠা,পঁচা/জালা পিঠা, পাক্কন পিঠা, পুলি পিঠা, বাতাসি পিঠা, নকশী পিঠা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে এ জেলার মহিষের দধি, নারকেল নাড়ু, ম্যাড়া পিঠা সারাবিশ্বের জন্য বিখ্যাত।</div><div><br></div><div><b>নোয়াখালীর বিখ্যাত গুণিজনদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:</b></div><div><br></div><div>আনিসুল হক, আব্দুল মালেক উকিল, আবদুল হাকিম, আবু বেলাল মো. শফিউল হক, ওবায়দুল কাদের, কবীর চৌধুরী, সার্জেন্ট জহুরুল হক, বিচারপতি বদরুল হায়দার, মওদুদ আহমেদ, বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিন, শিরিন শারমিন চৌধুরী, মো. হাশেম প্রমুখ।</div><div><br></div><div>নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থানসমুহ:</div><div>এই জেলার পর্যটন অঞ্চল ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী, নিঝুম দ্বীপ ও বজরা শাহী মসজিদ উল্লেখযোগ্য।</div><div><br></div><div>বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর:</div><div>মুক্তিযুদ্ধের বীর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জাতীয় সাত বীরশ্রেষ্ঠের একজন। সোনাইমুড়ীবাসীর গর্বের ধন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিন। তার নামে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর গত ২০ জুলাই ২০০৮ সালে স্থাপন করা হয় তার নিজ গ্রামে। নোয়াখালী জেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার উত্তর এবং সোনাইমুড়ী উপজেলার সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে দেওটি ইউনিয়নভুক্ত বর্তমান রুহুল আমিন নগর (বাগপাচরা) গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিনের পৈত্রিক ভূমিতে নির্মাণ করা হয় এ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর।</div><div>বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিনের পরিবারের সদস্যগণ কর্তৃক দানকৃত ০ দশমিক ২০ একর ভূমিতে ৬২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এ গ্রন্থাগার ও স্মৃতিজাদুঘর। এতে আছে একটি সুপরিসর এবং সুসজ্জিত পাঠকক্ষ ছাড়াও অভ্যর্থনা কক্ষ, তত্ত্ববধায়ক ও লাইব্রেরিয়ানের জন্য রয়েছে আলাদা কক্ষ।</div><div><br></div><div>গান্ধী আশ্রম:</div><div>গান্ধী আশ্রম নোয়াখালীর একটি দর্শনীয় ঐতিহাসিক নিদর্শন। জেলা সদর মাইজদী কোর্ট হতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে সোনামুড়ী উপজেলার জয়াগ বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশেই এর অবস্থান। ১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর চৌমুহনী রেল মস্টেশনে প্রথম মহাত্মাগান্ধী নোয়াখালীর মাটিতে পদার্পন করেন। ধারাবাহিকভাবে চলল তার পরিক্রমা।</div><div>এভাবে ঘুরতে ঘুরতে ১৯৪৭ সালের ২৯ জানুয়ারি তিনি জয়াগ গ্রামে এসে পৌঁছান। হেমন্ত কুমার ঘোষ মহাশয় তার জমিদারির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জনকল্যাণ খাতে ব্যয়ের উদ্দেশ্যে মহাত্মা গান্ধীর নামে উৎসর্গ করেন। তৎকালীন জমিদার প্রয়াত ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষের বাড়িতে উক্ত গান্ধী আশ্রম স্থাপিত হয়।</div><div><br></div><div>নিঝুম দ্বীপ:</div><div>বঙ্গোপসাগরের মোহনায় নোয়াখালীর সর্বদক্ষিণের উপজেলা হাতিয়ায় এ দ্বীপ। নোয়াখালীর আরও একটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম মেঘনা এখানে সাগরে পড়েছে। চারটি প্রধান দ্বীপ ও কয়েকটি চরের সমষ্টি নিঝুম দ্বীপ। কেওড়ার বন আছে এখানে। বনে হরিণ আছে অনেক। বন বিভাগের বিশ্রামাগার আছে দ্বীপে।</div><div><br></div><div>বজরা শাহী মসজিদ:</div><div>বেগমগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাশে এ মসজিদ দিল্লির শাহি জামে মসজিদের অনুকরণে নির্মিত। লোকমুখে জানা যায়, দিল্লির সম্রাট বাহাদুর শাহ বেগমগঞ্জের বজরা অঞ্চলের জমিদারি দান করেছিলেন দুই সহোদর আমান উল্যা ও ছানা উল্যাকে। তারা একটি দিঘি খনন ও মসজিদ নির্মাণের জন্য ১০০ একর জমির বন্দোবস্ত দেন। মসজিদটি মার্বেল পাথরে তৈরি। দিঘিটি আছে মসজিদের সম্মুখভাগেই। মসজিদের প্রধান ফটকের দুই পাশে দুটি দেয়ালঘড়ি আছে।</div><div><br></div><div><b>মুছাপুর সি-বিচ:</b></div><div>এটি কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর গ্রামে ছোট ফেনী নদীর পাশে অবস্থিত। প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার। তত্ত্বাবধায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে মুছাপুর সি-বিচ এবং মুছাপুর ফরেস্ট বাগান দেখার জন্য।</div><div><br></div><div>এছাড়াও দৃষ্টি নন্দন সোনাপুরে লুর্দের রাণীর গীর্জা, নোয়াখালীর উপকূলে নতুন জেগে উঠা চরে বন বিভাগের সৃজনকৃত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল,স্বর্ণদ্বীপ, মাইজদী শহরে অবস্থিত নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ, নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মাইজদী বড় দীঘি, কমলা রাণীর দীঘি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ।</div><div>(সংগৃহীত)</div>

নোয়াখালীর ঐতিহ্য ও গুণীজনের নামকরণের ইতিহাস - Noakhali District

নোয়াখালীর ঐতিহ্য ও গুণীজনের নামকরণের ইতিহাস: মেঘনার অববাহিকায় বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে জন্ম নেওয়া নোয়াখালী। নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষীপুর নিয়ে এক স...

Read more »

পবিএ কোরআনে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য

<div><b>পবিএ কোরআনে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য</b></div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj15saUFo86oeK70Z1EK0ZlisOhNq_YXyNtJ-U8i2ZdrgunzHtpOta4wRp2YmDyp4isx7Q4H82sp4ktXBbx5kqDkXokTks98CgfzHWayKPxkZjjnhouUv0KFZUEULOpau6XlfEDel3Yj-4M/s1600/FB_IMG_1572673864516.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" class=" " data-original-height="327" data-original-width="552" height="600" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj15saUFo86oeK70Z1EK0ZlisOhNq_YXyNtJ-U8i2ZdrgunzHtpOta4wRp2YmDyp4isx7Q4H82sp4ktXBbx5kqDkXokTks98CgfzHWayKPxkZjjnhouUv0KFZUEULOpau6XlfEDel3Yj-4M/s1600/FB_IMG_1572673864516.jpg" title="" width="1013"></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr></tbody></table></div><br></div><div>বিজ্ঞানীদের কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মডেল অনুযায়ী প্রায় ১৪০০ কোটি (১৩.৭৫ বিলিয়ন) বছর আগে অকল্পনীয় উচ্চতাপমাত্রায় (১০৩২ সেন্টিগ্রেড) মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাবিশ্ব অবিশ্বাস্য গতিতে প্রসারিত হতে শুরু করে ও তাপমাত্রা দ্রুত নামতে থাকে।</div><div><br></div><div>সাধারণত যে কোন বিস্ফোরণ অনিয়ন্ত্রিত বিশৃঙ্খল পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়। এর একমাত্র ব্যতিক্রম মহাবিশ্বের সূচনালগ্নে ঘটে যাওয়া মহাবিস্ফোরণ, যা ধ্বংস নয় বরং মহাবিশ্ব সৃষ্টির দিকে অগ্রসর হয়েছে। আল্লাহতায়ালাই বিস্ফোরণের প্রতিটি স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করে মহাবিশ্ব সৃষ্টির দিকে ধাবিত করেছেন।</div><div><br></div><div>বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস বলেন, বিগব্যাংগ-এর পর যদি মহাবিশ্ব প্রসারণের হার ১০০০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ কম হতো তাহলে মহাবিশ্ব বর্তমান অবস্থায় না এসে উল্টো সংকুচিত হয়ে গুটিয়ে যেত। আর যদি প্রসারণের হার বেশি হতো তাহলে মহাবিশ্বের কণাগুলো এত ছড়িয়ে যেত যে গ্যালাক্সি, গ্রহ, নক্ষত্র তৈরি হতো না।</div><div>অন্য কথায় যদি আল্লাহ তায়ালা তার কুদরত বা ক্ষমতাবলে মহাবিশ্ব প্রসারণের হারকে গাণিতিক ক্ষুদ্রতর মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ না করতেন তাহলে মহাবিশ্ব ও পৃথিবী তৈরি হতো না।আল্লাহ পবিএ কোরআনে বলেন...</div><div> ‘আর আমরা স্বীয় ক্ষমতা ও দক্ষতা বলে আকাশমণ্ডলীকে সৃষ্টি করেছি এবং নিশ্চয়ই আমরা একে প্রসারিত করে চলেছি।’ (সূরা যারিয়াত ৫১/৪৭)</div><div><br></div><div>বিগব্যাংগের পরবর্তী এক সেকেন্ডের লক্ষ লক্ষ ভাগের ১ ভাগ সময়ের মধ্যে উচ্চতাপমাত্রায় (১০২৯ কেলডিন) প্রচুর পরিমাণ অতি পারমাণবিক বস্তুকণা (কোয়ার্ক লেপটন) ও প্রতি বস্তুকণা (এন্টিকোয়ার্ক, এন্টিলেপটন) তৈরি হলো। এ সময় একটি বিশেষ মুহূর্তে আল্লাহ তায়ালা তার বিশেষ ক্ষমতাবলে বস্তুকণাকে প্রতিবস্তুকণার চেয়ে প্রায় ৩ কোটি ভাগের এক ভাগ বেশি করে দিলেন যাতে মহাবিশ্ব বস্তুকণা তৈরির দিকে অগ্রসর হয়। যদি বস্তুকণা প্রতি বস্তুকণার সমান হতো তাহলে পারস্পরিক বিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মহাবিশ্ব ধ্বংস হয়ে যেত।</div><div><br></div><div>তারপর যখন মহাবিশ্বের তাপমাত্রা দ্রুত নেমে একশ’ কোটি সেন্টিগ্রেডে নেমে আসে, তখন একটি প্রোটন ও একটি নিউট্রন মিলে হাইড্রোজেনের নিউক্লিয়াস, দুটি প্রোটন ও দুটি নিউট্রন মিলে হিলিয়ামের নিউক্লিয়াস তৈরি করে। এর পর লক্ষ লক্ষ বছর আলো, এক্সরে, বেতার তরঙ্গ, অতিবেগুনি রশ্মি, মহাজাগতিক রশ্মির অবাধ বিচরণ স্থল ছিল এই মহাবিশ্ব। প্রায় তিন লক্ষ বছর পর পৃথিবীর তাপমাত্রা যখন ৩০০০ ডিগ্রি সে.-এ নেমে এলো তখনই প্রোটন মুক্ত ইলেকট্রনকে বন্দি করতে সক্ষম হলো।</div><div><br></div><div>এবং হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম অণুর সৃষ্টি হলো। এভাবে ধোঁয়ার মতো বিকিরণ সমৃদ্ধ মহাবিশ্ব ইলেকট্রনের বন্দিত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে বস্তুজগৎ গঠনের দিকে অগ্রসর হলো ও মহাকর্ষ বলের কাছে আত্মসমর্পণ করল। আল্লাহ তায়ালা ইলেকট্রনকে নিউক্লিয়াসের নিগড়ে বন্দি করে বস্তুজগতের সূচনা করলেন ও আলোক তরঙ্গকে বস্তুজগৎ থেকে আলাদা করলেন।পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে... </div><div><br></div><div> ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং অন্ধকার ও আলোর উদ্ভব করেছেন। তথাপি কাফেররা তাদের প্রতিপালকের সমতুল্য দাঁড় করায়’। (সূরা আনআম ৬/১০)</div><div><br></div><div>এক পর্যায়ে তিনি মহাকাশের প্রতি মনোনিবেশ করেন, যখন তা ছিল ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ (বিকিরণ সমৃদ্ধ অদৃশ্য জগৎ)। অনন্তর তিনি মহাবিশ্ব ও পৃথিবীকে আদেশ করেন ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় তোমরা (দৃশ্যমান বস্তুজগতের অস্তিত্ব) ধারণ করো। ওরা বললেন, আমরা অনুগত অবস্থায় অস্তিত্ব ধারণ করছি’। (সূরা হামীম সেজদা ৪১:১১)</div><div><br></div><div>‘অতি উচ্চ মর্যাদাময় তিনিই সেই মহান আল্লাহ যিনি মহাকাশে সংস্থাপন করিয়াছেন বুরুজ বা গ্যালাক্সিসমূহ, সূর্য এবং জ্যোতির্ময় চন্দ্র’ । (সূরা ফুরকান ২৫/৬১)</div><div><br></div><div>কল্পনা করুন এই পৃথিবীতে আপনি যে মাটির উপর দাঁড়িয়ে আছেন তার যাত্রা ১৪০০ কোটি বছর আগে হয়েছিল। আল্লাহতায়ালাই বস্তুকণাকে প্রতিবস্তু কণার উপর প্রভাবশালী করে দিলেন ও তাপমাত্রা কমালেন যাতে প্রোটন ও নিউট্রন কণা তৈরি হয় এবং এ দুটো কণা মিলে হাইড্রেজেন ও হিলিয়াম নিউক্লিয়াস তৈরি হয়।</div><div><br></div><div>তাপমাত্রা আরও কমালেন ও মহাবিশ্বকে এমনভাবে প্রসারিত করলেন যাতে বিকিরণ সমৃদ্ধ জগতের মধ্য থেকে বস্তুজগৎ আলাদাভাবে অস্তিত্ব লাভ করতে পারে।</div><div><br></div><div>ইলেকট্রনকে নিউক্লিয়াসের চার পাশে ঘুরতে বাধ্য করলেন, যাতে বস্তুজগৎ তৈরির পথ সুগম হয়। অভিকর্ষ বলের মাধ্যমে গ্যালাক্সি, তারকা তৈরি করলেন; তারকার কেন্দ্রে বস্তুকে পুড়িয়ে তাপ ও আলোক শক্তির বিকিরণ ঘটালেন। তারকাপুঞ্জ ছায়াপথের লেজে অবস্থিত সূর্য নামক নক্ষত্র থেকে পৃথিবী নামক গ্রহকে বের করে নিয়ে এলেন। পৃথিবী ঠাণ্ডা, নরম ও সমতল করলেন যাতে আপনি এই মাটির উপর নিশ্চিন্তে দাঁড়াতে পারেন।</div><div>পবিএ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন...</div><div><br></div><div>"অচিরেই আমরা তাদেরকে আমাদের নিদর্শনাবলী দেখাব, বিশ্ব জগতের প্রান্তসমূহে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; যাতে তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠে যে, অবশ্যই এটা (কুরআন) সত্য। এটা কি আপনার রবের সম্পর্কে যথেষ্ট নয় যে, তিনি সব কিছুর উপর সাক্ষী ?"</div><div><br></div><div> (সূরা হামীম সেজদা ৪১:৫৩)</div><div>(প্রশান্তি ও প্রাচুর্যের রাজপথ গ্রন্থ থেকে নেয়া)</div><div><br></div><div>#NOMAN</div>

পবিএ কোরআনে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য

পবিএ কোরআনে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য বিজ্ঞানীদের কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মডেল অনুযায়ী প্রায় ১৪০০ কোটি (১৩.৭৫ বিলিয়ন) বছর আগে অকল্পনীয় উচ্চতাপ...

Read more »

মশা তাড়ানোর উপায়

<p dir="ltr"><b>১).লেবু: </b><br> লেবু মাঝ থেকে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেথে দিন। লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। এবার ম্যাজিক দেখুন, কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরে কোনো মশা নেই। </p> <p dir="ltr"><b>২). রসুনের কোয়া: </b><br> কয়েকটি রসুনের কোয়া থেতলে পানিতে সেদ্ধ করতে হবে। ওই পানি সারা ঘরে স্প্রে করে দিলেই মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।</p> <p dir="ltr"><b>৩) বৃষ্টির পানি: </b><br> বৃষ্টির পানি জমে মশা জন্মে। বাড়ির কোথাও পানি জমে গেলে নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করুন। </p> <p dir="ltr"><b>৪)সুগন্ধি : </b><br> সুগন্ধি ব্যবহার করুন মশারা সুগন্ধি থেকে দূরে থাকে। সুতরাং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শরীরে আতর, সুগন্ধি, কিংবা লোসন মেখে শুতে পারেন। (কপি)</p>

মশা তাড়ানোর উপায়

১).লেবু: লেবু মাঝ থেকে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেথে দিন। লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন।...

