করোনা ভাইরাস মিথ বাস্টার্স
অতি সম্প্রতি করোনা ভাইরাস (COVID-19) বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়াতে প্যান্ডেমিক বা বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষিত হয়েছে| মানুষজন এতে আতংকিত হয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছেন এবং জীবনের শেষ দেখে ফেলছেন| মানুষের মধ্যে ভয় বা আতঙ্ক অত্যন্ত দ্রুত ছড়ায় এবং তা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে| আর কিছু লোকজন আছে না জেনেশুনে ভয়ের পালে বাতাস দেয়, গুজব ছড়ায়, ভ্রান্তি তৈরী করে এবং ছড়ায়, মানুষকে বিভ্রান্ত করে মজাও পায় কেউ কেউ| আর এখনকার সামাজিক যোগাযোগ মাধমের যুগে তো এই ট্রেন্ড ভয়ানক পরিস্থিতিতে মোড় নিচ্ছে| করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই তেমনি নানান ধরণের গুজব তৈরী হচ্ছে, মিথ তৈরী হচ্ছে যা মানুষের উপকার করার বদলে ক্ষতি করছে| গত কয়েকদিনে এই রকম কয়েকটি স্ন্যাপশট, স্ক্রিনশট বা তথ্য অনেকেই অনলাইনে বা মেসেজের মাধম্যে আমার কাছে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পাঠিয়েছেন বা অনলাইনে শেয়ার দিচ্ছেন| তাই ভাবলাম জনে জনে মেসেজের উত্তর না দিয়ে পোস্ট দিয়ে দেই| ভুল ধারনা নিয়ে এই মহামারী মোকাবেলা করা যাবে না| সঠিক তথ্য এবং সুঅভ্যাসই পারবে সবাইকে একত্রিত রেখে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে| তাই আজকে চেষ্টা করবো কিছু ভ্রান্ত ধারণার জবাব দিতে| মূল পোস্টে যাওয়ার আগে বলে নেই, আমার পোস্টগুলি বাংলায় দিচ্ছি কারণ আমার টার্গেট অডিয়েন্স বাংলাদেশের মানুষ| তারপরও আপনি পৃথিবীর যেই দেশেই থাকুন না কেন, সঠিক তথ্যের জন্য WHO, CDC, UNISEF সহ প্রত্যেকটি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সেই দেশের উপযোগী করে নির্দেশনা ও আপডেট দিচ্ছে| কোনো তথ্য বিশ্বাস করার আগেই হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি কাজে লাগান| নিচে দেয়া পেজগুলিতে ঢু মারুন, সঠিক তথ্যটি নিজে জানুন, অন্যকেও সঠিক তথ্যটিও জানান| এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যে আপনি যাকে সঠিক তথ্যটি যেভাবে দিচ্ছেন, যিনি পাচ্ছেন উনিও কি সঠিকভাবে পাচ্ছেন কিনা| কারণ একটি কথা দশ মুখে ঘুরলে বদলে যেতে পারে বহুগুন| এমনকি আমার কথাও যে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে তা না, নিজে নিজেই যাচাই করে নিতে পারেন। অতএব, সঠিক তথ্যের জন্য ঢু মারুন….
WHO
https://www.who.int/emergencies/diseases/novel-coronavirus-2019/advice-for-public
CDC
https://www.cdc.gov/coronavirus/2019-nCoV/index.html
IEDCR-Bangladesh
https://www.iedcr.gov.bd/
Alberta Health Services
https://www.albertahealthservices.ca/topics/Page16944.aspx
এইবার আসুন কিছু মিথ/ভুল ধারণা ভাঙি….
