জবাফুলের চা
সম্প্রতি হার্বাল টি বা ভেষজ চায়ের মধ্যে জবা
ফুলের চা সবচাইতে জনপ্রিয় ! এর কারণ হচ্ছে এর স্বাস্থ্যগত ও রোগ উপশমের কিছু ক্ষমতা !
এটি বানানোর রেসিপি তে পরে আসছি। প্রথমে এর উৎপত্তি স্থান সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক। জবা ফুলের চা এর উৎপত্তি নর্থ আফ্রিকা ও সাউথ ইস্ট এশিয়া।
আফ্রিকান দেশগুলোতে এর চা পান করা হয় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে, হৃদরোগ চিকিৎসায় ও
গলার ক্ষতে । ইরানে এই চা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে
পান করা হয়।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে আজকাল হার্বাল টি হিসেবে এটির ব্যবহার ক্রমশঃ বাড়ছে ।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনেও আজকাল এটি ব্যবহৃত
হচ্ছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শেই এটি ব্যবহার করা উচিৎ । গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েরা এটি ব্যবহারে বিরত থাকবেন।
এন্টি অক্সিডেন্ট এ ভরপুর জবা ফুলের এই চা ফ্যাটি লিভারে বেশ কার্যকরী। এটি প্রাকৃতিকভাবে ক্যালোরি ও ক্যাফেইন ফ্রি, সুতরাং ওজন নিয়ন্ত্রনেও কার্যকর বলেও এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ! এই চা এন্টিডিপ্রেসেন্ট হিসাবে বেশ জনপ্রিয়, অবসাদ ও উদ্বেগ দুর করতে এর ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে ।
এর চা তে পাওয়া যাবে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও জিংক । এতে আরও আছে নিয়াসিন ও ফলিক এসিড !
এবার চা বানানোর প্রক্রিয়া হচ্ছেঃ
জবাফুলের গুড়ো দেড় চা চামচ পরিমাণে নিয়ে
এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে । ফুটানোর সময় ছোট এক টুকরো দারুচিনি দিতে পারেন । এবার ছেকে নিয়ে অল্প মধু বা লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। কেউ মন চাইলে লবঙ্গও দিতে পারেন। এটি গরম বা ঠান্ডা, দু`ভাবেই খাওয়া চলে !
ঠান্ডা খেতে চাইলে বরফকুচি দিন, সাথে পুদিনা পাতা দিলে এর স্বাদ আরও বেড়ে যাবে !
বহুল প্রচলিত জবা ফুলের চায়ের নামটি হচ্ছে এগোয়া ডে জ্যামাইকা ! আরও আছেঃ
লো - শেন
সুদান চা
রেড সরেল
কারকাদে
আজ এই পর্যন্ত, সবাইকে শুভ রাত্রি !
Post a Comment