Read more »

বিস্ময়কর আজওয়া খেজুরের ইতিহাস

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> 💝#আজওয়া_খেজুর💝<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgm42UI4GrPNi6v2fZ7g7Vazxo4HiUzH0vPQ3wRo-3RuD7BXE_GxYBxGzzkKms5X_RKw1ISnE1kTnsTWYxggnO1hCat8kQqtCy_v0fQTcIdqZatB_Z4W31czZp7rlqwPomol7xEjPRy2GVf/s1600/FB_IMG_1562073100495.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="355" data-original-width="355" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgm42UI4GrPNi6v2fZ7g7Vazxo4HiUzH0vPQ3wRo-3RuD7BXE_GxYBxGzzkKms5X_RKw1ISnE1kTnsTWYxggnO1hCat8kQqtCy_v0fQTcIdqZatB_Z4W31czZp7rlqwPomol7xEjPRy2GVf/s1600/FB_IMG_1562073100495.jpg" /></a></div> <br /> 👉<b>বিস্ময়কর আজওয়া খেজুরের ইতিহাস -</b><br /> <br /> ______________________<br /> <br /> হযরত সালমান ফার্সীর(রা:) মালিক ছিল একজন ইয়াহুদী। হযরত সালমান ফার্সী যখন মুক্তি চাইল তখন ইয়াহুদী এই মর্তে তাকে মুক্তি দিতে চাইল যে, যদি তিনি নিদ্দিষ্ট কয়েক দিনের মধ্যে নগদ ৬০০ দিনার দেন এবং তিশটি খেজুর গাছ রোপন করে আর খেজুর গাছে খেজুর ধরলে তবেই সে মুক্ত। আসলে ইহুদির মুক্তি দেবার ইচ্ছা ছিল না। কেননা সালমান ফার্সীর(রা:) পক্ষে ৬০০ দিনার যোগাড় করা কঠিন ছিল। আর ৬০০ দিনার যোগাড় করলেও খেজুর গাছ রোপন করে তাতে ফল ধরে ফল পাকানো অনেক সময়ের ব্যাপার। যাক। হযরত সালমান ফার্সী(রা:) রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে এসে ঘটনা বর্ণনা করলেন। রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৬০০ দিনারের ব্যবস্থা করলেন। তারপর হযরত আলী (রাঃ) কে সাথে নিয়ে গেলেন ইয়াহুদীর কাছে। ইহুদী এক কাঁদি খেজুর দিয়ে বলল এই খেজুর থেকে চারা উৎপন্ন করে তবে ফল ফলাতে হবে। রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন যে, ইহুদীর দেয়া খেজুরগুলো সে আগুনে পুড়িয়ে কয়লা করে ফেলছে যাতে চারা না উঠে। রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুরের কাঁদি হাতে নিয়ে আলী (রাঃ) কে গর্ত করতে বললেন আর সালমান ফার্সী(রা:)কে বললেন পানি আনতে। আলী (রাঃ) গর্ত করলে রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে প্রতিটি গর্তে সেই পোড়া খেজুর রোপন করলেন।।রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালমান ফার্সী (রা:)কে এ দির্দেশ দিলেন যে, বাগানের শেষ প্রান্তে না যাওয়া পর্যন্ত তুমি পেছন ফিরে তাকাবে না। সালমান ফার্সী (রা:)পেছনে না তাকিয়ে পানি দিতে লাগলেন। বাগানের শেষ প্রান্তে যাওয়ার পর তিনি তাকিয়ে দেখলেন যে প্রতিটি গাছ খেজুরে পরিপূর্ণ। আর খেজুরগুলো পেকে কালো বর্ণ হয়ে গেছে। এই খেজুর পৃথিবীর সবচেয়ে দামি খেজুর। আর স্বাদের দিক দিয়েও সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু। আর কেনইবা দামী হবে না? যে খেজুর রাসুলের নিজ হাতে রোপন করা।<br /> <br /> حديث مرفوع) حَدَّثَنَا عَلِيٌّ ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ ، أَخْبَرَنَا هَاشِمٌ ، أَخْبَرَنَا عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنِ اصْطَبَحَ كُلَّ يَوْمٍ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرَّهُ سُمٌّ وَلَا سِحْرٌ ذَلِكَ الْيَوْمَ إِلَى اللَّيْلِ وَقَالَ غَيْرُهُ : سَبْعَ تَمَرَاتٍ<br /> <br /> আলী (র) আমির ইবন সাদ তার পিতা থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে কয়েকটি আজওয়া খুরমা খাবে ঐ দিন রাত পর্যন্ত কোন বিষ ও যাদু তার কোন ক্ষতি করবে না । অন্যান্য বর্ননাকারীগণ বলেছেনঃ সাতটি খুরমা ।<br /> <br /> সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৩৫৬<br /> <br /> জুমুআ ইবন আব্দুল্লাহ (র)......সাদ (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যাহ সকালে সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন তাকে কোন বিষ ও যাদু ক্ষতি করবে না এর দ্বারা।<br /> <br /> সুতরাং আজওয়া খেজুরের উপকারীতা হাদিস দ্বারা প্রমানীত তাই রোগের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার করতে পারি।<br /> <br /> তাছাডা অন্য এক হাদিসে হ্রদ রোগের জন্য এ আজওয়া খেজুর ব্যবহার করতে বলেছেন।<br /> <br /> আজওয়া খেজুর সম্পর্কে আরও অবাক করা কিছু তথ্য -::<br /> <br /> ⚫লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।<br /> <br /> ⚫অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় আজওয়া খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন। প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসব হতে সাহায্য করে।<br /> <br /> ⚫ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে।<br /> <br /> ⚫প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।<br /> <br /> ⚫এতে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কোলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।<br /> <br /> ⚫এতে রয়েছে ৭৭.৫% কার্বহাইড্রেট, যা অন্যান্য খাদ্যের বিকল্প শক্তি হিসেবে কাজ করে।<br /> <br /> ⚫এতে রয়েছে ৬৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৭.৩ মিলিগ্রাম লৌহ – যা হাড়, দাঁত, নখ, ত্বক, চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে।<br /> <br /> ⚫স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে।<br /> <br /> ⚫আজওয়া খেজুর হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।<br /> <br /> ⚫হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, লিভার ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক।<br /> <br /> ⚫ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।<br /> <br /> ⚫ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।<br /> <br /> ⚫রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।<br /> <br /> ⚫নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়ে খেজুরের কার্যকারিতা প্রশ্নাতীত।<br /> <br /> ⚫পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমায় উপকারী।<br /> <br /> ⚫উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট সম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।<br /> <br /> ⚫নেশাগ্রস্তদের অঙ্গক্ষয় প্রতিরোধ করে আজওয়া খেজুর। স্বাস্থ্য ভালো করতে বাড়িতে তৈরী ঘিয়ে ভাজা খেজুর ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।<br /> <br /> সব চেয়ে বড় কথা হল এ খেজুরের গাছের বীজগুলো হুজুর পাক সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে বপন করেছেন, সে হিসাবে অন্তরে মহব্বত নিয়ে বরকতের জন্য ও খেতে পারেন।আর শেফার নিয়তে তো খেতেই পারেন নিঃসংকোচে।</div>

বিস্ময়কর আজওয়া খেজুরের ইতিহাস

💝#আজওয়া_খেজুর💝 👉 বিস্ময়কর আজওয়া খেজুরের ইতিহাস - ______________________ হযরত সালমান ফার্সীর(রা:) মালিক ছিল একজন ইয়াহুদী। হযরত সা...

Read more »

হাবল স্পেস টেলিস্কোপ | Hubble Space Telescope over Earth

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> সকল মহাকাশ প্রেমিক মানুষের ভালোবাসার আরেকনাম হলো হাবল স্পেস টেলিস্কোপ! এটি মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ। বিশাল এই টেলিস্কোপটি নির্মাণ শেষ হলে ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল শাটল মিশন STS-31 দ্বারা স্পেস শাটল ডিসকভারি দিয়ে এটিকে পাঠানো হয় পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে । পৃথিবী থেকে ৫৯৬ কিলোমিটার উঁচুতে এর কক্ষপথে স্থান হয় টেলিস্কোপটির।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiVkeN-l5GdVOQEd00HrpoDQEJFwIKTECe_jhyphenhyphen_l9TxSr7CDTDEMZrI1z7YK9b8mKbnDrn25m7v6TkYAHC-pMOu3MzxKKBv8gJnjreLSFhv3lEQESzLVsHK9kng6H-7eKuqj-lsQquAcwxT/s1600/images%252815%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="534" data-original-width="534" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiVkeN-l5GdVOQEd00HrpoDQEJFwIKTECe_jhyphenhyphen_l9TxSr7CDTDEMZrI1z7YK9b8mKbnDrn25m7v6TkYAHC-pMOu3MzxKKBv8gJnjreLSFhv3lEQESzLVsHK9kng6H-7eKuqj-lsQquAcwxT/s1600/images%252815%2529.jpg" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjqnbN5IFhwAqnLqwjs-73IOE_hwy1hH8_3ww2123C45UXTlGIFmObIFPst35RhcHvVZ4QdIQ9BYBqgoxOaHmYwjWhk8HTooWulnDS4rC5OAwg9iR8teVwCFFD39YypcU9Xe9gB6gANaA6R/s1600/images%252813%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="169" data-original-width="299" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjqnbN5IFhwAqnLqwjs-73IOE_hwy1hH8_3ww2123C45UXTlGIFmObIFPst35RhcHvVZ4QdIQ9BYBqgoxOaHmYwjWhk8HTooWulnDS4rC5OAwg9iR8teVwCFFD39YypcU9Xe9gB6gANaA6R/s1600/images%252813%2529.jpg" /></a></div> <br /> হাবল টেলিস্কোপ নিয়ন্ত্রণ করা হয় পৃথিবী থেকে। এটি একটি প্রতিফলন টেলিস্কোপ, আয়নার প্রতিফলনে সে দূরবর্তি বস্তুর তথ্য ধারণ করতে সক্ষম। সঠিক করে বললে হাবল মূলত ক্যাসেগ্রেইন রিফ্লেক্টর ঘরানার টেলিস্কোপ। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের জুলাইতে এতে জোড়া হয় চন্দ্র এক্স-রে টেলিস্কোপ। চন্দ্র’র ক্ষমতা এতটাই ব্যাপক যে, দেড় মাইল দূর থেকে ওটা দিয়ে দেড় ইঞ্চির কোনো লেখা অনায়াসে পড়া সম্ভব। প্রতি ৯৭ মিনিটে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ঘন্টায় ২৮,২০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীকে একবার ঘুরে আসে। এর যাবতীয় শক্তি’র প্রয়োজন সে মেটায় সূর্যের আলো থেকে, এবং এজন্য এর রয়েছে ২৫ ফুট লম্বা দুটো সৌরপ্যানেল। আর শক্তি সঞ্চয়ের জন্য রয়েছে ৬টি নিকেল-হাইড্রোজেন ব্যাটারি, যেগুলো একত্রে ২০টা গাড়ির বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে পারে।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEguLB_C-nSQOwIm_isyVR5OgP9B-wJ85SxCFZ_ibzuln0UNYNQgjWzbm_G7hk9vHlTfNUYadLZ2OYpzCA7PM_T_r0ulUq-rbfaxzxtabEeC60dqZAk7gxL_M4cp9sOehDMVhlBiCVIi_UJm/s1600/13_38_314347840hubble-ll.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="800" data-original-width="1200" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEguLB_C-nSQOwIm_isyVR5OgP9B-wJ85SxCFZ_ibzuln0UNYNQgjWzbm_G7hk9vHlTfNUYadLZ2OYpzCA7PM_T_r0ulUq-rbfaxzxtabEeC60dqZAk7gxL_M4cp9sOehDMVhlBiCVIi_UJm/s1600/13_38_314347840hubble-ll.jpg" /></a></div> <br /> হাবল টেলিস্কোপ অতিবেগুনী থেকে অবলোহিত পর্যন্ত (১১৫-২৫০০ ন্যানোমিটারে) আলোর সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দেখতে সক্ষম। এই অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে হাবল যা পর্যবেক্ষণ করে তার প্রেক্ষিতে প্রতি সপ্তাহে ১২০ গিগাবাইট তথ্য পাঠায়। এতো এতো তথ্য সংরক্ষণে তাই ম্যাগনেটো-অপটিক্যাল ডিস্ক ব্যবহৃত হয়। হাবল, তার তোলা প্রথম ছবি পাঠায় ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ২০ মে, সেটা ছিল স্টার ক্লাস্টার NGC 3532’র একটা দৃশ্য। সেই থেকে লক্ষাধিক ছবি পাঠিয়েছে পৃথিবীতে। আর সেসব ছবি বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে মহাবিশ্বের বয়স, জানা গেছে কোয়াযারদের সম্বন্ধে আর ডার্ক এনার্জি বা কৃষ্ণশক্তি সম্বন্ধে। হাবলের চোখ দিয়ে বিজ্ঞানীরা একেকটা গ্যালাক্সির বিভিন্ন অবস্থা সম্বন্ধে জেনেছেন। হাবল আবিষ্কার করে মহা শক্তিশালী গামা রে বার্স্ট বা গামারশ্মির বিষ্ফোরণ। হাবল, মহাকাশে গ্যাসের কিছু কুন্ডলি এমনভাবে আবিষ্কার করেছে, যেনবা তারা কিছু একটার ফাঁদে আটকা পড়েছে, যা ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করে। হাবল, বৃহস্পতি’র উপগ্রহ ইউরোপার বাতাসে অক্সিজেনের উপস্থিতি সনাক্ত করেছে। এডউইন হাবল প্রমাণিত সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের মাত্রা আবিষ্কার করেছে হাবল টেলিস্কোপ। আর, হাবলের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে রচিত হয়েছে ৬,০০০-এরও বেশি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjaFfgH9A6Y9RDbm1TQ_T4EBV__6lHfL9Ire7lJL9tPn6oRsoR6rb1p0aiZUhTXy6z9aioAdmItdYKZ7WUOF7C5YmA_aaUru4YC6T2Z75vjjPIl6SokyF1Z8oDZnYF6eWVu45cZuX7707Ji/s1600/images%252817%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="261" data-original-width="416" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjaFfgH9A6Y9RDbm1TQ_T4EBV__6lHfL9Ire7lJL9tPn6oRsoR6rb1p0aiZUhTXy6z9aioAdmItdYKZ7WUOF7C5YmA_aaUru4YC6T2Z75vjjPIl6SokyF1Z8oDZnYF6eWVu45cZuX7707Ji/s1600/images%252817%2529.jpg" /></a></div> <br /> হাবলে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরা ৩ (WFC3), যা অতিবেগুনী রশ্মির কাছাকাছি রশ্মি, দৃশ্যমান আলোকরশ্মি, আর ইনফ্রারেডের কাছাকাছি রশ্মি দেখতে পারে। এর কস্‌মিক অরিজিন স্পেকট্রোস্কোপ (COS) অতিবেগুনীরশ্মিতে দেখতে পারে। এটা অনেকটা প্রিজমের মতো আলোকে ভাগ করে, ফলে এর দ্বারা দৃশ্যমান বস্তুর তাপমাত্রা, রাসায়নিক মিশ্রণ, ঘনত্ব, আর গতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এর অ্যাডভান্সড ক্যামেরা ফর সারফেস (ACS) দৃশ্যমান আলো দেখতে পারে, আর এটা ব্যবহৃত হয় মহাবিশ্বের প্রথম দিককার দৃশ্যগুলো ধারণ করতে। এছাড়া ডার্কম্যাটার, মহাবিশ্বের দূ-রবর্তি বস্তু, গ্যালাক্সির চাকতি ইত্যাদি গবেষণায়ও ব্যবহৃত হয়। এর স্পেস টেলিস্কোপ ইমেজিং স্পেকট্রোস্কোপ (STIS) অতিবেগুনী, দৃশ্যমান আলোকরশ্মি আর ইনফ্রারেডের কাছাকাছি আলো দেখতে সক্ষম, এবং এই যন্ত্রটি কৃষ্ণগহ্বর অনুসন্ধানে বেশ সক্ষম। এর নিয়ার ইনফ্রারেড ক্যামেরা অ্যান্ড মাল্টি-অবজেক্ট স্পেকট্রোমিটার (NICMOS) হলো হাবলের তাপ পরিমাপক যন্ত্র, এর দ্বারা লুক্কায়িত বস্তুর অনুসন্ধান করা হয়, আর দূরবর্তি আকাশে দৃষ্টি দেয়া হয়। আর এর ফাইন গাইড্যান্স সেন্সর (FGS) একে গাইড স্টার বা ধ্রুব তারা চিহ্নিত করে হাবলকে সেদিকে স্থির দৃষ্টিতে তাক করে থাকতে সহায়তা করে। এর সহায়তায় আরো যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা হয় তা হলো দুটো তারার মধ্যকার দূরত্ব আর তাদের আনুপাতিক গতি পরিমাপ।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjTDL8FvlrYcyhR1vzWs8dibH0WphO2gbdkebOVXl3i_nqFGXaISvlp9x46_pvBN0C78U3a0q_ZGkyAjmiwC106XqIE6vGRzb44VheS0u4DJlvXTMEukqBtV7a64kvQ1g1Vhio-zMrmDrbl/s1600/images%252814%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="449" data-original-width="683" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjTDL8FvlrYcyhR1vzWs8dibH0WphO2gbdkebOVXl3i_nqFGXaISvlp9x46_pvBN0C78U3a0q_ZGkyAjmiwC106XqIE6vGRzb44VheS0u4DJlvXTMEukqBtV7a64kvQ1g1Vhio-zMrmDrbl/s1600/images%252814%2529.jpg" /></a></div> <br /> এই টেলিস্কোপটি নাসা পাঠালেও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো বিজ্ঞানী হাবলকে ব্যবহারের অনুমতি চাইতে পারেন। অভিজ্ঞদের একটা প্যানেল তখন সেখান থেকে যোগ্যতমটি বাছাই করে সেদিকে হাবলকে ঘুরিয়ে সেখানকার ছবি তুলে পাঠান সেই বিজ্ঞানীকে বা সেই বিজ্ঞান মহলকে। প্রতিবছর এরকম বহু আবেদন জমা পড়ে, তবে সেখান থেকে বছরে প্রায় ১,০০০ আবেদন যাচাই করে প্রায় ২০০ আবেদন মঞ্জুর করা হয়, আর সেই আবেদন অনুযায়ী কাজ করতে হাবলকে মোটামুটি ২০,০০০ একক পর্যবেক্ষণ করতে হয়।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-wnn7cEiBG_VS962fSgWYeDZATotYwG6-gmfckIgG6bU96OYLQchOtjRVatCruhJWCp-GeEdqwlb05BAjFxIt3EAJeMl_xfFxSVzB831Tyq6wJvc4AY8wYtz_r-6G_IqhWWMQJpb8Puj4/s1600/images%252817%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="261" data-original-width="416" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-wnn7cEiBG_VS962fSgWYeDZATotYwG6-gmfckIgG6bU96OYLQchOtjRVatCruhJWCp-GeEdqwlb05BAjFxIt3EAJeMl_xfFxSVzB831Tyq6wJvc4AY8wYtz_r-6G_IqhWWMQJpb8Puj4/s1600/images%252817%2529.jpg" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEit05VoUtnIlnV3Gf2Usb9ZkxiILxak2O3FnnoZMI3cPYxrzg1i_H77bbyaqGOtAA80t-w3Hh7x80cmqt6hNTUkfevIAycQegLrCaOtkTABAmH55Z8cKetLpr7YuNlona17HjJV_XUOUSAW/s1600/Repair-hubble-3-shuttle-closeup.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="754" data-original-width="743" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEit05VoUtnIlnV3Gf2Usb9ZkxiILxak2O3FnnoZMI3cPYxrzg1i_H77bbyaqGOtAA80t-w3Hh7x80cmqt6hNTUkfevIAycQegLrCaOtkTABAmH55Z8cKetLpr7YuNlona17HjJV_XUOUSAW/s1600/Repair-hubble-3-shuttle-closeup.jpg" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhdNXMbDDpEER5xDWektqjg7vnaCxAEVEDVexFTRVKDngEaKbnOn3FvbkQyTM1NomwkmiLTcEihYyF0b6cuSZLS7C7V7GUFBlk-vRChw5ZnDsiizKgffL-cakHf0VM2cAQ4vUM69t8-9x5L/s1600/images%252816%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="380" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhdNXMbDDpEER5xDWektqjg7vnaCxAEVEDVexFTRVKDngEaKbnOn3FvbkQyTM1NomwkmiLTcEihYyF0b6cuSZLS7C7V7GUFBlk-vRChw5ZnDsiizKgffL-cakHf0VM2cAQ4vUM69t8-9x5L/s1600/images%252816%2529.jpg" /></a></div> L<br /> হাবলের দেখভাল আর ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে নাসা’র গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার, আর স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইন্সটিটিউট (STScl)।<br /> <br /> তথ্যসূত্রঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Hubble_Space_Telescope<br /> <br /> #nebula</div>