করোনা ভাইরাস গরম আবহাওয়ায় বাঁচতে পারে না - সত্য নয়| কারণ ভাইরাসটি এখন অনেক দেশেই আছে যেখানে তাপমাত্রা অনেক বেশি এবং তারা বহাল তবিয়তেই ছড়িয়ে যাচ্ছে| তাই ঠান্ডা বা গরম আবহাওয়া এই ভাইরাস ছড়ানো বা ঠেকানোর জন্য কোনো নিয়ামক হতে পারে না| সুতরাং যে দেশেই বা আবহাওয়ায় থাকুন না কেন, নিজে থেকে সঠিকভাবে সচেতন হন, অন্যকেও করুন|
গরম পানিতে দিনে কয়েকবার গোসল করলে করোনায় ধরবে না- আপনার গোসলের পানির তাপমাত্রা যাই হোকনা কেন, আপনার শরীরের তাপমাত্রা সাধারণ অবস্থায় ৩৬.৫-৩৭সে এর মধ্যে থাকবে| তাই শরীরের ভিতরে থাকা ভাইরাস যেমন ডগডগে গরম পানিতে পুড়ে যাবে না, তেমনি বাইরে থাকা ভাইরাসেরও তাতে কিছু আসবে যাবে না| লাভের লাভ হতে পারে, গরম পানি লাগিয়ে চামড়া পুড়ে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা বানিয়ে অন্যান্য সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলতে পারেন| উপরন্তু, আমরা যখন ল্যাবে ভাইরাস বানাই, তার জন্য আদর্শ তাপমাত্রা দেই ৩৭সে, যেটা আপনার শরীরের তাপমাত্রা, তারমানে হচ্ছে, একবার যদি ভাইরাস আপনার শরীরে ঢুকে যায় , তাহলে সে পেয়ে যাচ্ছে তার বেঁচে থাকার জন্য আদর্শ পরিবেশ| তাই আপনি যেই তাপমাত্রার পানিতে গোসল করে আরাম পাবেন , তাই ব্যবহার করুন|
মশামাছি বা পোকামাকড়ের কামড়ে কোরোনা ছড়ায়- এখন পর্যন্ত এই তথ্যের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই| জানামতে হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে একজন মানুষের মুখ/নাক থেকে সবেগে ধেয়ে আসা অতিসুক্ষ জলকনা (যা অনেক সময় চোখে দেখা যায় না) সেখান থেকে ছড়ায়| ভাইরাস অত্যন্ত ক্ষুদ্র বস্তু| কতটুকু ক্ষুদ্ৰ সেটা সাধারণ ভাষায় বুঝানোও খুব দুস্কর| তবু চেষ্টা করছি| আচ্ছা ধারণা করুন তো একটা ব্যাকটেরিয়া কত বড় হতে পারে? অনেক ছোট, কত ছোট? খালি চোখে দেখা যাবে? উত্তর হচ্ছে, না| আমরা ল্যাবে ব্যাকটেরিয়া গ্রো করি, তখন আমরা একটি ব্যাকটেরিয়া দেখি না, আমরা দেখি বিলিয়ন বিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া একত্র হয়ে একটি কলোনি বানিয়েছে যা খালি চোখে দেখা যায় এবং সাইজে আপনার হাতের বা আপনার প্রেয়সীর চিবুকের কালো তিলটির সমান| তারমানে বিলিয়ন বিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া=একটি তিল| তাহলে ভাইরাস কত বড়? একবার আপনি যদি ওই বিলিয়ন বিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া থেকে একটি ব্যাকটেরিয়া আলাদা করতে পারেন, এবং সেই ব্যাকটেরিয়া কে খাদ্য হিসেবে এক গাদা ভাইরাসের মধ্যে ছেড়ে দেন, তাহলে কয়েক হাজার থেকে লাখ ভাইরাসের উদরপূর্তি হয়ে যাবে| মানে বুঝতে পারছেন? একটি ভাইরাস একটি ব্যাকটেরিয়া থেকেও অনেক গুনে ছোট| সায়েন্টিফিক টার্ম ব্যাবহার না করে এর চেয়ে সহজে বুঝাতে পারলাম না| এক্সপার্ট কেউ থাকলে চেষ্টা করতে পারেন| তাই হাঁচি কাশির জলকনায় ভাইরাস আরামসে ছড়িয়ে বেড়াতে পারে| তবে করোনার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে এটি তুলনামূলক ভাবে একটু ভারী ভাইরাস, বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না, নিচে পরে যায়| তাই আপনি যদি এমন জায়গায় কাজ করেন যেখানে অনেক মানুষের আনাগোনা ফ্লোরটি ঘন ঘন পরিষ্কার করিয়ে বা করে নিতে পারেন, অবশ্যই জীবানুনাশক দিয়ে| নিচে একটি ছবি দিয়ে দিচ্ছি যেখানে দেখা যাবে একটি ব্যাকটেরিয়াকে ঘিরে আছে হাজার হাজার ভাইরাস| এই ছবিটি অবশ্যই কোনো মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে বা ডিএসএলআর দিয়ে তোলা হয় নি, লাখ ডলারের অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে তোলা হয়েছে|ছবিটির মধ্যে নীল জিনিসটা হচ্ছে একটি ব্যাকটেরিয়া আর সবুজ জিনিসগুলি হচ্ছে ভাইরাস| এখানে একটি ব্যাকটেরিয়াকে ঘিরে আছে অনেকগুলা ভাইরাস|
