হাইব্রিড গাড়ীর জন্য কিছু টিপস
১. ফুল সিন্থেটিক অয়েল ব্যাবহার করুন। কম মাইলেজ হলে 0W-20; একটু বেশি হলে 0W-30 অথবা 5W-30.
2. প্রতি মাসে এয়ার ফিল্টার পাল্টান অথবা সপ্তাহে ২ বার পরিস্কার করুন। (রেগুলার এয়ার ফিল্টার)
৩. প্রতি মাসে কমপক্ষে ২ বার গাড়ী প্রফেশনাল কার ওয়াশে ধোয়ানো উচিত।
৪. এসি ফিল্টার বা কেবিন ফিল্টার প্রতি মাসে ২ বার পরিস্কার করুন, সম্ভব হলে প্রতি মাসে পরিবর্তন করুন। (রেগুলাত এসি ফিল্টার)
৫. প্রতি মাসে কমপক্ষে ১ বার ব্যাটারি কুলিং ফ্যান হাইস্পীড হাওয়া দিয়ে পরিস্কার করান।
৫. প্রতি ২৫,০০০ কিলোমিটারে নুন্যতম ১ টি ইঞ্জেকটর ক্লিনার তেলের ট্যাংকি তে ঢেলে দিন।
৬. প্রতি ৫০,০০০ কিলোমিটার পরে EGR সিস্টেম, Manifold, Throttle Body ক্লিন করান।
৭. প্রতি ৭৫,০০০ কিলোমিটার পরে গিয়ার অয়েল পালটে ফেলুন, অবশ্য ই ক্যালিব্রেশন করে নিবেন।
৮. চাকার হাওয়া সামনে ৩৫ আর পিছনে ৩৬ রাখুন।।
৯. প্রতি ১ লাখ কিলোমিটার পরে ওয়াটার পাম্প চেক করুন, এই পার্টস টির লাইফ সাইকেল ১ লাখ কিলোমিটার। মনে রাখবেন ৬০০০ টাকা খরচ করে গাড়ীর সাথে আসা অরিজিনাল টি রিকন্ডিশন করে নিলে তা যে কোন নতুন পাম্প এর চেয়ে ভালো পার্ফমেন্স দেবে।
১০. প্রতি ১ লাখ কিলোমিটার পর ৪ টি প্লাগ আপনার ইঞ্জিনের জন্য ম্যানুফ্যাকচারার যেটি রিকমেন্ড করেছে, সেটি লাগান। যদি অরিজিনাল না হয়, তাহলে পিক আপ কম নিলে দ্রুত পালটে অরিজিনাল লাগিয়ে ফেলুন।
১১. মাইলেজ খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য ই গাড়ীর চাকার রিম গুলির তাপমাত্রা দেখুন। যদি বেশি হিট হয় আর গাড়ী বেশি এক্সালারেশন লাগে তাহলে বুঝবেন চাকা জ্যাম। দ্রুত সার্ভিস করান।
১২. কমদামী হেড লাইট/ ফগ লাইট/ ব্যাক লাইট/ ইন্ডিকেটর লাইট ব্যাবহার করবেন না। অতিরিক্ত ইলেক্ট্রিসিটি ড্রেইন করে এমন লাইট এর গোড়ায় আগুন ধরতে পারে, সেই সাথে ফিউজ বক্স পুড়ে যেতে পারে।
১৩. ইঞ্জিন চেক লাইট বা হাইব্রীড সিস্টেম চেক আসলে অবশ্য ই স্ক্যান করান, তাহলে আসল কারন টি জানতে পারবেন। অনেক সময় শুধুমাত্র রেডয়েটর এর কুলেন্ট কম থাকলে চেক লাইট এমন কি হাইব্রীড সিস্টেম চেক ম্যাসেজ আসতে পারে।
১৪. হাইব্রীড গাড়ি নিয়ে রেগুলার কাজ করে না, প্রফেশনাল স্ক্যানার নেই, এমন গ্যারেজ গুলিতে হাইব্রীড গাড়ির কাজ করাবেন না।
Post a Comment