হাবল স্পেস টেলিস্কোপ | Hubble Space Telescope over Earth

সকল মহাকাশ প্রেমিক মানুষের ভালোবাসার আরেকনাম হলো হাবল স্পেস টেলিস্কোপ! এটি মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ। বিশাল এই টেলিস্কোপটি নির্মাণ ...

Read more »

Bangabondhu 1 Exclusive

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr"> <u><b><u>Bangabondhu</u></b></u><b> 1 </b><u><b>Exclusive</b></u></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র স্যাটেলাইট বিবি-১ লঞ্চ হবার আগে ও পরে ফেসবুক ময় স্যাটেলাইট এক্সপার্ট দের নানারকম সত্য মিথ্যা তথ্য দেখতে দেখতে যখন জনগণ ত্যাক্ত বিরক্ত সেই বিরক্তি ভাব আরেকটু বাড়াতে আজকে আমি স্যাটেলাইট নিয়ে নিজের সল্প পরিসরের জ্ঞান এবং সামান্য রিসার্চের ফলাফল আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসছি। বিভিন্ন ডিফেন্স গ্রুপ,পলিটিকাল পেইজ এবং নানা রকম নিউজ পোর্টাল সুত্রে যেই জিনিশ টি সবচেয়ে বেশি এসেছে সেটি হলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনে আমাদের লাভের তুলনায় ক্ষতি বেশি হবে। তবে এর বিপরীত ছবিও অনেকে দেখিয়েছেন। আমি আর্থিক লাভ ক্ষতির বিষয়ে যাব না কারন তার জন্য আমাদের ইকোনমিক এক্সপার্ট ওয়াসি ভাই আছেন যিনি ইতিমধ্যে এর আর্থিক লাভক্ষতি নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করেছেন। তাই আমি আজ এর ব্যবহারিক দিক এর কৌশলগত গূরুত্ব গুলো তুলে আনার চেষ্টা করবো। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের পর পর অনেকে অনেক কিছু বললেও আমি এটি নিয়ে পোস্ট করিনি কারন আমার এর বেপারে বিস্তর ধারনা লাভের ইচ্ছা ছিল। () তবে যাই হক আগেই বলে নিচ্ছি আমি কোন স্যাটেলাইট এক্সপার্ট নই বরং আর আট দশজন ফেসবুক স্যাটেলাইট এক্সপার্ট এর চেয়েও হয়তো কম জানি। তাই মুল আলোচনায় যাবার আগে কোন রকম ভুল ত্রুটির জন্য অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।<br /> <br /></div> <div dir="ltr"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj8ClPDTk5iytvmEQio_lUQhx5zXuBkCEEcuVqPlRNVRITFlzPrWLHg6otq6r3paosPIZi2YeXWdTaQbWfd4xZAD9v6eGE877MUIkbH-S6HEsQCm1VCbWf7uZSMZqAZvBO0GRUjrJzVKRYl/s1600/images%25286%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="372" data-original-width="490" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj8ClPDTk5iytvmEQio_lUQhx5zXuBkCEEcuVqPlRNVRITFlzPrWLHg6otq6r3paosPIZi2YeXWdTaQbWfd4xZAD9v6eGE877MUIkbH-S6HEsQCm1VCbWf7uZSMZqAZvBO0GRUjrJzVKRYl/s1600/images%25286%2529.jpg" /></a></div> <br /></div> <div dir="ltr"> <b>আমার এই পোস্টটি চারটিঅংশে বিভক্ত যথারীতি</b></div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> ১) আমাদের স্যাটেলাইট এর উৎক্ষেপন পরিকল্পনা এবং এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সমুহ যা আমাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে।</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> ২)স্যাটেলাইট এর ব্যবহার এবং প্রযুক্তিগত দিক।</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> ৩) স্যাটেলাইটির কৌশলগত ব্যবহার।</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> ৪) কিছু ভুল ধারনার সমাধান। <br /> <br /></div> <div dir="ltr"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhWlesJY5MKu13-_MytF8U_JzT6Twv0SO5yj5hK-knXqdYMnGhBoPfiUoxzMLXr826AhCuv7wv6nm8ptu5xEhGBRaUZri0Oa2ZB-8AhEvaz4M-PlbKJQ8bBWr9IiFxi8jKNXdLS-9JL8Fxj/s1600/images%25284%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="725" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhWlesJY5MKu13-_MytF8U_JzT6Twv0SO5yj5hK-knXqdYMnGhBoPfiUoxzMLXr826AhCuv7wv6nm8ptu5xEhGBRaUZri0Oa2ZB-8AhEvaz4M-PlbKJQ8bBWr9IiFxi8jKNXdLS-9JL8Fxj/s1600/images%25284%2529.jpg" /></a></div> <br /></div> <div dir="ltr"> <b>প্রথমেই আসছি স্যাটেলাইট এর প্রাক পরিকলনা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা এবং তার সমাধান নিয়ে</b></div> <div dir="ltr"> <br /> আমাদের স্যাটেলাইট টি উৎক্ষেপনের ক্ষেত্রে প্রথম যে প্রতিবন্ধকতা বিষয় টি সামনে আসে তা হলো এর অরবিটাল স্লট বা কক্ষপথ নিয়ে। বাংলাদেশ যথারীতি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে ১০২ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ আবেদন করে এবং তাতে ২০টি দেশ আপত্তি জানায় এখন কথা হলো কেন তারা আপত্তি জানিয়েছিল? অনেকেই দেখলাম এটি রাজনৈতীক ভাবে দেখছে কিন্তু আন্তর্জাতিক নিয়ন অনুসারে মহাকাশে একটি স্লট বরাদ্দ পেতে হলে সেখানে অন্যান্য দেশের সম্মতি থাকা জরুরি বাংলাদেশ যে স্লট টির জন্য আবেদন করেছিল ২০০৫ সাল থেকে সেই স্লট টি নিয়ে রাশিয়া, জাপান, ভারত, তাজিকিস্তান চীনসহ আরো ২০টি দেশ তাদের আবেদন জমা দিয়ে রেখেছিল। বাংলাদেশ সরকার জানতো যে এই স্লট টি তাদের পক্ষে পাওয়া আপাতত সম্ভব নয় কিন্তু তারপর স্যাটেলাইট স্লট হিসাবে ১০২ ডিগ্রী অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উচ্চ কাভারেজ এর জন্য ভাল হওয়ায় এবং তা বাংলাদেশ থেকে মোটামোটি খাড়াখাড়ি ভাবে অবস্থিত হওয়া এতে বাংলাদেশ অধিকার এবং প্রয়োজন দুইটি ছিল। বাংলাদেশ আসলে জেনে শুনেই এতে আবেদন করে কারন (ITU) International Telecommunication Union এর নিয়ম অনুসারে কোন স্লটে যদি প্রাপ দেশ ছাড়াও একাধিক দেশ আবেদন করে থাকে তবে সেখানে অই দেশ গুলোকে নিয়ে গনশুনানির মাধ্যমে ঠিক করা হয় আসলে কোন দেশের এই স্লট প্রাপ্য যদি কোন কারনে সেটি অমিমাংশিত থাকে তবে অই স্লট থেকে সবচেয়ে কাছে অবস্থানকারী দেশ গুলোর মাঝে ভোটাভোটির মাধ্যমে ঠিক করা হবে সেই স্লট কাকে দেয়া হবে। যেহেতু বাংলাদেশ সরকার সব জেনে শুনেই এতে আবেদন করে তাই বুঝাই যাচ্ছে এর পেছনে কোন বিশেষ ভবিষ্যৎ পরিকলনা সরকার এর আছে। আর এই স্লট টি নিয়ে এখনো শুনানি চলমান রয়েছে। এই স্লট টি ভবিষ্যৎ এ কে পাবে তা ভবিষ্যৎ বলতে পারে।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg8wBy4CsZNvJXnPb9RRBmsE472Th5VXKzFcuiez8wfKPb5HWk5-Lt60Vn6RloQWYLYW77pQZ2PEe_H5Z2HLvCIqy51sAUil2_GmqnfQ_dAHhxouR8XyyTMRWFTGPb0cmMDW43-EsER61St/s1600/bangabandhu-satellite-1-reflector.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg8wBy4CsZNvJXnPb9RRBmsE472Th5VXKzFcuiez8wfKPb5HWk5-Lt60Vn6RloQWYLYW77pQZ2PEe_H5Z2HLvCIqy51sAUil2_GmqnfQ_dAHhxouR8XyyTMRWFTGPb0cmMDW43-EsER61St/s1600/bangabandhu-satellite-1-reflector.jpg" /></a></div> <br /> তো উক্ত ঘটনার কয়েক মাসে মাথায় বাংলাদেশ (ITU) সদস্য সচিব হিসাবে নির্বাচিত হয় এবং বাংলাদেশ নতুন করে ৬৯ এবং ১০৫ ডিগ্রী  পূর্ব দ্রাঘিমাংশে নিজেদের মালিকানা দাবী করেছে এবং ১০৫ তে ইন্দোনেশিয়া, চীন, জাপান সহ পাঁচটি দেশের আপত্তি জানায় এবং অন্য একটি স্লট নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন আপত্তি আসে নি তাই সেটি একরকম নিশ্চিত আমারাই পাবো। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ স্যাটেলাইট তৈরীর কাজ ফ্রান্স কে আগেই দিয়ে দেয় এবং নির্ধারিত সময়ে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন নিশ্চিত হয়ে যায় তখন অনেকটা বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ অন্যদেশ থেকে স্লট কেনার টেন্ডার দেয় যার মধ্যে আমেরিকা, জাপান এবং রাশিয়া অংশ নেয় তবে রাশিয়া বাদে বাকি দুই দেশ কিছু শর্ত জুরে দিয়েছিল যেমন তার সম্পূর্ন মালিকানা বাংলাদেশ কে ছাড়বে না উক্ত স্লটে একধিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের ক্ষেত্রে তাদের অনুমতি নিতে হবে এবং তাদের দেশে একটি গ্রাউন্ড স্টেশন বসাতে হবে। কিন্তু একমাত্র রাশিয়া সম্পূর্ন মালিকানা ১৫+৩০ মোট ৪৫ বছরের জন্য ছাড়তে রাজি হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকার চাইলে এই স্লট টি ১৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৪৫ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবে এবং একই স্লটে ৩ টি স্যাটেলাইট স্থাপন করতে হবে সেক্ষেত্রে আলাদা ভাবে কোন অনুমতি বা তাদের দেশে গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের দরকার নেই। তাই সব দিক বিবেচনায় এটি আমাদের জন্য বেশি লাভজনক ছিল। <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgFDV39p6LMRe_RZUG_7uV1RDbbBaz3ID_JRkD9PRhfWqHfqLCs9PujvO2Cr5p86MlACSLlc4zLjiZcEXK71EaJST4BOOZzAFeet9h-UL0LAfKP40LDWT0GWXaeE3aSoEzqrpoJpc1tUC7d/s1600/Picture3.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="527" data-original-width="975" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgFDV39p6LMRe_RZUG_7uV1RDbbBaz3ID_JRkD9PRhfWqHfqLCs9PujvO2Cr5p86MlACSLlc4zLjiZcEXK71EaJST4BOOZzAFeet9h-UL0LAfKP40LDWT0GWXaeE3aSoEzqrpoJpc1tUC7d/s1600/Picture3.png" /></a></div> <br /> এর পর কয়েকদফায় সময় পেছায় থালাস কম্পানি। তাদের লঞ্চের দায়িত্ব থাকলেও তাদের রকেট একসাথে দুইটি ভারি স্যাটেলাইট পরিবহনে সক্ষম হওয়ায় এবং বিবি-১ ছাড়া অন্য কোন স্যাটেলাইট এর উৎক্ষেপনে প্রস্তুত না থাকায় তারা সময় পেছায় এবং পরে সরকার লঞ্চের দায়িত্ব আমেরিকান স্পেস-এক্স কে বুঝিয়ে দেয় এবং সর্বোশেষ মে১১ তারিখ(বাংলাদেশ সময়ে) আমাদের সপ্নের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হয়। </div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> <b>স্যাটেলাইট এর ব্যবহার এবং প্রযুক্তিগত দিক</b><br /> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> আমাদের স্যাটেলাইট টি একটি জিওষ্টেশনারী কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট এই ধরনের স্যাটেলাইট কক্ষপথে নিজ স্লটে স্থির থেকে এবং এগুলো ৩০০০০-৩৬০০০ হাজার কিমি উচ্চতায় অবস্থান করে থাকে। এই অবস্থানে এটি একটি নিদিষ্ট এলাকা কাভার করে থাকে নিচে ছবিতে আমাদের বিবি-১ এর কাভারেজ এরিয়া দেখতে পারবেন। <br /> <br /></div> <div dir="ltr"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh11tejQu51tfnmxdbFMrw1igfXp35Jv0FIIvjFSRxNlEMUj-sbjO3XpBa1MWMYq3ieFuDgf4-Nh1tzeZknYouzX4RFyCOr0rzCPjUyq1mj06bKI_9OuW7pu0fBIvmWvAGi3_OJs-LnwHjn/s1600/images%25282%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="488" data-original-width="500" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh11tejQu51tfnmxdbFMrw1igfXp35Jv0FIIvjFSRxNlEMUj-sbjO3XpBa1MWMYq3ieFuDgf4-Nh1tzeZknYouzX4RFyCOr0rzCPjUyq1mj06bKI_9OuW7pu0fBIvmWvAGi3_OJs-LnwHjn/s1600/images%25282%2529.jpg" /></a></div> <br /></div> <div dir="ltr"> আমাদের বিবি-১ স্যাটেলাইট টি তে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে যার মধ্যে ২৬ টি Ku Band (NATO equivalent J band) এবং ১৪ টি C band ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এই দুই band এই মুলত যোগাযোগ রক্ষায় ব্যবহার হয়ে থাকে যার মাঝে Ku band 12GHz - 18GHz এর মাঝে ফ্রিকোয়েন্সি আদান প্রদান করে এবং; C band 4GHz- 8GHz ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে।</div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> <b>C Band</b> প্রথমে C-Band নিয়ে কথা বলি এগুলো নরমাল কমিউনিকেশন ফ্রিকোয়েন্সি যারা স্যাটেলাইট ভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন সেবা দিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে.।  এই ধরনের ফ্রিকোয়েন্সির গতি আলোর গতি সমান হয়। এই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে স্যাটেলাইট ফোন, ওয়াইফাই সেবা বাড়ানো, প্রতন্ত অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ এর আওতায় আনা যাবে। বলতে গেলে এটি একটি বেসামরিক তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এর প্রতন্ত অঞ্চল গুলোতে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনা যাবে। এই ফ্রিকোয়েন্সি গুলো শর্ট হয় তবে শক্তিশালী হয় তাই দূর্যোগকালীন অবস্থায় এই ফ্রিকোয়েন্সি সমান কাজ করতে সক্ষম আইলা বা সিডর এর মত প্রাকৃতিক দূর্যোগ এ এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী হবে যা ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে আরো সহায়ক হবে।(Defres) এছাড়া আমাদের ইন্টারনেট সেবার বাইরে থাকা ৭০০ ইউনিয়ন এবং পার্বত্য অঞ্চলে  টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক প্রসার হবে। </div> <div dir="ltr"> <b><br /></b> <b>Ku Band</b> এবার আসি Ku band নিয়ে। Ku band একটি মিডিয়াম টু হাই ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। এটি ন্যাটো স্টান্ডার J band এর সমকক্ষ যা মুলতো UHF( Ultra high Frequency), VHF( Very High Frequency) যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।&nbsp; এই ধরনের ব্যান্ড ব্যবহার করেই মুলত স্যাটেলাইট; এর মাধ্যমে টিভি চ্যানেল এর তরঙ্গ আদান প্রদান, রেডিও কমিউনিকেশন, উচ্চ গতির ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবা প্রদান, টেলিকমিউনিকেশন, টেলিমেডিসিন, স্যাটেলাইট ফোন ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, সারভেল্যান্স, দূর্যোগকালীন জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন এবং সর্বোশেষ মিলিটারি কমিউনিকেশন এন্ড সার্ভেল্যান্সে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। D2H, HD Video broadcast সেবাও এই ব্যান্ডের আওতা ভুক্ত। আমরা যেসব টিভি চ্যানেল বর্তমানে দেখে থাকি তা সব গুলোই এই Ku band এর মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌছায়। তবে আমারা অন্য দেশের স্যাটেলাইট ব্যবহার করায় এখনো HD D2H কানেকশন পেতে সক্ষম হই নি। বাকি বিষয় গুলো আমরা সবাই মোটামোটি জানলেও Ku band মিলিটারি এর কি কাজে লাগবে তা কেউ জানি না। আর আমার মনে হয় আমাদের এই স্যাটেলাইট এর মিলিটারি ব্যবহার সম্পর্কে জানার পর যারা কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে গেল বলে হাই হুতাস করছেন ভারতের সার্ক স্যাটেলাইট প্রেরনের পর থেকে রাগে অদের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করেছেন তাদের মনে একটু হলেও শান্তি ফিরে আসবে<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg9g8FRKmdf0mZZK7-pDl_m7h6X4FnRd8cGnc3TiHEbLBvIkyoOSqlIDr7FEX8fUg0qTSJTSl7pL1zmmIpX36k5hK4Ha3WlEw0V58c_CbXqL8LnwYfFLtoTuVNL0ptvBv5afIfi8SLydaDx/s1600/789-4.