হ্যান্ড ড্রায়ার বা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে গায়ে বাতাস নিলে করোনা জীবাণু মারা যাবে- আশাকরি এতক্ষনে আপনার নিশ্চই ধারণা হয়েছে যে এই কথাটিও ভুল| আপনার গায়ে বা হাতে লেগে থাকা ভাইরাস যদি মারতেই হয় তাহলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা লাগবে ৭০সে| যদি বলেন ৬৯.৫সে, আমি বলবো তাও না| কারণ অণুজীববিজ্ঞানে বলা হয় “Kill all or none “| মানে হচ্ছে মারতে হলে সব মারো| কিছু মেরে কিছু রেখে মদ্যমপন্থা অবলম্বন করে হবে না| কারণ, যে কটা বেঁচে যাবে তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে আবার বংশবিস্তার করে কয়েকগুন হয়ে যাবে। তাই আশা করি হ্যান্ড ড্রায়ার বা হেয়ার ড্রায়ার এর ব্যবহার ভাইরাস মারার জন্য করবেন না|
থারমাল ডিটেক্টর ভাইরাস ডিটেক্ট করতে পারে- না, পারে না| কারণ মেশিনটার নাম থার্মাল ডিটেক্টর, ভাইরাল ডিটেক্টর না| আপনার গায়ে যদি সাধারণ মাত্রার চেয়ে বেশি তাপ থাকে, তাহলেই সেটি ধরতে পারবে| ভাইরাস ধরার জন্য আলাদা টেকনিক, মেশিন, ল্যাব, এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পাওয়া দক্ষ জনবল লাগবে| বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস যে পদ্ধতিতে ডিটেক্ট করা হচ্ছে তাকে বলা হয় আর টি পি সি আর| বেশি খুলে বললাম না, শুধু এইটুকু বলছি, এর একটি মেশিন যদি আপনি কিনতে চান, তাহলে হাতে কমপক্ষে ২০,০০০$ নিয়ে মাঠে নামতে হবে, তাও সবচেয়ে কমদামিটার জন্য| আর আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি বাদই দিলাম| তাই থার্মাল স্ক্যানার এর জন্য কান্নাকাটি খুব একটা কাজের কাজ না| যদি আপনি ভাইরাস গায়ে নিয়ে নেন, লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৭-১৪ দিন লাগতে পারে| এর মধ্যে যদি আপনার গায়ের তাপমাত্রা না বাড়ে তাহলে থার্মাল স্ক্যানার এর নিচে আপনি দিন রাত শুয়ে থাকলেও ওই বেটা কিছুই ধরতে পারবে না|
গায়ে স্যানিটাইজার মাখলে বা মদ খেলে বা গায়ে ব্লিচিং পানি দিলে ভাইরাস মারা যাবে- কেমনে? ভাইরাস তো আপনার শরীরে ঢুকবে নাক মুখ দিয়ে| আপনার শরীরের লোমকূপ দিয়ে না| তাই এইসব না করাই ভালো| বরং এইকাজ করলে আয়নার হাতে বা গায়ে থাকা উপকারী জীবাণু মারা যাবে (জ্বি, আপনার গায়ে অনেক উপকারী জীবাণু থাকে)| তাই আগেও বলেছি, আবারো বলছি, হ্যান্ড স্যানিটাইজারে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হওয়ার চেয়ে শুধু ভালো করে হাত ধুলেই চলবে| যে কোনো সাবান দিয়েই ভাইরাসের বাইরের আবরণটি ধংশ হয়।
আমার অনেকগুলা ভ্যাকসিন নেয়া আছে, করোনা আমারে কিছু কর্তারবো না- আপনার কয়েক কোটি ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও করোনা হতে পারে| কারণ প্রত্যকেটা ভ্যাকসিন একেকটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে| এক ভাইরাসের ভ্যাকসিন আরেক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে না| এই জন্যই আমাদেরকে আলাদা আলাদা করে অনেকগুলা ভ্যাকসিন নেয়া লাগে| করোনার ভ্যাকসিন এখনো বের হয় নাই| তাই প্রতিরোধই আপাতত একমাত্র প্রতিষেধক|