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg9g8FRKmdf0mZZK7-pDl_m7h6X4FnRd8cGnc3TiHEbLBvIkyoOSqlIDr7FEX8fUg0qTSJTSl7pL1zmmIpX36k5hK4Ha3WlEw0V58c_CbXqL8LnwYfFLtoTuVNL0ptvBv5afIfi8SLydaDx/s1600/789-4.jpg" /></a></div> <br /></div> <div dir="ltr"> <b>বিবি_১এর কৌশলগত ব্যবহার</b>:<br /> <br /></div> <div dir="ltr"> বিবি-১ স্যাটেলাইট টির Ku band এর টান্সপন্ডার মিলিটারি বা আমাদের আমর্ড ফোর্সে ব্যবহার করা হবে। এটি যে আমাদের জন্য কৌশলগত কতটা গুরুত্বপূর্ণ অনেকেই জানি না। গত ৩ বছর ধরে আমরা ১৬ ডিসেম্বর এর মিলিটারি প্যারেড়ে ইস্ট বেংগল রেজিমেন্ট এর নতুন কমিউনিকেশন ডিভাইন এর সজ্জা দেখে যে খুশি তে আনন্দে দাত বের করে ভারত মিয়ানমার কে ট্রল করে আসছি তারা হয়তো জানেন না যে ইস্ট বেংগল বা আমাদের সেনাবাহিনীর এই নতুন সজ্জায় ব্যবহৃত পারসোনাল VHF কমিউনিকেশন ডিভাইসস গুলো স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে আমাদের সৈনিক দের মাঝে যোগাযোগ রক্ষা করার কাজে ব্যবহার হবে।আর এই স্যাটেলাইট ফ্রিকোয়েন্সির দরুন নিচের চিত্রের স্যাটেলাইট কাভারেজ এরিয়ার যেকোন স্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন নিজেদের মাঝে যোগাযোগ স্থাপন করে অপারেশন চালাতে সক্ষম। বর্তমান এই ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা দক্ষিন এশিয়ায় শুধু ভারতের ছিল এবং পাকিস্তান চীনের সহায়তায় এই সেবা ব্যবহার করে আসছে তাদের নিজস্ব দুইটি স্যাটেলাইট মহাকাশে থাকলেও সেগুলো এই ধরনের সেবার জন্য নয় তবে তারা এই বছরেই তাদের নতুন একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করতে যাচ্ছে যার দরুন তাদের আর্মড ফোর্স নিজ্বস ভাবে এই সেবা ভোগ করতে পারবে। ফলে তাদের চীনের উপর নির্ভর করতে হবে না এবং নিজেদের মিশনের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারবে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে। আর আপনি নিশ্চিয় চাইবেন না আপনার অপারেশনের খবরাখবর অন্য কেউ আড়িপেতে শুনুক। আপনার গোপন তথ্য কেউ ট্রাপ করুক। নিজ্বস স্যাটেলাইট আর থাকায় আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থায় নতুন মাত্র যোগ হল। শুধু সেনাবাহিনী নয় এই সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের নেভি গভীর সমুদ্রে অপারেশনাল ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। নিজ্বস কমিউনিকেশন থাকায় তার গোপনীয়তা যেমন থাকবে তেমনি সেই ফ্রিকোয়েন্সি ক্রমাগত পরিবর্তন করে আমারা শত্রু কে ফাকি দিতে পারবো সেটা যেখানেই থাকি না কেন এর মাধ্যমে আমাদের গ্রীন ওয়াটার নেভি হবার সপ্ন আরো অগ্রসর হলো যার ফলে এখন সীপ টু গ্রাউন্ড বেস কমিউনিকেশন এ আর কোন বাধা থাকলো না । আমাদের গ্রুপের বিভিন্ন পোস্টে সবাই জেনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তাদের সিমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থায় নতুন সার্ভ্যলন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে। এই নিয়ে আমাদের গ্রুপের সম্মানিত এডমিন তানভীর ভাই কয়েকদফা তথ্য নির্ভর পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু কারো মনে কি এই প্রশ্নটি এসেছে এই অত্যাধুনিক বর্ডার সার্ভ্যলেন্স ব্যবস্থায় স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে সার্বক্ষনিক তথ্য আদান প্রদান এর  দায়িত্ব টি কে পালন করবে।। যদি প্রশ্নটি আসতো তাহলে হয়তো স্যাটেলাইট দিয়ে কয় টাকা ইনকাম হবে সেই ধান্দা নিয়ে পরে থাকতেন না আর সরকার কে কারো দালাল হিসাবে উপাধি দিতেন না। (মাঝে মাঝে এখন ভয় লাগে আমিও না এই সব তথ্য দিয়ে দালাল ট্যাগ খাই)।<br /> <br /></div> <div dir="ltr"> সামরিক বাহিনী মোট কয়টি Ku band ট্রান্সপন্ডার ব্যবহার করবে তা উল্লেখ করা হয়নি তবে অনেক বলছে তারা ২ টি ট্রান্সপন্ডার চেয়েছে নিজস্ব ব্যবহারের জন্য যার নিয়ন্ত্রন (SPARRSO) এর অধিনে থাকবে। আরো কিছু বিষয় আছে কিন্তু পোস্টের সাইজের জন্য আর যুক্ত করতে চাই না। এটুকি যথেষ্ট মনে হয়।<br /> <br /></div> <div dir="ltr"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgBOLxpUq3BwZt4m0XNHmzYKlB9gN32A9m5kTFUABfIUFESeB_WXrfi9LSoRsH0w3dwJe2PizJqeUEv376gzyS1Dl-qDdLK1X1Qkem_NvUen4NhJuAisgFh7iCKXtZE86-ng8fuiTSKwB2C/s1600/images%25283%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="168" data-original-width="300" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgBOLxpUq3BwZt4m0XNHmzYKlB9gN32A9m5kTFUABfIUFESeB_WXrfi9LSoRsH0w3dwJe2PizJqeUEv376gzyS1Dl-qDdLK1X1Qkem_NvUen4NhJuAisgFh7iCKXtZE86-ng8fuiTSKwB2C/s1600/images%25283%2529.jpg" /></a></div> <b><br /></b> <b>কিছু ভুল ধারনার সমাধান</b> :<br /> <br /></div> <div dir="ltr"> প্রথমেই যে তথ্য টি নিয়ে বেশি বিভ্রান্তি আসছে তা হলো আমাদের দেশের চ্যানেল গুলো স্যাটেলাইট ব্যবহার করবে না কারন ১১৯' তে ভাল ছবি পাওয়া যাবে না। অই সব বিশেষ অজ্ঞের জন্য এক বালতি সমবেদনা। বিবি-১ একটি জিওষ্টেশনারী স্যাটেলাইট যা একটিভ ফ্রিকোয়েন্সি আদান প্রদান করবে কোন ছবি নয়। বেসরকারি টিভি চ্যানেল গুলো যে সমস্যার কথা জানিয়েছে সেটি হলো স্যাটেলাইট এর কাভারেজ নিয়ে। ছবি তে স্যাটেলাইট টির কাভারেজ এরিয়া দেখলে খেয়াল করবে এটি মিডেল ইস্টের দেশ গুলোতে কাভার করতে সক্ষম নয়। অথচ মিডেল ইস্টের দেশ গুলো তে বাংলাদেশ এর সবচেয়ে বেশি প্রবাসী থাকায় সেই দেশ গুলো তে আমাদের বাংলা চ্যানেল গুলোরর চাহিদা বেশি। কিন্তু কাভার যদি না হয় সেক্ষেত্রে কিভাবে তারা সেখানে তাদের চ্যানেল কে পৌছে দেবে  আর এই কারনে তারা তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আপনারা সবাই জানেন আমাদের দেশের অধিকাংশ চ্যানেল Apstar-7 নামের একটি সিংগাপুর/আমেরিকা ভিত্তিক স্যাটেলাইট কে ভাড়া করে ব্রডকাস্ট করে আসছে। এছাড়া আরো ২ টি স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এই স্যাটেলাইট গুলো মধ্যপ্রাচ্য কাভারেজ করতে সক্ষম একটি বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে যার নাম Satellite constellation সার্ভিস। আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের অনেক টিভি চ্যানেল যেমন ৭১ টিভি, সময় টিভি ইত্যাদি চ্যানেল গুলো আমেরিকা , কানাডা এই দেশ গুলো তেও দেখা যাবে কিন্তু এরা Apstar-7 নামের একটি স্যাটেলাইট থেকে সিগনাল আদান প্রদান করে তবে কিভাবে একটি স্যাটেলাইট বিপরীত গোলার্ধে থাকা অন্য একটি দেশ কে সিগনাল পাঠায়।  তার উত্তর হল এই Satellite constellation। আসলে Apstar-7 কোন একক স্যাটেলাইট নয় বরং এটি ৭ টি স্যাটেলাইট এর সমন্বয়ে গঠিন একটি স্যাটেলাইট যারা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নিজেদের মধ্যে ফ্রিকোয়েন্সি আদান প্রদান করে এবং বিশাল অঞ্চলে কাভারেজ দিতে সক্ষম হয়। যা একক ভাবে একটি স্যাটেলাইট পারে না। তো আমাদের বিবি-১ স্যাটেলাইট টিও একই প্রযুক্তি গ্রহন করবে। সেক্ষেত্রে বিটিয়ারসি মহাকাশে থাকা অন্যান্য জিওষ্টেশনারী স্যাটেলাইট এর সাথে তরঙ্গ বিনিময় করে যেখানে নিজেদের কাভারেজ নেই সেখানেও ব্রডকাস্ট চালু রাখতে পারবে। সেক্ষেত্রে অই সব অঞ্চল কাভার করে এমন স্যাটেলাইট গুলোর সাথে চুক্তিতে যেতে হবে। আর সেই বেপারে কাজ শুরু হয়ে গেছে। এর মাধ্যমে অই সব স্যাটেলাইট কে নিজেদের ফ্রিকোয়ােন্সি দিয়ে তাদের ফ্রিকোয়য়েন্সি আমরা ব্যবহার করতে পারবো। আর যেহেতু আমাদের স্যাটেলাইট এর ফ্রিকোয়েন্সি খরচ আন্তর্জাতিক খরচ থেকে কম তাই দেশিয় চ্যানেল গুলো অবশ্যই এই তরঙ্গ ব্যবহার করবে। শুধু দেশীয় চ্যানেল নয় আমাদের ইন্টারনেট সেবা দান কারী সংস্থা সমুহ নিজ্বস স্যাটেলাইট ব্যবহার করবে তা এক রকম নিশ্চিত। আমাদের সরকার ২০ টি ট্রান্সপন্ডার রেখে বাকি গুলো বেসরকারি হাতে ছেড়ে দিবে।। আপনাদের অনেকি অনেক হিসাবে দিয়েছেন নেপাল, মিয়ানমার কেন ভারত চীন রেখে আমাদের স্যাটেলাইট ব্যবহার করবে। আমি বলবো তাদের ব্যবহার করার কি দরকার দক্ষিন এশিয়ার বাইরে আরো অনেক দেশ আছে যাদের নিজ্বস স্যাটেলাইট নেই তারা ভাড়া নিয়ে চলছে তাদের কাছে আমাদের বাজার একেবারে কম নয়। এত নেগেটিভ এর মাঝে কেউ এই খবর টি পায় নি ফিলিপাইন আমাদের স্যাটেলাইট থেকে ট্রান্সপন্ডার ভাড়া নেবার আগ্রহ দেখিয়েছে। এমন কি বাংলাদেশ সরকার ইন্দোনেশিয়া লাওস, কম্বোডীয়ার মত আরো কিছু দেশ কে অফার করেছে। প্রাইভেট মালিকানাধীন স্যাটেলাইট অপেক্ষা খরচ কম হওয়ায় অনেকি আমাদের স্যাটেলাইট থেকে ট্রন্সপন্ডার ভাড়া নিবে এরকম আশা করা যায়। কিন্তু আমরা বাঙালি রা নেগেটিভ ভাবতে বেশি ভালবাসি। অনেক দেশ আছে যাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট থাকার পরেও বাইরের স্যাটেলাইট ভাড়া নেয় স্যাটেলাইট এর পজিশন সুবিধার কারনে আর আমাদের স্যাটেলাইট এর পজিশন সুবিধার কারনে আমরাও সেই সুবিধা ভোগ করতে পারি।<br /> <br />  এত কিছুর পরেও যদি আমাদের স্যাটেলাইট থেকে ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয় তাহলে আমি বলবো ৩ নং খন্ড টি আবার পড়েন।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi6k37tvMhM3gwVICAMXuvMv8Xd5ZIxV3iSmjOIfJrC3_9mXBkdJOz92CkTbK2A94cIMMZ_cSqK48FIrXJHuiScnhR5JPrr68SedR2muaApjxgXgIS4dnZzd3rLVtQ-mrp8hX767KK4nbg4/s1600/images.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi6k37tvMhM3gwVICAMXuvMv8Xd5ZIxV3iSmjOIfJrC3_9mXBkdJOz92CkTbK2A94cIMMZ_cSqK48FIrXJHuiScnhR5JPrr68SedR2muaApjxgXgIS4dnZzd3rLVtQ-mrp8hX767KK4nbg4/s1600/images.jpg" /></a></div> <br /></div> <div dir="ltr"> কয়েকটি সাইটে উল্লেখ করা হয়েছে এই স্যাটেলাইট নাকি ফ্রান্স আর আমেরিকা চালাবে। কিন্তু তথ্যটি আসলে বিকৃত করা হয়েছে আর কিছুই নয়।  আমাদের স্যাটেলাইট টি প্রথম ৩০ দিন বা এক মাসের জন্য পর্যবেক্ষনে থাকবে আর তার দায়িত্ব থাকবে যুক্তরাষ্ট্র এর স্পেস-এক্স, ফ্রান্সের থালাস এবং সাউথ কোরিয়া যারা শুধু মাত্র ১ মাসের জন্য এর পারফর্ম পর্যবেক্ষন করবে। এর পর পরবর্তী ৩ বছর ফ্রান্সের থালাস কম্পানির প্রতিনিধিদল বাংলাদেশর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে এটি নিয়ন্ত্রন করবে আর ফ্রান্স থেকে এটি পর্যবেক্ষন করবে। তাই পর্যবেক্ষন আর নিয়ন্ত্রন দুইটি বিষয় সম্পূর্ন আলাদা। ৩ বছর পর বাংলাদেশ এর দায়িত্ব বুঝে নিবে। মানে এর পর ফ্রান্স এই স্যাটেলাইট এর কোন দায় বহন করবে না তবে এর মাঝে যদি স্যাটেলাইট টি কোন ভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয় তবে তার সম্পূর্ন দায় ভার থালাস এর থাকবে। তবে যেহেতু এর মেয়াদ ১৫ বছর তাই এই ১৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ সরকার এর একটি বীমা করা আছেন যার দরুন এই ১৫ বছরে এই স্যাটেলাইট টি কোন ভাবে বন্ধ হয়ে গেলে বাংলাদেশ তার ক্ষতিপূরণ পাবে।</div> <div dir="ltr"> বাংলাদেশ ১১৯ পূর্ব দ্রাঘিমা তে স্লট টি পেয়েছে সেটি ২ দফায় ৪৫ বছর পর্যন্ত মালিকানা রাখতে পারবে আর এই স্লটে আরো দুইটি স্যাটেলাইট পাঠাতে পারবে। বাংলাদেশ খুব শ্রীগ্রই এই স্লটে আরো একটি নিজ্বস মেটরলজি স্যাটেলাইট পাঠানোরর চিন্তা করছে। এছাড়া বাংলাদেশ ৬৯ আর ১০৫ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের জন্য আবেদন জানিয়েছে। আর এ থেকে বুঝা যায় বাংলাদেশ আগামী কয়েক দশকে আরো কয়েকটি স্যাটেলাইট পাঠাবে। যা অধিকাংশ সামরিক এবং যোগাযোগ এর জন্য পাঠানো হবে। তাই যত স্যাটেলাইট পাঠানো হবে তত বাংলাদেশ এর আর্থিক ক্ষতি বাড়বে। হয়তো আগামী কয়েক দশকে প্রতিবার স্যাটেলাইট পাঠানোর পর তার আর্থিক ক্ষতি নিয়ে কিছু সংখ্যক মানুষ একই ভাবে চিন্তা জ্ঞানহীন ভাবে নিজেদের নেগেটিভ মন্তব্য ফেসবুক, টুইটার ইউটিউব এ ছড়াতে থাকবে কিন্তু তাতে আমাদের অগ্রগতি থামবে না।<br /> <br /></div> <div dir="ltr"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1sFg4NggKR-BEu4w88_hoPNJmXxpyAaC69YvC2avlx-hfHmq38nD4QF71MO-9CG5OYfZd4P4S0TJ7jgnj3ompYINlFOcGGlHkOrLdrAjlUCzTVXikb-SspR_n7-B7ClylUAn-0yicYsOi/s1600/images%25288%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="431" data-original-width="712" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1sFg4NggKR-BEu4w88_hoPNJmXxpyAaC69YvC2avlx-hfHmq38nD4QF71MO-9CG5OYfZd4P4S0TJ7jgnj3ompYINlFOcGGlHkOrLdrAjlUCzTVXikb-SspR_n7-B7ClylUAn-0yicYsOi/s1600/images%25288%2529.jpg" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhkO2UqRSfCj5l9ABZy7d7rcaO-AtfapiQ0v9KROs9UpVPEgqDlaDfOP_1jutiT_gu5gGXhmI8y9-EVKW4ACVVv88VPE6PFi17hKVxFyhLPloHDu-rDprwSu2SUKfziorXBv4JW4jtqhHRP/s1600/969f0bf8fd5928a2fe533c1b57d35ab4-5afbece159c44.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="224" data-original-width="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhkO2UqRSfCj5l9ABZy7d7rcaO-AtfapiQ0v9KROs9UpVPEgqDlaDfOP_1jutiT_gu5gGXhmI8y9-EVKW4ACVVv88VPE6PFi17hKVxFyhLPloHDu-rDprwSu2SUKfziorXBv4JW4jtqhHRP/s1600/969f0bf8fd5928a2fe533c1b57d35ab4-5afbece159c44.jpg" /></a></div> <br /> <br /> #SD</div> </div>

Bangabondhu 1 Exclusive

Bangabondhu 1 Exclusive বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র স্যাটেলাইট বিবি-১ লঞ্চ হবার আগে ও পরে ফেসবুক ময় স্যাটেলাইট এক্সপার্ট দের নানারকম...

Read more »

সন্ধ্যাতারাদের কেনো মধ্য রাতে দেখা যায়না ?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> সূর্যাস্তের কিছু পরে পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যাতারা আর সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ আগে পূর্ব আকাশে শুকতারা দেখেনি এমন মানুষ পাওয়া বিরল। তবে একটা জিনিস ভেবে দেখেছেন কী?? আমরা সবসময় সন্ধ্যাতারাকে মানে শুক্র গ্রহকে কেন গোধূলির সময় দেখি??? কেন এটা মধ্যরাতে দেখা যায় না??? তাহলে চলুন মজার এই প্রশ্নের উত্তরটা জানা যাক,,,<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgSpfbH5YCKNZsXs6X-jkugeDGnpBV0aMrxhzBjaCGNLccSLCpHB0N_N1gBHOOUZBq-OtK7K-EHxCA9tzcheIQNVaxN-kROZ7OIbBmdq3qnsv2Jk2Uvk7lvoy1XHigpjE9zYKCfnQa2pdh1/s1600/FB_IMG_1561864611996.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="542" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgSpfbH5YCKNZsXs6X-jkugeDGnpBV0aMrxhzBjaCGNLccSLCpHB0N_N1gBHOOUZBq-OtK7K-EHxCA9tzcheIQNVaxN-kROZ7OIbBmdq3qnsv2Jk2Uvk7lvoy1XHigpjE9zYKCfnQa2pdh1/s1600/FB_IMG_1561864611996.jpg" /></a></div> <br /> কিছুূদিন আগে আমরা দ্রাঘন নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।যে পৃথিবী-সূর্য রেখা এবং পৃথিবী-গ্রহ রেখার মধ্যেস্থ কোনকে সে গ্রহের দ্রাঘন (Elongation)  বলা হয়। এটাও আলোচনা করেছিলাম যে একটি বর্হিগ্রহের(পৃথিবীর পরের গ্রহগুলো) দ্রাঘন ০° থেকে ১৮০° যেকোন মানের হতে পারে কিন্তু অন্তর্গ্রহের(বুধ ও শুক্র) দ্রাঘন সবসময় ৯০° এর কম হয়। অন্তর্গ্রহের দ্রাঘনের পরিমাণ সবসময় সুক্ষ্মকোণ।সেজন্য একটি বহির্গ্রহকে রাতের আকাশে সবসময় দেখা যেতে পারে। শুক্র গ্রহের সবোচ্চ দ্রাঘন হলো ৪৫° এবং বুধ গ্রহের ২৮°। এ কারণে বুধ সবসময় সূর্যের কাছাকাছি থাকে এবং কদাচিৎ তাকে খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু শুক্রকে সবসময় খালি চোখে দেখা যায়। শুক্র যখন সূর্যের পশ্চিমে চলে আসে তখন সূর্য অস্ত যাবার পূর্বে তা অস্ত যায় এবং এবং সূর্য উদয় হওয়ার পূর্বে তা আবার উদয় হয়।সেক্ষেত্রে শুক্রকে পূর্ব আকাশে সূর্য উদয়ের কয়েক ঘণ্টা পূর্বে প্রভাত তারা হিসাবে দেখা যায়।<br /> <br /> শুক্র যখন সূর্যের পূর্বে চলে আসে তখন সূর্য অস্ত যাবার পর শুক্র গ্রহ অস্ত যায় এবং সূর্য উঠবার পরে উদয় হয়। সেক্ষত্রে সূর্য অস্ত যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত সন্ধ্যাতারা হিসাবে পশ্চিম আকাশে অবস্থান করে। সেজন্য একটি অন্তর্গ্রহে কেবলমাত্র শুকতারা (Morning star) অথবা সন্ধ্যাতারা (Evening star) হিসাবে দেখা যেতে পারে।<br /> <br /> চিত্রে দেখা যাচ্ছে বুধ এবং শুক্র দুটি অন্তর্গ্রহের মধ্যে বুধ গ্রহ সূর্যের এতো নিকটে যে একে খুব অল্পসময়ই সূর্যাস্তের পরে বা সূর্যোদয়ের আগে দেখা যায়,,কিন্তু তাও আবার মাঝে মাঝে গোধূলি ও ঊষার আলোর ছটায় হারিয়ে যায়। কেবলমাত্র শুক্র গ্রহকে দিগন্তের উপরে সর্বোচ্চ ৪৫° উন্নতিতে সূর্যোদয়ের আগে বা সূর্যাস্তের পরে দেখা যায়।কিন্তু শুক্র গ্রহও ঠিক অন্তঃসংযোগের পরপরই যখন এটা সূর্যে খুব কাছে,গোধূলির জন্যে মাঝে মাঝে দেখা যায়না। অপরদিকে বহির্গ্রহের দ্রাঘন ০° থেকে ১৮০° বিচরণ করে এ কারণে বহির্গ্রহগুলোকে সারারাত ধরে দেখা যায় কিন্তু অন্তর্গ্রহগুলো সারারাত ধরে মানে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত দেখা যায় না।<br /> <br /> #gravity</div>

সন্ধ্যাতারাদের কেনো মধ্য রাতে দেখা যায়না ?

সূর্যাস্তের কিছু পরে পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যাতারা আর সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ আগে পূর্ব আকাশে শুকতারা দেখেনি এমন মানুষ পাওয়া বিরল। তবে একটা জিনিস ভে...

Read more »

টেলিস্কোপ আমাদের কেন প্রয়োজন ?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> টেলিস্কোপ আমাদের কেন প্রয়োজন?  এই প্রশ্নের খুব সহজ উত্তরটা হলো টেলিস্কোপ দিয়ে আমরা অনেক দূরের বস্তুকে অনেক বড় করে দেখতে পারি। হ্যাঁ তা ঠিক আছে। কিন্তু এই টেলিস্কোপে এমন কী হয় যা আপনার চোখে হয় না? কখনও টেলিস্কোপ দিয়ে অন্ধকার আকাশে ফোকাস করে দেখেছেন?? যদি সম্ভব হয় তবে আজই দেখুন। দেখবেন খালি চোখে আকাশের যে অংশে দেখেছেন সেখানে টেলিস্কোপ দিয়ে দেখলে অনেক খ-গোলকীয় বস্তু দেখা যায়। কিন্তু কেন তা আপনার খালি চোখ দিয়ে দেখা যায় না? চলুন তার একটা গানিতিক ক্যালকুলেশন করে বিষয় ক্লেয়ার করি।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiT0KRTGcnJIahgjsCuRDLlK5tvkcziw_H5Sd5jgCdhdW146xmi9KTRYveio4NCNeh-qr5hcbGhVgnVHGB_bvgG3mfie-gdT7ln6QJbzzz3salrnXuCYj59MpvfW89ezAa7vidd24ESwdqv/s1600/FB_IMG_1561864387160.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="440" data-original-width="552" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiT0KRTGcnJIahgjsCuRDLlK5tvkcziw_H5Sd5jgCdhdW146xmi9KTRYveio4NCNeh-qr5hcbGhVgnVHGB_bvgG3mfie-gdT7ln6QJbzzz3salrnXuCYj59MpvfW89ezAa7vidd24ESwdqv/s1600/FB_IMG_1561864387160.jpg" /></a></div> <br /> ধরুন সূর্যের মত একটি তারা আমাদের থেকে ১০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। তারাটির ব্যাসার্ধ আর তাপমাত্রা দিয়ে হিসাব করলে আপনি তারাটির প্রতি সেকেন্ডে উৎপন্ন শক্তির পরিমান পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ তারাটির Intensity, I = 3.9×10^26 W. যেহেতু আমরা তারাটিকে সূর্যের মত ধরেছি তাই এখানে আমরা সূর্যের intensity ব্যবহার করলাম।<br /> <br /> এখন, দৃশ্যমান আলোর ফোটনের ক্ষেত্রে Intensity, I' = 2eV = 2×1.6×10^-19 W। মনে রাখা ভালো যে আমরা তারার ক্ষেত্রে যে luminosity/intensity বের করলাম তা কিন্তু তারাটি তার চারিদিকে ছড়িয়ে দেবে। কোন একটি নিদিষ্ট দিকে নয়। তাহলে এবার তারাটি থেকে প্রতি সেকেন্ডে বের হওয়া ফোটনের সংখ্যা হবে<br /> <br />  N = I/I' = {(3.9×10^26) / (2×1.6×10^-19)} = 1.2×10^45<br /> <br /> অতএব তারাটি থেকে প্রতি সেকেন্ডে বের হবে 1.2×10^45 টি ফোটন। যা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। এবার আপনি যদি আকাশে তারাটির দিকে তাকান তাহলে আপনার চোখে ওই তারা থেকে আসা কিছু ফোটন প্রবেশ করবে। আপনার চোখের pupil এর ব্যাসার্ধ হলো প্রায় r = 0.002m আর আমরা আগেই ধরে নিয়েছি তারাটি আমাদের থেকে ১০ আলোকবর্ষ দূরে। তাহলে, D = 10 ly = 1×10^17m।<br /> <br /> তাহলে আমাদের চোখে প্রবেশিত ফোটন সংখ্যা হবে<br /> <br /> =(1.2×10^45)×(πr^2/4πD^2)<br /> = 1.2×10^45 × [(0.002)^2/{4×(1×10^17)^2}]<br /> = 122000<br /> <br /> সুতরাং দেখা যায় ওই তারাটির দিকে তাকালে তারাটি থেকে আমাদের চোখে 122000 টি ফোটন প্রবেশ করে যা খুবই কম। 122000 টি ফোটন প্রবেশ করার অর্থ হলো তারাটি আমরা খুবই অনুজ্জ্বল দেখবো এবং এটিকে খুজে পেতে ও দেখতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হবে। যদি চোখে প্রবেশিত ফোটন সংখ্যা ১০০০০ থেকে ১০০০ হয় তাহলে আমরা তারাটিকে খালি চোখক দেখতেই পাবো না।<br /> <br /> তাহলে উপায়!! এই সমস্যাটা দূর করতেই আমাদের টেলিস্কোপ প্রয়োজন।  তাহলে টেলিস্কোপে আসলে কী হয়? টেলিস্কোপের অভিলক্ষের ব্যাসার্ধ (Aperture)আমাদের চোখের ব্যাসার্ধের তুলনায় অনেক অনেক গুণ বড় থাকে। যাতে করে সেখান দিয়ে বেশি ফোটন প্রবেশ করে এবং অভিনেত্রে রাখা আপনার চোখে যখন সেগুলো প্রবেশ করে তখন আপনি তারাটিকে দেখতে পান/উজ্জ্বল দেখতে পান/বড় দেখতে পান। তাহলে চোখে প্রবেশিত ফোটন আর টেলিস্কোপে প্রবেশিত ফোটনের মধ্যে পার্থক্য কত হবে? চলুন তার হিসাব করি।<br /> <br /> ধরি আমরা একটা টেলিস্কোপ দিয়ে ওই তারাটিকে পর্যবেক্ষণ করছি যার উন্মেষ বা Aperture, R = 1m  আমরা তারাটির দূরত্ব এবং প্রতি সেকেন্ডে বের হওয়া ফোটনের সংখ্যা জানি। তাহলে টেলিস্কোপে প্রবেশিত ফোটন সংখ্যা হবে<br /> <br /> =(1.2×10^45)×(πR^2/4πD^2)<br /> = 1.2×10^45 × [(1)^2/{4×(1×10^17)^2}]<br /> = 30000000000<br /> <br /> তাহলে টেলিস্কোপে প্রবেশিত ফোটনের সংখ্যা হচ্ছে 30000000000। যা আপনার খালি চোখের ভেতরে প্রবেশিত ফোটনের চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশি। বেশি ফোটন পাওয়ায় আপনি তারাটিকে দেখবেন একটু বড় ও উজ্জ্বল। আর এভাবেই টেলিস্কোপ ব্যাবহার করে বেশি ফোটন কালেক্ট করে আমরা দূরের কোন বস্তুকে বড় ও উজ্জ্বল দেখি যা খালি চোখে দেখা সম্ভব নই।<br /> <br /> #gravity</div>

টেলিস্কোপ আমাদের কেন প্রয়োজন ?

টেলিস্কোপ আমাদের কেন প্রয়োজন?  এই প্রশ্নের খুব সহজ উত্তরটা হলো টেলিস্কোপ দিয়ে আমরা অনেক দূরের বস্তুকে অনেক বড় করে দেখতে পারি। হ্যাঁ তা ঠিক ...