আদা-রসুন কালিজিরা মধু আপনাকে কোরোনার হাত থেকে বাঁচাবে - এইগুলি হয়তো আপনার শরীরের বিদ্যমান রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সাপোর্ট দিবে, কিন্তু কোরোনার বিরুদ্ধে এরা কিছু করবে এইরকম কোনো প্রমান এখনো পাওয়া যায়নি|
(এইটা পড়ে আমি হাসছি) - কিছুক্ষন পর পর পানি গিলে খাবেন, আপনার মুখের ভাইরাস পেটে চলে যাবে, পেটের এসিড ভাইরাস মেরে ফেলবে, আপনি বেঁচে যাবেন - রিয়েলি! কেমনে? যদি ভাইরাস নাক দিয়ে ঢুকে? নাক দিয়ে পানি খাবেন? এইটা আবার “একজন জাপানিজ ডাক্তার বলেছে “ এই রেফারেনসে চলছে| অতএব, এই টেকনিকে কাজ হওয়ার কাজ হওয়ার সম্ভাবনা শুন্যের চেয়ে কম।
১০ সেকেন্ড নিঃশাস বন্ধ করলে যদি বুকে ব্যথা হয় তাইলে বুঝতে হবে করোনা হইসে- না রে ভাই| এইটা কোনো টেকনিক না, হুদাই নাক মুখ চাইপা ধইরা নিজেরে কষ্ট দিয়েন না| আল্লাহ আমাদের জন্য অক্সিজেন ফ্রি করে দিয়েছেন, নির্দ্বিধায় শ্বাস নিতে থাকুন।
বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হয়, কম বয়সীরা হয় না- ঠিক না, সব বয়সের মানুষই আক্রান্ত হতে পারে| তবে যাদের এজমা, ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যা আছে তারা আক্রান্ত হলে ঝামেলা একটু বেশি আছে| তারা বেশি ভালনারেবল| সুতরাং সব বয়সী মানুষকেই সমান সতর্ক থাকতে হবে |
মাস্ক পড়লেই সুরক্ষা- না, ঠিক না| ভাইরাসের সাইজ সম্পর্কে আগেই বলেছি| তাই যেকোনো মাস্ক পড়লেই সুরক্ষা হবে না| অনেককেই দেখা যাচ্ছে গেঞ্জির কাপড়, টিস্যু পেপার ইত্যাদি দিয়ে মাস্ক বানিয়ে নাকে মুখে লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন| এইটা নিতান্তই অপ্রয়োজনীয়| ধুলাবালি থেকে বাঁচার জন্য হলে ঠিক আছে| ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য হলে ঠিক নাই| বরং এটা আপনাকে একটা “false sense of protection” দিবে যা আখেরে আপনার ক্ষতি করবে| আপনি ভাববেন, মাস্ক তো আছেই, তখন হাত ধুবেন না ঠিক মতো, সংক্রমণ হতে পারে এমন জায়গায় যাবেন বা ইতোমধ্যে সংক্রমিত মানুষের মাঝে যেয়ে তাদের সাথে জাবরাজাবরি ও করতে পারেন যা আপনাকে আরো বিপদের মুখে ঠেলে দিবে| মাস্ক, তাও উপযুক্ত, শুধু তাদেরই বাধ্যতামূলক ভাবে পড়তে হবে যারা ইতোমধ্যে সংক্রমিত হয়েছেন এবং যারা রোগীদের চিকিৎসা বা সেবা দিচ্ছেন| বাকিদের জন্য দরকার নেই|
তাই, আবারো বলছি, ভালো করে হাত ধুতে, হবে, হাত না ধুয়ে মুখে হাত দেয়া যাবে না, হাঁচি কাশি এলে বাহুতে বা কনুইতে মুখ ঢেকে দিতে হবে অথবা টিস্যুতে, হাতের তালুতে না, ব্যবহারের জিনিস যেমন টেবিল, ফোন, কীবোর্ড, মাউস ইত্যাদি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, সম্ভব হলে বহির্বিশ্বে ভ্রমন বাদ দিন, বিদেশ থেকে এলে কমপক্ষে 14 দিন নিজেকে সবার কাছ থেকে আলাদা রাখুন|
জানি এসব করতে কষ্ট হবে, কিন্তু ভাইরাসের হাতে ধরা খেয়ে বিছানায় শুয়ে কোঁ কোঁ করার চেয়ে কি আগে থেকেই সাবধান হওয়া ভালো না?
শেয়ার করার জন্য জিজ্ঞেস করা লাগবে না | ধন্যবাদ।
একেএম শহীদুল্লাহ, এমপিএইচ, এমএস, শারীরবিদ্যায় পি এইচ ডি তে ঝুলন্ত (সুদূর কানাডায়)
Post a Comment