Read more »

বিশ্বের সেরা ১১ দেশের সামরিক শক্তি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr"> <b>বিশ্বের সেরা ১১ দেশের সামরিক শক্তি</b></div> <div dir="ltr"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTuW6rX31CrbAyDYCqd0GeyZZIkAJrysohu8_G5wxpOgvrXpkqEx9zt_k72oZtHnfLPB8eLM2JskUmtFXBj2wLtGNXVMPI_4IogKzBf3BHlngHfxOlbuGzEom1oZogStRN_crnfNQub0LT/s1600/images%252814%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="415" data-original-width="739" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTuW6rX31CrbAyDYCqd0GeyZZIkAJrysohu8_G5wxpOgvrXpkqEx9zt_k72oZtHnfLPB8eLM2JskUmtFXBj2wLtGNXVMPI_4IogKzBf3BHlngHfxOlbuGzEom1oZogStRN_crnfNQub0LT/s1600/images%252814%2529.jpg" /></a></div> <b><br /></b> এখানে শুধু মাত্র শক্তিমত্তার বিচারে দেশ গুলোর নাম দেওয়া হয়েছে তবে এর মধ্যে ইস্রায়েল রাষ্ট্রটি অবৈধ।</div> <div dir="ltr"> সাধারণভাবে ধরা হয়, কোনও রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পরাক্রমের উপরে সে দেশের সামরিক সমৃদ্ধি নির্ভর করে। এই প্রতিবেদনে এমন ১১টি দেশের সামরিক বাহিনীর শক্তির কথা কাউন্টডাউনের ধারায় তুলে ধরা হল:</div> <div dir="ltr"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjOoawx4n5vds9nG4e4DoqBdRoUuTKP4Lqv7is4WwmO1NMdbgrL45hf70lMkR1F99DvEP6w7Ex8Re06BdAwMXHUOHJyxTeOsGnP9xy45vSu-S3AoouSxDqVw4hyRmDrCOB6XEBNppIIzBoR/s1600/images%252813%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="360" data-original-width="480" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjOoawx4n5vds9nG4e4DoqBdRoUuTKP4Lqv7is4WwmO1NMdbgrL45hf70lMkR1F99DvEP6w7Ex8Re06BdAwMXHUOHJyxTeOsGnP9xy45vSu-S3AoouSxDqVw4hyRmDrCOB6XEBNppIIzBoR/s1600/images%252813%2529.jpg" /></a></div> <br /></div> <div dir="ltr"> <b>১১. ইজরায়েল: </b></div> <div dir="ltr"> সামরিক ক্ষমতায় ইজরায়েল বরাবরই বাদবাকি দুনিয়ার সমীহ আদায় করেছে। আন্দাজমতো এই মুহূর্তে তাদের ভাঁড়ারে রয়েছে ৮০ থেকে ১০০টি পরমাণু অস্ত্র। পাশাপাশি প্রায় চার হাজার সাঁজোয়া গাড়ি সহ ট্যাঙ্ক বাহিনী রয়েছে ইজরায়েলের। যুদ্ধ ও বোমারু বিমান রয়েছে ৬৮০টি। ইরানের মতো ইজরায়েলেও সব নাগরিককে বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3P4WzMjJ9DgBHBym7zPvQ0Kvp-x13PDspHaBq70ykFGbbScJDQBIzv1qXrSPunDn7E-oSy7y-9g1ldUKbq7_U7lPT_ucNqs-s1m_BfFcz_qC_oOw5QkNFW6gs1bdxs3BFfWbJ0vDf-f13/s1600/1200px-Flag_of_Israel.svg.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="873" data-original-width="1200" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3P4WzMjJ9DgBHBym7zPvQ0Kvp-x13PDspHaBq70ykFGbbScJDQBIzv1qXrSPunDn7E-oSy7y-9g1ldUKbq7_U7lPT_ucNqs-s1m_BfFcz_qC_oOw5QkNFW6gs1bdxs3BFfWbJ0vDf-f13/s1600/1200px-Flag_of_Israel.svg.png" /></a></div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> <b>১০. জাপান: </b></div> <div dir="ltr"> সিনজো আবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে জাপান সরকার তাদের বাজেটে ৫ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ করছে প্রতিরক্ষা খাতে। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রায় দেড় হাজার জঙ্গি ও বোমারু বিমান রয়েছে জাপানের শস্ত্রাগারে৷সেইসঙ্গে রয়েছে চোস্ত বিমানচালক। দাই নিপ্পনের নৌবহরে আপাতত সদাপ্রস্তুত ১৬টি সাবমেরিনও।</div> <div dir="ltr"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiD8icKtUJWzyZKvH3l4AuLKooj5jU0E7-y6AWX82YDN5-dLt3FDGHj12ORfN1qWUab8kyGyjdS7szvlOx3jaNc2VoBYjXdIFPLgk9iQChVSpj_AuoaldSQIRwpy9v5c5DMmBOyR6ul3mdc/s1600/images%252821%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="367" data-original-width="550" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiD8icKtUJWzyZKvH3l4AuLKooj5jU0E7-y6AWX82YDN5-dLt3FDGHj12ORfN1qWUab8kyGyjdS7szvlOx3jaNc2VoBYjXdIFPLgk9iQChVSpj_AuoaldSQIRwpy9v5c5DMmBOyR6ul3mdc/s1600/images%252821%2529.jpg" /></a></div> <br /></div> <div dir="ltr"> <b>৯. দক্ষিণ কোরিয়া:</b> </div> <div dir="ltr"> শান্তভাব, অথচ দৃঢ়তাই কোরীয় উপদ্বীপবাসীর বৈশিষ্ট্য। তাই ঢাক না পেটালেও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি কিন্তু অনেকেরই আজ মাথাব্যথার কারণ। প্রতি বছর তাদের প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ হয় ৩৪০০ কোটি ডলার। গণতান্ত্রিক দক্ষিণ কোরীয় সেনাবাহিনীতে রয়েছে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার সক্রিয় ফৌজি। ভুললে চলবে না তাদের ২৩০০ ট্যাঙ্ক ও ১৪০০ যুদ্ধ ও বোমারু বিমানের কথাও।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj62GAUdk9ZaFm8RJM3C4Cl3aOngblvzKWhtX7KDCKJ7jP_F8djAbWZO65NZ01jVdRySHMkAIr-exTt497f9RzJb_41Q9iAn4yiKoEGLnTw7Lzf2Jsfcf2cCoJxrCrXxlWg1y-EekkUoopB/s1600/images%252819%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="452" data-original-width="678" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj62GAUdk9ZaFm8RJM3C4Cl3aOngblvzKWhtX7KDCKJ7jP_F8djAbWZO65NZ01jVdRySHMkAIr-exTt497f9RzJb_41Q9iAn4yiKoEGLnTw7Lzf2Jsfcf2cCoJxrCrXxlWg1y-EekkUoopB/s1600/images%252819%2529.jpg" /></a></div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> <b>৮. তুরস্ক: </b></div> <div dir="ltr"> চার লক্ষ সেনা রয়েছে এই দেশের বাহিনীতে। সঙ্গে ট্যাঙ্ক সহ সাড়ে তিন হাজার সাঁজোয়া গাড়ি ও হাজার লড়াকু বিমান।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjf0kdkUBF5SRyGLhlVPbt-OgNZWlaDFipJTaj7P8nWKhjXcwc7Qx1R8y9rLtz77kkoivQadm9FE_Eqd4M0S54oh0r6Vh5igrN_qZAr3_IO9Sd98oiOYLLFFfsXn7S7_ORhinGOzcxVL2z4/s1600/images%252818%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="452" data-original-width="678" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjf0kdkUBF5SRyGLhlVPbt-OgNZWlaDFipJTaj7P8nWKhjXcwc7Qx1R8y9rLtz77kkoivQadm9FE_Eqd4M0S54oh0r6Vh5igrN_qZAr3_IO9Sd98oiOYLLFFfsXn7S7_ORhinGOzcxVL2z4/s1600/images%252818%2529.jpg" /></a></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> <b>৭. জার্মানি: </b></div> <div dir="ltr"> বাজেটে প্রতি বছর ৪৫০০ কোটি ডলার এমনি এমনি বরাদ্দ করে না জার্মান সরকার। এখন অন্তত ২ লক্ষ সেনা রয়েছে জার্মান আর্মিতে। সঙ্গে রয়েছে ৭০০ ফাইটার জেটও৷ শক্তির নিরিখে গত বছর নয় নম্বরে থাকা জার্মান সেনাবাহিনী বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের এই মুহূর্তে সাত নম্বরে উঠে এসেছে।</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQqV5Ic5t-1gWHO095YnR7k7CHYcxGqVmItgoEp8jA3vNdvSYTdt3YczN2yHf7szsg3HQ8Uf3FTWAmiLwTmplx_1dJA9N6otD93-sS5MHvhzBtZxEnAMeyieDcjQPcXv0Nt8j5OWCmHhAH/s1600/images%252820%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="429" data-original-width="715" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQqV5Ic5t-1gWHO095YnR7k7CHYcxGqVmItgoEp8jA3vNdvSYTdt3YczN2yHf7szsg3HQ8Uf3FTWAmiLwTmplx_1dJA9N6otD93-sS5MHvhzBtZxEnAMeyieDcjQPcXv0Nt8j5OWCmHhAH/s1600/images%252820%2529.jpg" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> <b>৬. ফ্রান্স: </b></div> <div dir="ltr"> ৩০০ পরমাণু অস্ত্র ও অন্তত আড়াই লক্ষ পদাতির বলে বলীয়ান ফ্রান্স এখন বিশ্বে সামরিক শক্তির নিরিখে একটু নেমে গিয়েছে। চার থেকে তারা দুই ধাপ নেমে আপাতত ছয় নম্বরে৷ ফ্রান্সের বিমানবহরে রয়েছে এক হাজারেরও বেশি যুদ্ধ ও বোমারু বিমান।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgNB2o5RT3-XFj8oLuNauO-xhfePlHA_RQwOWGl8a8PHMYzgteGvdHYakgBU-0QYttGPZOvTufCXHFjFBbAo2vd21g5e2PNPymrJFhnJOR2FLq1RUlXU85wQCEGU2lJ_v25ninvKOUPCdos/s1600/1200px-Flag_of_France.svg.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="800" data-original-width="1200" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgNB2o5RT3-XFj8oLuNauO-xhfePlHA_RQwOWGl8a8PHMYzgteGvdHYakgBU-0QYttGPZOvTufCXHFjFBbAo2vd21g5e2PNPymrJFhnJOR2FLq1RUlXU85wQCEGU2lJ_v25ninvKOUPCdos/s1600/1200px-Flag_of_France.svg.png" /></a></div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> <b>৫. ব্রিটেন: </b></div> <div dir="ltr"> সুপার-পাওয়ার না হলেও সেমি-সুপার বললে খুব একটা ভুল হবে না। ব্রিটেনের ভাঁড়ারে রয়েছে দুশোটি পরমাণু অস্ত্র, যা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে পরিণত করেছে বিশ্বের পঞ্চম শক্তিশালী বাহিনীতে। সামরিক দিক থেকে তাদের বিমানের সংখ্যা ৯০৮টি। সংখ্যায় কম হলেও আর্মির যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণিত।<br /> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg4D3u0qDIItUrfD1VwLW8Z6hoPVA7W71PpVpimXRFRy1fWiC_J7tuoEQx7XGyEo24b0xtSlZxOOumniROLZPms-f8L6n566him2d9Iq98QigtmrsIkCNktYGUgH2cwjfc8qyOoG-0viCif/s1600/1200px-Flag_of_Great_Britain_%25281707%25E2%2580%25931800%2529.svg.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1200" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg4D3u0qDIItUrfD1VwLW8Z6hoPVA7W71PpVpimXRFRy1fWiC_J7tuoEQx7XGyEo24b0xtSlZxOOumniROLZPms-f8L6n566him2d9Iq98QigtmrsIkCNktYGUgH2cwjfc8qyOoG-0viCif/s1600/1200px-Flag_of_Great_Britain_%25281707%25E2%2580%25931800%2529.svg.png" /></a></div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> <b>৪. ভারত: </b></div> <div dir="ltr"> সামরিক শক্তির বিচারে ভারত এখন বিশ্বের মধ্যে চার নম্বরে। প্রায় ১৩ লক্ষ পদাতিক বাহিনী, শতাধিক পরমাণু হাতিয়ার ও সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি যুদ্ধ ও বোমারু বিমান ভারতকে সুরক্ষিত রেখেছে। </div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiNbFObLlSJGMe2AarkuFo_8dmZDDzX56bKbDTFQDavl5zXm19Nz4w0UPu3VDZikWA7qpwRLW4gRQZjlBsdGABX5_TXhY2V7YGqDFkmPyqxwohyFGhe1y23WuamsiWNenItxcHCOcbrE5y0/s1600/images%252817%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="452" data-original-width="678" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiNbFObLlSJGMe2AarkuFo_8dmZDDzX56bKbDTFQDavl5zXm19Nz4w0UPu3VDZikWA7qpwRLW4gRQZjlBsdGABX5_TXhY2V7YGqDFkmPyqxwohyFGhe1y23WuamsiWNenItxcHCOcbrE5y0/s1600/images%252817%2529.jpg" /></a></div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> <b>৩. চিন: </b></div> <div dir="ltr"> আড়াইশোর বেশি পরমাণু অস্ত্র ও প্রতি বছর বাজেটে বরাদ্দ হওয়া প্রায় ১২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার চিনা সেনাবাহিনীকে করে তুলেছে বিশ্বের তিন নম্বর। বর্তমানে তাদের লক্ষ বিশ্বের দুই নম্বর হওয়া৷ পদাতিক সৈন্যের সংখ্যা ২৩ লক্ষ।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj_rRkhR2OTPG7IbffYFV-tAuoYbQe1qfZkxh5uns5Mfu87lbJGJBclWPKSdY8V1czNKIJMzwtzR94KN5c35B_NXWsS8nIqREAf_-XTCaWCvMFpxzapEV4nA4Xu-zCcqVMu3J0osFWaYUR7/s1600/images%252815%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="452" data-original-width="678" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj_rRkhR2OTPG7IbffYFV-tAuoYbQe1qfZkxh5uns5Mfu87lbJGJBclWPKSdY8V1czNKIJMzwtzR94KN5c35B_NXWsS8nIqREAf_-XTCaWCvMFpxzapEV4nA4Xu-zCcqVMu3J0osFWaYUR7/s1600/images%252815%2529.jpg" /></a></div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> <b>২. রাশিয়া: </b></div> <div dir="ltr"> এই তালিকায় অল্পের জন্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। তাদের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা শুনলে ঘাবড়ে যেতে পারেন। অন্তত সাড়ে আট হাজার। রাশিয়া তাদের সামরিক ক্ষমতার বহর না দেখালেও গোটা দুনিয়া জানে রাশিয়ার সামরিক সামর্থ্যের গৌরবময় কীর্তির কথা। ১৫ হাজার ট্যাঙ্ক নিয়ে স্থলযুদ্ধে এখনও দুর্দান্ত ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষমতা ধরে রাশিয়া।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi20weOFa339xBoRA7cLap-YvAK-WpNqlH7c9y3bxbqiUY9a7cJhwkJKrCk7BqVO3zABopiL4iMN1A-gFyU4kwtpY3hyahWv_Qo0U8yxrqPF0XVy-VZ9gIXz3OgEvBf6lRwmcPdN2MmEaLy/s1600/images%252816%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="452" data-original-width="678" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi20weOFa339xBoRA7cLap-YvAK-WpNqlH7c9y3bxbqiUY9a7cJhwkJKrCk7BqVO3zABopiL4iMN1A-gFyU4kwtpY3hyahWv_Qo0U8yxrqPF0XVy-VZ9gIXz3OgEvBf6lRwmcPdN2MmEaLy/s1600/images%252816%2529.jpg" /></a></div> <div dir="ltr"> <b><br /></b></div> <div dir="ltr"> <b>১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: </b></div> <div dir="ltr"> সাড়ে সাত হাজার পরমাণু অস্ত্র এবং ১৩ হাজার ৬৮৩টি যুদ্ধ ও বোমারু বিমান নিয়ে বরাবরের মতো এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। প্রতি বছর প্রতিরক্ষা খাতে তাদের জন্য বরাদ্দ ৬১ হাজার ২০০ কোটি ডলার।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgOJUx_gFA_zdQiAez9W4fj0bDgmLGhHpjGyKtvJl9wVkdAeaTYgqdU1zrZeBNRAdvF-E5wyT0_dTFOWMNVzpiPRBAfUBY7E8LhdjRil7NDwyVYVZONgV0S6LojdaR5SXFHVC31G9sHQP0k/s1600/images.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="402" data-original-width="763" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgOJUx_gFA_zdQiAez9W4fj0bDgmLGhHpjGyKtvJl9wVkdAeaTYgqdU1zrZeBNRAdvF-E5wyT0_dTFOWMNVzpiPRBAfUBY7E8LhdjRil7NDwyVYVZONgV0S6LojdaR5SXFHVC31G9sHQP0k/s1600/images.jpg" /></a></div> <div dir="ltr"> <br /></div> </div>

বিশ্বের সেরা ১১ দেশের সামরিক শক্তি

বিশ্বের সেরা ১১ দেশের সামরিক শক্তি এখানে শুধু মাত্র শক্তিমত্তার বিচারে দেশ গুলোর নাম দেওয়া হয়েছে তবে এর মধ্যে ইস্রায়েল রাষ্ট্রটি অবৈধ...

Read more »

মঙ্গলযাত্রার ভূত-ভবিষ্যৎ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <b>মঙ্গলযাত্রার ভূত-ভবিষ্যৎ!</b><br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1QfiMcFjMpWidT8QnH8H-A4vYfUO1upTpsaGLThnUBW8-qhwbGl1zZV1aF-BUJyuJkefLU-haKRsftCOkMzcg0RrmZo9QacJzIA6mfNOQ6duFXXwIgZswj2YTWpR7T_hyJYBv36AQRnAB/s1600/images%25289%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="405" data-original-width="757" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1QfiMcFjMpWidT8QnH8H-A4vYfUO1upTpsaGLThnUBW8-qhwbGl1zZV1aF-BUJyuJkefLU-haKRsftCOkMzcg0RrmZo9QacJzIA6mfNOQ6duFXXwIgZswj2YTWpR7T_hyJYBv36AQRnAB/s1600/images%25289%2529.jpg" /></a></div> <b><br /></b> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj2SqvccLxVQD7nNSRX3oya59TYx63JBd256SfBNTGf1MSXSakVtkAWXlMU1MnZwrAsBRu9uFioXu3msPefqVncP0wWVmsQaVlhC-1-VrrioE-GLruodRv4gBFDcGS-2U9DtzBFRJRsVyAm/s1600/FB_IMG_1561831267450.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="437" data-original-width="552" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj2SqvccLxVQD7nNSRX3oya59TYx63JBd256SfBNTGf1MSXSakVtkAWXlMU1MnZwrAsBRu9uFioXu3msPefqVncP0wWVmsQaVlhC-1-VrrioE-GLruodRv4gBFDcGS-2U9DtzBFRJRsVyAm/s1600/FB_IMG_1561831267450.jpg" /></a></div> <br /> মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠান এলোন মাস্কের মতে লাল গ্রহ মঙ্গলে আগামী ১০০ বছরের মাঝে প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসতি স্থাপন করার সম্ভাবনা খুবই প্রবল। স্পেস এক্স মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর জন্য অনেকদিন যাবৎ কাজ করছে। এই অভিযানের জন্য তারা তৈরি করছে বিগ ফ্যালকন নামের এক রকেট দানবকে। স্পেস এক্স ছাড়া নাসা,ইসা, জাক্সার মত অন্যান্য মহাকাশ গবেষণা এজেন্সীও মঙ্গলে অভিযান শুরু করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেজন্যই বোধহয় মঙ্গলে এ অব্দি সবচে বেশি মহাকাশ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। মঙ্গলে অভিযান আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। অবশ্যি মনুষ্যবিহীন অভিযান।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiypSNXo902Q18IkANxpxNPzJ6VwCFnB-iA34vIV5cpzi3JrwAgYxrPM9AZWEzcqWI-k3JDyEvL_n3dgZX6R3JtXxFINq6VeEi6B_pTBz55K2XtADLJpStT3DAaR3Q_KqkSWOfOWKYOhGhh/s1600/images%252812%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="340" data-original-width="606" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiypSNXo902Q18IkANxpxNPzJ6VwCFnB-iA34vIV5cpzi3JrwAgYxrPM9AZWEzcqWI-k3JDyEvL_n3dgZX6R3JtXxFINq6VeEi6B_pTBz55K2XtADLJpStT3DAaR3Q_KqkSWOfOWKYOhGhh/s1600/images%252812%2529.jpg" /></a></div> <br /> আর্থিক আর প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার দরুণ মঙ্গলে এখনো নভোচারী পাঠানো সম্ভব হয়ে ওঠে নি। তবে মনুষ্যবিহীন অভিযান শুরু হয়েছিল সেই ৬০ এর দশকেই। এবার অনুমান করুন তো মঙ্গলে কতগুলো অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে? সংখ্যাটা খুব বেশি না। মাত্র ৫৬টি! তবে সফল হয়েছে মোটে ২৬ টি অভিযান! এ মুহূর্তে লাল গ্রহটিতে একটি রোভার কর্মক্ষম  আছে। গ্রহটির কক্ষপথে থাকা ৬টি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেটি আমাদের কাছে ক্রমাগত হরেক রকম তথ্য পাঠিয়ে চলেছে। ২০২০, ২০২২, ২০২৪ সালে আরো কয়েকটি রোবট পাঠানোর কথা রয়েছে মঙ্গলে। আর ২০৩০ সালে প্রথমবারের মত কোন মানুষের পদধূলি পড়বে মঙ্গলে।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjP11St5JJMfUKG6AxYvnXd3x_kVafDba8p-0xr2cqBUy1N9lN02Qpr221weZ5mbao-iSbbleSDighII5LQIUGr5MxXGs0uSQvT3VqSU8cII0tUzMuOhh9ThR3IOIoJ1NcmkQfKVq7KJD0w/s1600/images%252811%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="387" data-original-width="792" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjP11St5JJMfUKG6AxYvnXd3x_kVafDba8p-0xr2cqBUy1N9lN02Qpr221weZ5mbao-iSbbleSDighII5LQIUGr5MxXGs0uSQvT3VqSU8cII0tUzMuOhh9ThR3IOIoJ1NcmkQfKVq7KJD0w/s1600/images%252811%2529.jpg" /></a></div> <br /> মঙ্গলে অনেকগুলো অরবিটার পাঠানো হয়েছিল। এদের মাঝে মার্স অডেসি, মার্স এক্সপ্রেস, মার্স রিকোনাইস্যান্স অরবিটার, মঙ্গলায়ান, মাভেন, এক্সোমাস ট্রেস গ্যাস অরবিটার উল্লেখযোগ্য।  মঙ্গলায়নের কথা একটু বিশেষভাবে বলতে হচ্ছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা একটা অভাবনীয় কাজ করেছিল মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে। পুরো অভিযানের পিছনে তারা খরচটাকে স্রেফ ৭৩ মিলিয়ন ডলারের নামিয়ে এনেছিল। যেটা আনুপাতিক দৃষ্টিতে ট্যাক্সি ভাড়ার চাইতেও কম ছিল। এবার একটু রোভারগুলো নিয়ে বলা যাক।<br /> <br /> মঙ্গলে নাসার পাঠানো প্রথম রোভারগুলো ছিল মার্স স্পিরিট অ্যান্ড অপোর্চুনিটি, যেগুলো দুই দফায় ২০০৩ সালে মঙ্গলের বুকে অবতরণ করে। এটা ছিল নাসার স্পেস প্রোগ্রামের বিরাট একটা সফলতা। মঙ্গলে পৌছাতে রোভারগুলোর লেগেছিল প্রায় ৬ মাসের মত সময়। প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনের একটি অভিযান পরিকল্পনা করেছিল নাসা। মঙ্গলের ভূতত্ত্ব আর বায়ুমণ্ডল সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করাই ছিল রোভারগুলোর প্রধান কাজ। কিন্তু দেড় মাসেই থেমে থাকে নি তারা। মার্স স্পিরিট কাজ করেছিল ২০১০ সালের মার্চ পর্যন্ত। আর অপোর্চুনিটি তো সুপাররোভার। টিকে ছিল ২০১৮ সালের জুন অব্দি!<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6Y885Re-gEPiMHMDKtMls4HHnnR6xles37bFfjP8KirNAye9XN84AqLwJoP03_F6RB9zEASxRkbkBy3dsNWYfg8lexg4SHffTxPWSvkW0GoYvJ9bYKQUfBVouWats7LzdDCMtdHModw8-/s1600/images%25289%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="405" data-original-width="757" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6Y885Re-gEPiMHMDKtMls4HHnnR6xles37bFfjP8KirNAye9XN84AqLwJoP03_F6RB9zEASxRkbkBy3dsNWYfg8lexg4SHffTxPWSvkW0GoYvJ9bYKQUfBVouWats7LzdDCMtdHModw8-/s1600/images%25289%2529.jpg" /></a></div> <br /> মঙ্গলে দ্বিতীয় রোভারটি পাঠানো হয় ২০১১ সালে। নাম কিউরিসিটি রোভার। এই নামটা আমি সর্বপ্রথম দেখি দাদার আইসিটি বইয়ে। খুব অবাক হয়েছিলাম এটা সম্পর্কে পড়ে। কিউরিসিটি কৌতুহলী ছিল মঙ্গলের প্রাকৃতিক ভূচিত্র আর সেখানকার আবহাওয়া নিয়ে। আমাদের যেটা মঙ্গলকে জানতে অনেক সাহায্য করেছে। মঙ্গলে অতি ক্ষুদ্র জীবের সন্ধানেও তৎপর ছিল কিউরিসিটি। মঙ্গলের বুকে অবতরণের পরের বছর তথা ২০১২ সালেই এটা তার কাজ থেকে ইস্তফা দেয়!<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjq2lGgUeq6W7uBd-DLKmEjb3Hi6UQShX8d3cmJUiEK4v2AKlhchVjY9YmzPfdn24_jHjPd0LD3lQ-Gvc9IvjmBM6VENRfUB0khOX5pA6ojCycas9Z4q41VOCR85grL7bzlcIDggrLXzn67/s1600/images%252810%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="639" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjq2lGgUeq6W7uBd-DLKmEjb3Hi6UQShX8d3cmJUiEK4v2AKlhchVjY9YmzPfdn24_jHjPd0LD3lQ-Gvc9IvjmBM6VENRfUB0khOX5pA6ojCycas9Z4q41VOCR85grL7bzlcIDggrLXzn67/s1600/images%252810%2529.jpg" /></a></div> <br /> আর এখন পর্যন্ত নাসার সর্বশেষ চমক তাদের ইনসাইট ল্যান্ডার। গতবছর তথা ২০১৮ সালের নভেম্বরে ইনসাইট ল্যান্ডার মঙ্গলে মাটির পা দেয়। মঙ্গলের মাটি আর ভূকম্পন সংক্রান্ত গবেষণায় মগ্ন রবে এটি। সুখবর ইতোমধ্যেই এক্ষেত্রে সফলতা পেয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডার। এখনো অনেক দৌড় বাকি আছে এটির।<br /> <br /> ২০৪০ সালের মধ্যে আরো ১২টি অভিযান পরিচালিত হবে মঙ্গলে, যেটা মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্য ভাল খবর।<br /> <br /> নাসার পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে মঙ্গলে মার্স ২০২০ রোভার পাঠানো। ২০২০ সালের ১৭ই জুলাইয়ে এটিকে উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে আর ২০২১ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতেই মঙ্গলের বুকে নামতে পারে ২০২০ রোভারটি। এস্ট্রোবায়লজি নিয়ে গবেষণা করতে এটিকে মঙ্গলে পাঠানো হবে।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEif1TznS53numBkvdtFDSPKuX16_HLEDu1GZZbsORl-MkRw9gcdw5IiITZrCIbDpAaG5rQmG6pJxHiE5NVemq8iA0XuQJzGeS7lrIHJNGGSxVqG8s7W7D_m2vLyhDqAW0VUBrVpSFE30PdX/s1600/20150515090324938.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="690" data-original-width="962" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEif1TznS53numBkvdtFDSPKuX16_HLEDu1GZZbsORl-MkRw9gcdw5IiITZrCIbDpAaG5rQmG6pJxHiE5NVemq8iA0XuQJzGeS7lrIHJNGGSxVqG8s7W7D_m2vLyhDqAW0VUBrVpSFE30PdX/s1600/20150515090324938.jpg" /></a></div> <br /> এছাড়াও ২০১৮ সালের সূচি পরিবর্তিত হয়ে ২০২০ সালে আরো একটি রোভার যাবে মঙ্গলে। রোজ্যালিন ফ্র‍্যাঙ্কলিন নাম তার। মহাকাশ গবেষণা এজেন্সী ইসা এটা পরিচালনা করবে। এখানেই শেষ নয়।<br /> <br /> ২০২০ সালে মার্স গ্লোবাল রিমোট সেন্সিং ল্যান্ডার নামে আরেকটি রোভারের যাত্রা শুরু হবে মঙ্গলের পথে। চীনের জাতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান কেন্দ্র এই আন্তঃগ্রহীয় অভিযানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।<br /> <br /> ভবিষ্যতের অরবিটারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মার্স টেরাহার্টজ মাইক্রোস্যাটেলাইট, মঙ্গলায়ন-২, হোপ মার্স মিশন, মার্শিয়ান মুন'স এক্সপ্লোরেশন্স।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEijFMwo2OQFAwDQbOqvtgN1ZgC7u_md_jTSDseBXz7HHi7HMdefU9qQ1PxXzGgkRO5mI6QzbLNTSQFVI1BklnNBT0ziaMTTBa5tnWe2lWtcdXdonisLiwZTBA4c-Nws1wyxZ3189d2_Z5lN/s1600/NASA-journey-to-Mars-br2-40.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="745" data-original-width="1440" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEijFMwo2OQFAwDQbOqvtgN1ZgC7u_md_jTSDseBXz7HHi7HMdefU9qQ1PxXzGgkRO5mI6QzbLNTSQFVI1BklnNBT0ziaMTTBa5tnWe2lWtcdXdonisLiwZTBA4c-Nws1wyxZ3189d2_Z5lN/s1600/NASA-journey-to-Mars-br2-40.jpg" /></a></div> <br /> মার্শিয়ান মুন'স এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামটি পরিচালনা করবে জাপান। মঙ্গলের একটি চাঁদ ফোবোসে ২০২৪ সালে পাঠানো হবে এটি। তারপর ফোবোসে অবতরণ করে সেখানকার  স্যাম্পল সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফেরত পাঠাবে সেগুলো। এখানে আসতে আসতে অবশ্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত লেগে যাবে।<br /> <br /> তারমানে মঙ্গল নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সাধনা প্রায় ৬০ বছরের কাছাকাছি। আর সেটা একটা দারুণ পূর্ণতা আরো বছর দশেক পর। মঙ্গলযাত্রা এক দিনের কাহিনী নয়!<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj2HPAcKFLkLsSee67FXktuudky53ZOreswfzFQ1DxyAgG74SxUoAyIiQRclYuNw5mSMq8pKOHcoDI_I2S5MJAqaEoMT1-m-F1TKFIj-g8TQ6HTR2wqsoReiBx2uMb5DnAUCmVtopSbQkzL/s1600/dn23542-1_800.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="613" data-original-width="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj2HPAcKFLkLsSee67FXktuudky53ZOreswfzFQ1DxyAgG74SxUoAyIiQRclYuNw5mSMq8pKOHcoDI_I2S5MJAqaEoMT1-m-F1TKFIj-g8TQ6HTR2wqsoReiBx2uMb5DnAUCmVtopSbQkzL/s1600/dn23542-1_800.jpg" /></a></div> <br /> #Interstellar</div>

মঙ্গলযাত্রার ভূত-ভবিষ্যৎ

মঙ্গলযাত্রার ভূত-ভবিষ্যৎ! মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠান এলোন মাস্কের মতে লাল গ্রহ মঙ্গলে আগামী ১০০ বছরের মাঝে প্রা...

Read more »

পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> স্কটিশ পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল  ১৮৩১ সালের ১৩ই জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন যিনি তড়িচ্চুম্বকীয় তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। ঊনবিংশ শতকের বিজ্ঞানী হয়েও বিংশ শতকের বিজ্ঞানের উপর এতো প্রভাব ম্যাক্সওয়েল ছাড়া আর কারও ছিল না।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEii3tIVHaqqx0-CRc-HtNVcNoxlQswwAn-KkKrK4H_cGTBQex1ufN1V953FN-z9JRjTv36kh1zidWGmUaJ3HnRK8EUbOVFVBfHIVW2ukiBUGsm0jFXfu1-22NCEyLj_dLocWG2fLGPI7kbd/s1600/images%252816%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="600" data-original-width="481" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEii3tIVHaqqx0-CRc-HtNVcNoxlQswwAn-KkKrK4H_cGTBQex1ufN1V953FN-z9JRjTv36kh1zidWGmUaJ3HnRK8EUbOVFVBfHIVW2ukiBUGsm0jFXfu1-22NCEyLj_dLocWG2fLGPI7kbd/s1600/images%252816%2529.jpg" /></a></div> <br /> পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে নিউটনের মহাকর্ষ সুত্র আবিস্কারের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাফল্যমণ্ডিত তত্ত্ব হল তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র তত্ত্ব ! আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি করে দিয়েছিল বিখ্যাত এই তত্ত্ব । এই তত্ত্বের সমীকরণগুলোই আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্বের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল। এভাবেই ফ্যারাডে থেকে ম্যাক্সওয়েল হয়ে আইনস্টাইনে এসে ভর-শক্তির সমতুল্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়। ম্যাক্সওয়েলের মতবাদ ও তত্ত্ব কোয়ান্টাম তত্ত্বের আবিষ্কারের পথ করে দিয়েছিল। ঊনবিংশ শতকের বিজ্ঞানী হয়েও বিংশ শতকের বিজ্ঞানের উপর এতো প্রভাব ম্যাক্সওয়েল ছাড়া আর কারও ছিল না।আমরা প্রকৃতির মৌলিক ৪ বলের নাম জানি ! এদেরই এক মৌলিক বল হোল তড়িৎচৌম্বকীয় বল ! আমরা ফোর্সফিল্ড বা বলক্ষেত্র নিয়ে আলোচনায় জেনেছিলাম তড়িৎচৌম্বকীয় বলের বাহক হল ফোটন । সহজ কথায় , মহাবিশ্বের প্রায় সর্বত্র তড়িৎচৌম্বকীয় বলজ ক্ষেত্র আছে , যা ফোটনের দ্বারা গঠিত ! তড়িৎ বল আর চৌম্বকীয় বলকে একীভূত করেন স্কটিশ পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল ! তার আগে তড়িৎ বল আর চৌম্বকীয় বলকে একই ভাবা হত ! কিন্তু তিনি মাইকেল ফ্যারাডের বৈদ্যুতিক ও চৌম্বক বলরেখা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যে বৈশিষ্ট্যগুলো দাড় করিয়েছিলেন সেগুলোর উপর ভিত্তি করে নতুন ক্ষেত্র সমীকরণ প্রতিপাদন করেন। যে কারনে ঊনবিংশ শতকের বিজ্ঞানী হয়েও বিংশ শতকের আপেক্ষিক তত্ত্ব , কোয়ান্টাম তত্ত্বসহ বিজ্ঞানের উপর তার প্রভাব ছিল সবচাইতে বেশি !<br /> <br /> ১৮৩১ সালে বিখ্যাত ইংরেজ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ বিষয়ে মৌলিক সূত্র আবিষ্কার করেন। তার নামানুসারে এই সূত্রকে ফ্যারাডের আবেশ সূত্র (ইংরেজি ভাষায়: Faraday's law of induction) বা ফ্যারাডের তড়িচ্চুম্বকীয় আবেশের সূত্র বলা হয়। চারটি স্বীকার্যের মাধ্যমে ফ্যারাডের এই সূত্রকে বর্ণনা করা যায়:<br /> <br /> # যখনই কোন বদ্ধ তার কুণ্ডলীতে আবদ্ধ চৌম্বক বলরেখার সংখ্যা বা চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তন ঘটে তখনই উক্ত কুণ্ডলীতে একটি তড়িচ্চালক শক্তি আবিষ্ট হয়।<br /> <br /> # তার কুণ্ডলীতে আবিষ্ট এই তড়িচ্চালক শক্তির মান সময়ের সাথে কুণ্ডলীর মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত চৌম্বক বলরেখার সংখ্যা বা চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তনের হারের সমানুপাতিক।<br /> <br /> # তার কুণ্ডলীতে আবদ্ধ চৌম্বক ফ্লাক্সের বাড়তি বিপরীত তড়িচ্চালক শক্তি এবং এর ঘাটতি সমমুখী তড়িচ্চালক শক্তি উৎপন্ন হয়।<br /> <br /> # তার কুণ্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক বলের মান গৌণ কুণ্ডলীর পাক সংখ্যার সমানুপাতিক।<br /> <br /> ► সহজ ভাষায়ঃ আপনি বিদ্যুতক্ষেত্র পরিবর্তন করে চুম্বক ক্ষেত্র বানাতে পারবেন। মানে বিদ্যুৎ ও চুম্বক আসলে একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত। খেয়াল করে দেখুন বেশিরভাগ জেনারেটর যান্ত্রিক শক্তিকে চুম্বক ঘুরানোর মাধ্যমে কাজ করে। সাধারনভাবে বললে, এই সূত্রগুলি এখনো বিদ্যুৎ প্রকৌশল, যোগাযোগ প্রযুক্তি ও অপটিক্সের প্রায় সকল শাখাতেই ব্যবহৃত হয়। ফ্যারাডে এইভাবে দুটি প্রাকৃতিক বল বিদ্যুৎ ও চৌম্বকত্বের মধ্যে সম্পর্ক আবিষ্কার করেন, যখন নিকটবর্তী দুটি তারে বিদ্যুৎ দিয়ে চৌম্বক ক্ষেত্র পরিবর্তন করেন। কিন্তু ফ্যারাডে আসলে জানতেন না তিনি আসলে কি আবিষ্কার করেছেন । ফ্যারাডের প্রাতিষ্ঠানিক গাণিতিক জ্ঞান না ঠ্যাকায় পরে ম্যাক্সওয়েল ফ্যারাডের পর্যবেক্ষণকে বিদ্যুৎচৌম্বকত্বের চারটি সাধারণ সূত্র দিয়ে প্রকাশ করেন। আর সেই সমীকরণগুলো থেকেই তড়িৎ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তত্ত্বের উদ্ভব ঘটল ! ১৮৬২ সালে কিংস কলেজে লেকচারে এক হিসেবে ম্যাক্সওয়েল দেখলেন তড়িৎ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিস্তার আলোর বেগের সমান ! শূন্যস্থানে আলোর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩x১০^৮ মিটার। তখন তিনি এটিকে গাণিতিক ভুল হিসেবে উল্লেখ করলেও পরে তার সমীকরণ নিয়ে আরও কাজ করলেন ! তিনি দেখলেন শূন্যস্থানে তড়িচৌম্বকীয় তরঙ্গের শূন্য মাধ্যমে বেগ একদম ঠিকঠাক আলোর বেগের সমান ! আর আবিষ্কার করলেন বিখ্যাত ঘটনা , " আলো হল এক ধরনের তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ !<br /> <br /> তবে আমরা যে আলো বিকিরন রূপে দেখি শুধু এটিই একমাত্র তড়িচৌম্বকীয় তরঙ্গ নয় ! আগুনের উত্তাপ থেকে আপনার ফোনের সিগন্যালের তরঙ্গ , বেতার তরঙ্গ থেকে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের বিকিরন সবই তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ ! পুকুরে ঢিল মারলে যেমন তরঙ্গের সঞ্চার হয় তেমনি তড়িৎচৌম্বকীয় বল ক্ষেত্রেও তরঙ্গের সঞ্চার হয় ! তবে এই ক্ষেত্রে দুইটি লম্বভাবে অবস্থিত তরঙ্গের সঞ্চারন ঘটে । এই সঞ্চারনে শক্তি বাহিত হয় । একটি তড়িৎ তরঙ্গ আরেকটি চৌম্বকিয় তরঙ্গ । নিচের চিত্র দেখলে কিছুটা পরিস্কার হবে ! প্রতিটি তরঙ্গের দশা থাকে। পানিতে ঢিল দিলে তরঙ্গ কখনো উচু আবার কখনো নালার মত নিচু হ</div>

পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল

স্কটিশ পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল  ১৮৩১ সালের ১৩ই জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন যিনি তড়িচ্চুম্বকীয় তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য স্মরণীয়...

Read more »

জ্যোতির্বিদ চার্লস মেসিয়ার এর জীবনী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> ১৭৩০ সালের ২৬ই জুন ফ্রান্সের ব্যাদনভিওঁতে চার্লস মেসিয়ার নামের এক জ্যোতির্বিদ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiawvGJVfApHG-ntyRk5qJ26ONYD5Mi08YXwXtxEz4D8B0xFR6LhIIdIa8OOiu39jNwMnNu1cg4ixQpA1Q4y1s5D79AaY4a4EkQb9peHpp1qm36HUa-uDeQTvQil6-ABWhyphenhyphenDKfDEUqDIjwb/s1600/images%252812%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="300" data-original-width="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiawvGJVfApHG-ntyRk5qJ26ONYD5Mi08YXwXtxEz4D8B0xFR6LhIIdIa8OOiu39jNwMnNu1cg4ixQpA1Q4y1s5D79AaY4a4EkQb9peHpp1qm36HUa-uDeQTvQil6-ABWhyphenhyphenDKfDEUqDIjwb/s1600/images%252812%2529.jpg" /></a></div> <br /> গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ দিয়ে প্রথম তারা দেখা ও নিউটনের প্রতিফলন টেলিস্কোপ আবিস্কারের মাধ্যমে আধুনিক পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিদ্যার সুচনা ঘটে । তার পড় তাদের পথ ধরে আকাশের নেশায় মত্ত হয়ে গেল মানুষ । শুরুও হল, আকাশ দেখা । আর একসময় তো মানুষের মাঝে নেশাতে পরিণত হল । আমরা ছোটবেলায় দাদি-নানী বা ঠাকুরমাদের কাছে শুনেছি যে রাতের বেলায় আকাশে না তাকাতে । তারা সঠিক কারন না বললেও , এটুকু বলতএন যে রাতের বেলায় আকাশে জীন-ভূত ,অসুর, শয়তান, প্রেতাত্নারা ঘুরে বেরায় । প্রাচীনকালেও মানুষ কিন্তু এমন ভয়ে আকাশের দিকে তাকাতেন না । আর তখন তো আর আধুনিক যুগের মত রকমারি হরেক রঙয়ের আলো ছিল না । তাই স্বাভাবিক ভাবেই সূর্য ডোবার পরে মানুষের মধ্যেও একটু ভয় কাজ করত । কিন্তু এই ভয়কে সরাজ্ঞান করে কিছু মানুষ তাদের নিজের আপন মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে ডাক দিলেন আধুনিক সভ্যতা সুচনার ।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEizw8xHMu5DXUPU-YzYq4Sy1T6aedTlLVqii2SISsHTpdA_Zj2EMKk9TU9pAXiCEeZQ6lH-DFt32dGVM_zmne60PPpuUbtWrdziO4Ch99YdXhKrsX6jwVyDjModpZtPGBptQXQHdiwH17nF/s1600/messier_76-110_540px.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="916" data-original-width="540" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEizw8xHMu5DXUPU-YzYq4Sy1T6aedTlLVqii2SISsHTpdA_Zj2EMKk9TU9pAXiCEeZQ6lH-DFt32dGVM_zmne60PPpuUbtWrdziO4Ch99YdXhKrsX6jwVyDjModpZtPGBptQXQHdiwH17nF/s1600/messier_76-110_540px.png" /></a></div> <br /> আমরা জানি পৃথিবীর আবর্তন ও প্রদক্ষিন উভয় ঘটনার জন্য দৈনিক ও ঋতুচক্রহারে আকাশে জ্যোতিষ্কদের অবস্থান পরিবর্তন হয় । তাই আমরা আকাশে এখন যা দেখব , আগামি ১ মাস পরে একদম সম্পূর্ণ আলাদা রকম দেখব । কিন্তু আবার ১ বছর পর ঠিক এমনি দেখব । আবার আকাশে তারারা কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ও সুশৃঙ্খল ভাবে অবস্থান করে । আর তাদের এই সুশৃঙ্খল অবস্থানও সময়ের চক্রে পরিবর্তিত হয় । আর তাদের এই সুশৃঙ্খল অবস্থানে প্রত্যেক তারা , নিহারিকার অবস্থান সুনির্দিষ্ট । এরা প্রত্যেকেই গতিশীল , সূর্যও সৌরজগত সমেত তাদের সাথে গতিশীল বিধায় তাদের অবস্থানের পার্থক্য আমরা বুঝতে পারি না । তবে গ্রহ , ধুমকতু, গ্রহানুরা আমাদের নিকটে অবস্থান করায় আমরা সহজেই তাদের গতি বুঝতে পারি ।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg8Xj-HWD7_guqNq3E6lcQbmam7QIuu_5-lokYLMW6sy8hDJUrKC9oaD08Dylxt9q_4026L3YN5jJfrEDx7jAQsmDg6bdM7IX1WHqnO_oLTcwQvYiUjf-mbVktWtEyWupH2O1i5fnAqaV9Z/s1600/images%252813%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="225" data-original-width="225" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg8Xj-HWD7_guqNq3E6lcQbmam7QIuu_5-lokYLMW6sy8hDJUrKC9oaD08Dylxt9q_4026L3YN5jJfrEDx7jAQsmDg6bdM7IX1WHqnO_oLTcwQvYiUjf-mbVktWtEyWupH2O1i5fnAqaV9Z/s1600/images%252813%2529.jpg" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg21v1PFwDL6wpmItPTtsvFbJAqYiXrISrf6lL-DdUydXElreF0uYXLoDQMap3_WNRefvu3tCv_zyRjmLCrRuvdcDo1qrNMocsNJXzFTr3h5RRRUubTntE-7jj93nx4XJkVHQKPtMVpYukS/s1600/images%252815%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="439" data-original-width="698" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg21v1PFwDL6wpmItPTtsvFbJAqYiXrISrf6lL-DdUydXElreF0uYXLoDQMap3_WNRefvu3tCv_zyRjmLCrRuvdcDo1qrNMocsNJXzFTr3h5RRRUubTntE-7jj93nx4XJkVHQKPtMVpYukS/s1600/images%252815%2529.jpg" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <br /> আকাশে শুধু টেলিস্কোপ দিয়ে একটা দিকে তাকালেই গ্রহ , নিহারিকা দেখা যাবে না । তারা যেহেতু একই সাথে সময়চক্রে অবস্থান পরিবর্তন করে ও গতিশীল তাই তাদের খুজে পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট দিকে তাকাতে হবে । অনেক আগে থেকেই নক্ষত্রমণ্ডলের মাধ্যমে মানুষ খালি চোখে তারাদের অবস্থান আগেই লিপিবদ্ধ করেছে । কিন্তু টেলিস্কোপ আবিষ্কার হওয়ার পরে মানুষ খালি চোখের বাহিরেও হাজার হাজার তারা , তারা স্তবক, নিহারিকা দেখতে শুরু করল । কিন্তু অভিজ্ঞ জ্যোতির্বিদদের পক্ষেও তো আর তো সুধুমাত্র শুনেই সেগুলোকে খুজে পাওয়া কঠিন । এই ভাবনা থেকে জ্যোতিষ্কদের একটি তালিকা প্রনয়ন করেন চার্লস মেসিয়ার । যা মেসিয়ার তালিকা বলে । আমরা বিভিন্ন জ্যোতিষ্ক আলোচনা করতে গিয়ে নামের আগে মেসিয়ার কথা দেখি । চার্লস মেসিয়ার যে যে জ্যোতিষ্ক আবিষ্কার করেছেন তাদেরকে তার সম্মানার্থে নামকরন করা হয়েছে । মেসিয়ার তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত জ্যোতিষ্কদের মেসিয়ার অবজেক্ট বলে ।জ্যোতিষ্কদের খোঁজার বিড়ম্বনা থেকে সময় বাঁচাতে গিয়ে তাঁর বন্ধু ও সহকারী পিয়েরে মেকেইকে সাথে নিয়ে এগুলোর তালিকা করে ফেললেন। বর্তমানে এই তালিকায় ৩৯টি গ্যালাক্সি, ৭ টি নেবুলা বা নীহারিকা, ৫টি গ্রহ নীহারিকা এবং ৫৫টি তারা স্তবক (Star Cluster) আছে।এই তালিকায় প্রাথমিক দিকে জ্যোতিষ্কদের অবস্থান , আপাত উজ্জ্বলতা উল্লেখিত থাকত । তবে সময়ের পরিবর্তনেও আধুনিক যুগেও সেই তালিকা ,আনা হলেও এখন অনেক কিছু বিস্তারিত থাকে । এই তালিকা অনেকটা টেলিস্কোপের ইউজার ম্যানুয়ালের মত । তাই টেলিস্কোপের এই বিস্তারিত আলোচনায় এটি না তুলে ধরে পারলাম না ।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgWvsfw4p6O2KWbviEpqPdtRLyL5iqAu_NAlnsQK8zTFgWBqyntFAZDvuqiTvtqJnvA4KnY18IcVpks9lXX7LBNEbLNRqzo2Syaz-7Q-NbQ1DJsmd_Df3efdwasUzwHNZ0t7lMLkOMd79c9/s1600/images%252814%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgWvsfw4p6O2KWbviEpqPdtRLyL5iqAu_NAlnsQK8zTFgWBqyntFAZDvuqiTvtqJnvA4KnY18IcVpks9lXX7LBNEbLNRqzo2Syaz-7Q-NbQ1DJsmd_Df3efdwasUzwHNZ0t7lMLkOMd79c9/s1600/images%252814%2529.jpg" /></a></div> <br /> ১৭৭৪ সালে প্রথম প্রকাশিত এই তালিকায় ৪৫ টি বস্তুর নাম ছিল। এতে যে শুধু তাঁর আবিষ্কৃত বস্তুই ছিল তা নয়, তার আগের জ্যোতির্বিদদের পর্যবেক্ষণকৃত বস্তুও এতে ছিল। প্রকৃতপক্ষে প্রথম প্রকাশিত ৪৫ টি বস্তুর মধ্যে তাঁর নিজের আবিষ্কৃত ছিল মাত্র ১৭টি। ১৭৮০ সাল নাগাদ তালিকাতে বস্তুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৮০। তালিকার চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৭৮১ সালে। এতে ১০৩ টি বস্তুর তালিকা ছিল। ১৯২১ থেকে ১৯৬৬ সালে এই তালিকায় আরো ৭টি বস্তুকে যুক্ত করলেন। এই বস্তুগুলো মেসিয়ে বা মেকেই চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশ করার পরে পর্যবেক্ষণ করেন বলে নিজেরা যুক্ত করে যেতে পারেননি।বর্তমানে পেশাদার ও শখের জ্যোতির্বিদরা সমানে এই বস্তুগুলোর নাম ব্যবহার করেন। এই বস্তুগুলোর তুলনামূলক উজ্জ্বলতার কারণে এরা শখের জ্যোতির্বিদদের কাছেও খুব জনপ্রিয় বস্তু। চার্লস মেসিয়ার তার আবিষ্কৃত সব জ্যোতিষ্ককে এই তালিকায় লিপিবদ্ধ করেন । শুধু তাই না , তারা পিছনে দৌড়ানোর সময় তার বন্ধু পিঁয়েরে মেকেই এরও বেশ কয়েকটি আবিষ্কার করা জ্যোতিষ্ক এই তালিকায় রয়েছে । বর্তমানে এই তালিকায় ১১০ টি বস্তু আছে। তাঁর নামানুসারেই বস্তুগুলোকে বলা হয় মেসিয়ার অবজেক্ট। যেমন অ্যান্ড্রোমিডা গ্যলাক্সিকে বলা হয় মেসিয়ার ৩১ বা সংক্ষেপে এম ৩১।<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjj7tEjY_Y3vMuZ2lS9cGMpHdMkl4m4AQ3ArllE5uNwiFo-vi6UOwPpkav-oJ-onk_vv1APWVaBOzE9CmZV-Zz3sws8o_R1tLACmUMJtsDcddRP3es7oDUzgP1HOhuk9hp3ddcAsD_HOUWU/s1600/FB_IMG_1561829200037.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="757" data-original-width="552" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjj7tEjY_Y3vMuZ2lS9cGMpHdMkl4m4AQ3ArllE5uNwiFo-vi6UOwPpkav-oJ-onk_vv1APWVaBOzE9CmZV-Zz3sws8o_R1tLACmUMJtsDcddRP3es7oDUzgP1HOhuk9hp3ddcAsD_HOUWU/s1600/FB_IMG_1561829200037.jpg" /></a></div> <br /> <br /> ফরাসী জ্যোতির্বিদ শার্লে মেসিয়ে(Charles Messier বা চার্লস মেসিয়ার) ছিলেন মূলত ধূমকেতু শিকারী। অন</div>

জ্যোতির্বিদ চার্লস মেসিয়ার এর জীবনী

১৭৩০ সালের ২৬ই জুন ফ্রান্সের ব্যাদনভিওঁতে চার্লস মেসিয়ার নামের এক জ্যোতির্বিদ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ দিয়ে প্রথম তারা ...

Read more »